মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
সময়ের সাথে ক্রমশই ফিকে হচ্ছে তার আরো চার বছর ক্ষমতায় থাকার স্বপ্ন। ফলে ক্রমশই ক্ষুব্ধ হয়ে উঠছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী জো বাইডেনের এগিয়ে যাওয়া দেখে দৃশ্যত হতাশ ট্রাম্প বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ সময় মধ্য রাতে পরপর কয়েকটি টুইট করেন, যার দুটি টুইটার তাদের নীতিমালার কারণে মুছে দিয়েছে।
প্রথম টুইটে ট্রাম্প বলেছেন, ভোট গণনা বন্ধ করুন। এরপর আরেক টুইটেও ভোট জালিয়াতির অভিযোগ তুলে লেখেন তিনি লেখেন, এই জালিয়াতি বন্ধ করুন। তারপর আরেকটি টুইটে তিনি লেখেন, ‘আমরাই জিতব, সবার আগে আমেরিকা।’ প্রথমটি রাখলেও টুইটার তার পরের দুটি টুইট মুছে দিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ভোটগ্রহণের পর দুদিন পেরিয়ে গেলেও এখনও চূড়ান্ত ফল পাওয়া যায়নি। ইলেকটোরাল কলেজের ২৬৪টি ভোট পেয়ে বিজয়ী হওয়ার পথে এগিয়ে আছেন ডেমোক্র্যাট প্রার্থী বাইডেন। ২১৪টি ইলেকটোরাল ভোট নিশ্চিত করা ট্রাম্পের আশা এখনও ফুরিয়ে যায়নি। পেনসিলভেইনিয়া, জর্জিয়া, নেভাডা, নর্থ ক্যারোলাইনা ও অ্যারিজোনায় আটকে আছে ফল। এর মধ্যে অ্যারিজোনা ও নেভাডায় এগিয়ে আছেন বাইডেন; বাকি তিনটিতে ট্রাম্প এগিয়ে থাকলেও তার ঘাড়ে নিঃশ্বাস ফেলছে ডেমোক্র্যাট প্রার্থী। পোস্টাল ব্যালট গণনা শুরুর পর থেকে এসব রাজ্যে ট্রাম্পের পিছিয়ে পড়ার শুরু হয়।
দ্বিতীয় বারের মতো প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হতে রিপাবলিকান প্রার্থী তাই জয়ের আশা বাঁচিয়ে রাখতে নানা অনিয়মের অভিযোগ তুলে ভোট গণনা বন্ধ করতে আদালতেও গেছেন। নেভাডা, উইসকনসিন, মিশিগান, পেনসিলভেইনিয়ার আদালতে ইতোমধ্যে ট্রাম্পের পক্ষে অভিযোগ করা হয়েছে। এসব অভিযোগের মধ্যে রয়েছে নির্ধারিত সময়ের পরে আসা পোস্টাল ব্যালটও গণনা হচ্ছে, কোথাও কোথাও রেজিস্টার্ড ভোটারের চেয়ে ভোটগ্রহণ বেশি হয়েছে, ভোটার নন এমন ব্যক্তিও ভোট দিয়ে গেছেন।
জর্জিয়া ও মিশিগানের আদালত ট্রাম্প শিবিরের আবেদন নাকচ করে দিয়েছেন। পেনসিলভেনিয়ার আদালতের আদেশ ট্রাম্প শিবিরের পক্ষে গেলেও তাতে ভোট গণনা বন্ধ হয়নি, শুধু রিপাবলিকান প্রতিনিধির সামনে গণনা করতে বলা হয়েছে। মিশিগানে ভোট গণনা বন্ধে ট্রাম্পের আবেদনে সাড়া দেয়নি আদালত। যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচন বিশ্লেষকরা অবশ্য সে দেশে নির্বাচনে এমন অভিযোগ গ্রহণযোগ্য নয় বলে মনে করছেন।
দীর্ঘ সময়েও ফল না আসায় কয়েকটি রাজ্যে উত্তেজনা, বিক্ষোভ ও ভাংচুরের খবরও পাওয়া গেছে। বাইডেন সমর্থকরা প্রতিটি ভোট গণনার দাবি জানিয়ে যেমন রাজপথে নামছেন, তেমনি ট্রাম্প সমর্থকরাও শামিল হয়েছেন ‘অবৈধ’ ভোট গণনা বন্ধ রাখার দাবিতে। চলমান উৎকণ্ঠার মধ্যে ট্রাম্প এক বিবৃতিতে তার সমর্থকদের আশ্বস্ত করতে বলেছেন, ‘যদি বৈধ ভোটই শুধু গণনা হয়, তবে আমরা সহজেই জিতব। কিন্তু যদি অবৈধ ও দেরি করে আসা ভোটও গণনা করা হয়, তাহলে তা হবে আমাদের জয় চুরি করে নেয়া।’ সূত্র: রয়টার্স।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।