পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে দৃশ্যত ক্ষমতায় আসার পথে রয়েছেন জো বাইডেন। সরকার গঠনের প্রস্তুতি হিসেবে এরইমধ্যে একটি ট্রানজিশন ওয়েবসাইট চালু করেছেন তিনি। এক প্রেসিডেন্টের কাছ থেকে অন্য প্রেসিডেন্টের কাছে শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তরের জন্য প্রেসিডেন্সিয়াল ট্রানজিশন গঠন করা হয়। এ লক্ষ্যেই ট্রানজিশন ওয়েবসাইট চালু করেছে বাইডেন শিবির।
নিয়ম অনুযায়ী, সামগ্রিক বিষয়ে ওয়াশিংটনে ট্রানজিশন টিমের অফিস থেকে হোয়াইট হাউসের কর্মকর্তাদের সঙ্গে সমন্বয় করা হবে। আর এ প্রক্রিয়ার যাবতীয় আপডেট থাকবে ট্রানজিশন ওয়েবসাইটে। ট্রাম্প অবশ্য এখন পর্যন্ত পরাজয় মেনে নেননি। বরং নিজেকেই বিজয়ী দাবি করেছেন তিনি। ভোট গণনা থামাতে একাধিক মামলাও করেছে ট্রাম্প শিবির। তবে এর মধ্যেই ক্ষমতা গ্রহণের প্রস্তুতি শুরু করেছে বাইডেন শিবির।
ট্রানজিশন ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, দেশে যে ভয়াবহ সংকট দেখা দিয়েছে; মহামারি থেকে শুরু করে অর্থনৈতিক মন্দা, জলবায়ু পরিবর্তন, বর্ণবাদী কর্মকাÐের মতো বিষয়গুলো মোকাবিলায় বাইডেন-হ্যারিস প্রশাসন প্রথম দিন থেকেই কাজ চালিয়ে যাবে।
গত বুধবার ডেলাওয়ারের উইলমিনটনে দেওয়া এক ভাষণে ক্ষমতায় আসার বিষয়ে নিজের আশাবাদের কথা জানান বাইডেন। জো বাইডেন বলেন, তিনি নিজেকে জয়ী ঘোষণা করতে আসেননি। তবে তার জয় এখন স্পষ্ট। রানিং মেট কমলা হ্যারিসকে সঙ্গে নিয়ে দেওয়া ভাষণে বাইডেন আবারও ঐক্যবদ্ধ জাতি গড়ার অঙ্গীকার করেন। বলেন, লাল-নীল বিভেদ তিনি মুছে দিতে চান। বাকি ভোট গণনার আগে নিজের জয় দাবি না করে ডেমোক্র্যাট প্রার্থী বাইডেন বলেন, রাতভর গণনার পর এখন এটা স্পষ্ট। আমি এখানে ঘোষণা দেবো না যে, আমরা জিতে গেছি। কিন্তু বলতে চাই গণনা শেষ হলে আমাদের বিশ্বাস আমরাই জিতবো। বাইডেন বলেন, নির্বাচনের ফলাফল চূড়ান্ত হয়ে যাওয়ার পর প্রচারকালের কঠোরতাকে পেছনে ফেলে পরস্পরকে আবার দেখার, শোনার এবং পারস্পরিক শ্রদ্ধা প্রদর্শন এবং যতœ করার সময় আসবে। দেশকে ঐক্যবদ্ধ করার প্রশ্নে বাইডেন বলেন, আমেরিকানদের পরস্পরকে শত্রæ ভাবা বন্ধ হবে। একজন আমেরিকান প্রেসিডেন্টের মতো দেশ শাসন করবেন বলেও প্রতিশ্রæতি দেন তিনি। ডেমোক্র্যাট জো বাইডেন বলেন, জেতার পর কোনও লাল রাজ্য এবং নীল রাজ্য থাকবে না, কেবল ইউনাইটেড স্টেটস অব আমেরিকা থাকবে। আমাকে যারা ভোট দেয়নি কিংবা ভোট দিয়েছে সবার জন্যই জোরালোভাবে কাজ করবো।
নির্বাচনের ফলের দিকে ইঙ্গিত করে বাইডেন বলেন, প্রতিটি ভোট অবশ্যই গণনা করতে হবে। তিনি বলেন, আমরা জনগণ নীরব থাকবো না। নিজের সম্ভাব্য জয়কে আমেরিকার জনগণের বিজয় হিসেবেও আখ্যায়িত করেন তিনি। সূত্র: বিবিসি, রয়টার্স।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।