গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
আধিপত্যবাদিরা ইসলাম অবমাননার মাধ্যমে সাম্প্রদায়িক অসন্তোষ তৈরি করে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের বিরুদ্ধে আবার ষড়যন্ত্র শুরু করেছে উল্লেখ করে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের মহাসচিব আল্লামা নূর হোসাইন কাসেমী।
আজ বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, ফ্রান্সসহ বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) সম্পর্কে কটুক্তি ও ব্যঙ্গচিত্র প্রদর্শনের পাশাপাশি ইসলামকে ভীতিকর ও হেয় করার একটা ধারাবাহিক হীন প্রচেষ্টা চলছে। এসবই যে উস্কানিমূলক এবং মানবাধিকার বিরোধী তৎপরতা তা স্পষ্ট। আমরা শান্তিপূর্ণভাবে আন্তর্জাতিক কিছু কুচক্রিমহলের এইরূপ অপচেষ্টার নিন্দা ও শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ করে যাচ্ছি। একই সঙ্গে দেশের সরকারকেও ইসলাম ও মানবাধিকার বিরোধী এই অপতৎপরতার বিরুদ্ধে শক্ত অবস্থান নেয়ার দাবি জানাই।
আল্লামা নূর হোসাইন কাসেমী বলেন, ইসলাম শান্তি, সহনশীলতা, ইনসাফ ও মানবতার ধর্ম। এই মহান ধর্মের অনুসারী হিসেবে আমরা নিজেদের ধর্মীয় স্বকীয়তাবোধ বজায় রাখার পাশাপাশি অপরাপর ধর্মাবলম্বীদের সাথে মানবিক, সামাজিক ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও শান্তির পক্ষে দৃঢ় অবস্থান বজায় রেখে চলি। কিন্তু গত এক সপ্তাহ যাবত আমরা লক্ষ্য করছি, রাসূল (সা.)এর মর্যাদা রক্ষার ঈমানী আন্দোলনকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক গোলযোগ তৈরি করে ফায়দা লুটতে দেশবিরোধী অপশক্তি পুনরায় গভীর ষড়যন্ত্র শুরু করেছে।
তিনি বলেন, দেখা যায় প্রথমে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের কাউকে ব্যবহার করে ইসলাম অবমাননা ঘটিয়ে মুসলিম সমাজে উত্তেজনা ছড়ানো হয়। তারপর উত্তেজিত জনতার প্রতিক্রিয়াকে পুঁজি করে দেশি-বিদেশী চিহ্নিত মিডিয়াগুলো বাংলাদেশের মুসলমানদের বিরুদ্ধে মিথ্যাচার ও দেশের স্বাধীনতার বিরুদ্ধে হুমকিজনক প্রতিবেদন প্রচার করে। এ সময় প্রতিবেশী দেশের কতিপয় রাজনৈতিক নেতা ও মিডিয়াকেও প্রকাশ্যে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে প্রচারণায় দেখা যায়। ঘটনা পরম্পরায় এটা স্পষ্ট, এসব ঘটনার পেছনে দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ববিরোধী আধিপত্যবাদি শক্তি জড়িত এবং তাদের পরিকল্পনাতেই এসব ঘটানো হচ্ছে। চলতি সপ্তাহের লালমনিরহাট ও কুমিল্লার অনাকাঙ্খিত ঘটনার সাথে নিকট অতীতের বি-বাড়ীয়া, রংপুর ও ভোলার ঘটনার পূর্বাপর চরিত্রের একই রকম মিল দেখা যায়। সবকিছু যেনো একই সূত্রে গাঁথা এবং একই জায়গা থেকেই এর কলকাঠি নাড়ানো হচ্ছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।