Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনী ফলাফল নিয়ে অনিশ্চয়তায় বিশ্বনেতারা!

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৪ নভেম্বর, ২০২০, ৯:২০ পিএম

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনী ফলাফল নিয়ে অনিশ্চয়তায় বিশ্বনেতারা!স্থানীয় সময় বুধবার সকাল (বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৭.০০টা) পর্যন্ত হোয়াইট হাউস জয়ের পথে বর্তমান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও তার ডেমোক্রেট প্রতিদ্বন্দ্বী জো বাইডেনের মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই চলছে। মার্কিনিদের সঙ্গে নির্বাচনি পুলের দিকে তাকিয়ে রয়েছে বিশ্ব গণমাধ্যম ও বিশ্বনেতারা। কারণ, যুক্তরাষ্ট্র শুধু প্রেসিডেন্ট নয়, বিশ্বনেতাও নির্বাচন করে। -টাইম
রাশিয়ার সরকার নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে এখন পর্যন্ত কোনো মন্তব্য করে নি। তবে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের মিত্র ও রাশিয়ার পররাষ্ট্রনীতি বিষয়ক কমিটির সদস্য কনস্টান্টিন কোসাচেভ বলেছেন, ক্রেমলিন ২০১৬ সালে মার্কিন নির্বাচনে হস্তক্ষেপের মতো অভিযোগ এড়াতে চায়। ট্রাম্প-প্রশাসনে মার্কিন-চীন সম্পর্ক শীতল যুদ্ধের মধ্য দিয়ে গিয়েছে। বাণিজ্য, প্রযুক্তি ও কূটনীতিতে বৈরিতার স্পষ্ট প্রভাব দেখা গিয়েছে। চীন বাইডেন নাকি ট্রাম্পকে পছন্দ করে এই প্রশ্নে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ওয়াং ওয়েনবিন বলেছেন, নির্বাচন যুক্তরাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ বিষয়, চীন এখানে কোনো অবস্থান নিতে চায় না। ইরান পরমাণু চুক্তি থেকে সরে যাওয়া ও ইরানের সর্বোচ্চ জেনারেল সুলাইমানিকে হত্যার মতো ইস্যুতে তেহরানের সঙ্গেও ওয়াশিংটনের সম্পর্ক চরমে। বুধবার টুইট বার্তায় ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি বলেছেন, মার্কিন নির্বাচন আমাদের যুক্তরাষ্ট্রের নীতিতে প্রভাব ফেলবে না। ট্রাম্পের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রাখা ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন প্রকাশ্যে ফলাফল নিয়ে মতামত দেয়ার বিষয়টি প্রত্যাখ্যান করেছেন। তবে বিবিসির সাংবাদিক পিয়ার্সে মরগান টুইটে মন্তব্য করেছেন, ডেমোক্রেট দল ও বাইডেন শিবির নিজেদের জমানো প্রচারণার খেসারত দিচ্ছে। কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো বলেছেন, নির্বাচনের ফলাফল যাই হোক কানাডা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সহযোগিতার ভিত্তিতে কাজ করে যাবে।’ তবে কানাডার নিউ ডেমোক্রেটিক পার্টির নেতা জগমেত সিং বলেছেন, ‘ট্রাম্প বিশ্বকে ভয়ঙ্কর স্থানে পরিণত করেছেন।

জার্মানির প্রতিরক্ষামন্ত্রী অ্যানিগ্রেট ক্রাম্প বলেছেন, এটি খুবই চরম মুহুর্তে, বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যে কোনো মুহুর্তে যুক্তরাষ্ট্র সাংবিধানিক সংকটের দিকে যেতে পারে। এটি সবার জন্যই উদ্বেগের। ইউরোপিয় ইউনিয়ন এক বিবৃতিতে বলেছে, আমাদের সবার উচিত ধৈর্য্য ধরা ও আনুষ্ঠানিক ফলাফল আসলে তা মেনে নেয়া। তবে ইউরোপের ডানপন্থী নেতারা ইতোমধ্যেই ট্রাম্পের প্রতি সমর্থন ব্যক্ত করেছেন। ট্রাম্পের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক থাকা ফিলিপাইনের প্রেসিডেন্ট রদ্রিগো দুতের্তের মুখপাত্র হ্যারি রক বলেছেন, ট্রাম্প যদি নির্বাচনে জয় নাও পান প্রেসিডেন্ট দুতার্তে যে কোনো প্রেসিডেন্টের সঙ্গেই উষ্ণ সম্পর্ক তৈরি করবেন। ইতালির ডানপন্থী বিরোধী দল লিগ পার্টির নেতা মাত্তে সালভেনি বলেন, সব খবরে বাইডেনের বড় বিজয়ের সংবাদ দেয়া ছিলো। কিন্তু তা হয় নি। উপরুন্তু ট্রাম্প এগিয়ে আছেন। ফ্রান্সের ডানপন্থী দল ন্যাশনাল র‌্যালির নেত্রী ম্যারিন লি পেন বলেছেন, চার বছর পরও তিনি শীর্ষে, আমেরিকানরা তাকে সমর্থন করছেন, করবেন। আমি মনে করি ট্রাম্পের পুন:নির্বাচনই যুক্তরাষ্ট্রের জন্য সেরা হবে। স্লোভেনিয়ার ডানপন্থী প্রধানমন্ত্রী জেনেজ জানসা প্রকাশ্যে বলেছেন, ট্রাম্পই জিততে চলেছেন। এটি স্পষ্ট মার্কিন জনগণ আরো চার বছরের জন্য ট্রাম্প-পেন্সকে নির্বাচিত করেছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ