মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
মাদ্রাসা বন্ধের হুমকি দিয়ে আসামে মুসলিম ভোটারদের ভোটগগুলো নিতে চেয়েছে বিজেপি বলে দাবি করেছে আকসা।ভারতে আসামের হিন্দু বাঙালী ছাত্র সংগঠন- আকসার প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও গৌহাটি হাইকোর্টের আইনজীবী প্রদীপ দত্ত রায় বলেছেন, মাদ্রাসা কিংবা সংস্কৃত স্কুলগুলো বন্ধ করে দেওয়ার ক্ষমতা বিজেপি সরকারের নেই । বর্তমান আসাম সরকারের শিক্ষা মন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা রাজ্যে মুসলিমদের ভয় দেখানোর জন্য এই মাদ্রাসা বন্ধের হুমকি দিয়েছিলেন।
বুধবার তিনি বলেন, ভারত বর্ষ গণতান্ত্রিক এবং ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র। এখানে হিন্দু মুসলিম খ্রিস্টান বৌদ্ধ সবাই বসবাস করেন। সুতরাং মাদ্রাসা বন্ধ করে দেওয়ার কোন প্রশ্নই উঠতে পারে না। তিনি বলেন, আসামের বিজেপি সরকার অনেক সময় বলে থাকে মাদ্রাসাতে নাকি উগ্রপন্থী শিক্ষা দেওয়া হয়। এটা সম্পূর্ণ ভুল তথ্য। মাদ্রাসা সম্পূর্ণ ভারতীয় সংস্কৃতি এবং ভালো শিক্ষাদানের একটি প্রতিষ্ঠান। মাদ্রাসাতে ভারতের ইতিহাস, ইংরেজি, বাংলাসহ সব বিষয়ই পড়ানো হয়। সঙ্গে আরবি ভাষা শেখানো হয়। এতে সরকারের আপত্তির কারণ নাই। আসলে ব্যাপারটা সম্পূর্ণ রাজনৈতিক এবং উদ্দেশ্য প্রণোদিত। প্রদীপ দত্ত রায় বলেন, কেন্দ্রীয় এবং রাজ্যের বিজেপি সরকার এবার দেখতে পাচ্ছে যে রাজ্যে কংগ্রেস এবং এআইইউডিএফের জোট হচ্ছে। বাঙালি হিন্দুরা এবছর বিজেপিকে আর ভোট দেবে না। মুসলিমরাতো দেওয়ার প্রশ্নই উঠে না। তিনি বলেন, আমাদের ভারতবর্ষে স্বাধীনতার সময় বিভিন্ন মুসলিম সংগঠনের অনেক অবদান রয়েছে। বিশেষ করে জমিয়ত উলেমা হিন্দ যেভাবে স্বাধীনতার জন্য লড়াই করেছে তাই মুসলিমদেরকে আমাদের থেকে আলাদা করতে দেওয়া যাবে না। আসলে বিজেপি শঙ্কিত কারণ কংগ্রেস এবং ইউডিএফ এর বক্সে বাঙালি হিন্দু এবং মুসলিমদের ভোট পরে যায় কিনা, তার জন্য মুসলিমদের মাদ্রাসা বন্ধ করে দেওয়ার কথা বলে হুমকি দিচ্ছে বিজেপি। তিনি বলেন, আসামের বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটের বাঙালি হিন্দু এবং মুসলিমদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে লড়াই সময় এসে গেছে। আসাম কংগ্রেস কি বিজেপি সব সময় বাঙ্গালীদের সঙ্গে একটি বিদ্বেষমূলক আচরণ করে। চাকরি কিংবা সরকারি সুযোগ-সুবিধা থেকে প্রায় সব বাঙ্গালীকে বঞ্চিত রাখা হয়। তাই আসামের রাজনৈতিক চিত্র পাল্টে যাওয়ার সময় এসেছে গেছে। এর জন্য বাঙালি হিন্দু মুসলিমদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হবে এবারে কার সরকার গঠন করা হবে। মুসলিম ভাইদের প্রতি আমি আবেদন জানাচ্ছি তারা যেন সরকারের এই হুমকিতে মাথা নত না করেন। হিমন্ত বিশ্ব শর্মা যখন যা বলে তার ৮০ শতাংশ কথা মিথ্যা হয়। এসব কথায় বিভ্রান্ত না হয়ে বাঙালি হিন্দু এবং মুসলিম ঐক্যবদ্ধ হয় থাকাটা ভালো।
আসামের রাজনীতিতে আগামী দিনে ব্যাপক পরিবর্তন আসছে জানিয়ে প্রদীপ দত্ত রায় বলেন, আসামের বাঙালি হিন্দু এবং মুসলিম ঐক্যবদ্ধ হয়ে সিদ্ধান্ত নিলেন রাজনৈতিক চিত্র পাল্টে দিতে পারবেন। সংস্কৃত টোল বন্ধ করে দেওয়ার যে কথা বলা হচ্ছে তা কি আরএসএস, বিশ্ব হিন্দু পরিষদ, বজরং দল মেনে নেবেন। সংস্কৃত ভাষা হচ্ছে আমাদের ভারতবর্ষের সনাতন ভাষা। হিন্দু সংস্কৃতি ধারক এবং বাহক। এরপর শিক্ষামন্ত্রীর হিমন্ত বিশ্ব শর্মা কি করে সংস্কৃত টোল বন্ধ করে দেওয়ার কথা বলার সাহস পান ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।