Inqilab Logo

বুধবার ১৩ নভেম্বর ২০২৪, ২৯ কার্তিক ১৪৩১, ১১ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সুন্দরবনের দুবলার চরে শুরু হচ্ছে শুটকির মৌসুম

শরণখোলা(বাগেরহাট) সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ৪ নভেম্বর, ২০২০, ১:৪৭ পিএম

পূর্ব সুন্দরবনের শরণখোলার দুবলার চরে শুরু হচ্ছে শুটকি তৈরীর মৌসুম। এ লক্ষ্যে বৃহস্পতিবার (৫ নবেম্বর) থেকে জেলেরা বন বিভাগ থেকে পারমিট নিয়ে সুন্দরবনে যাত্রা শুরু করবে। এ ব্যাপারে বিভাগীয় কার্যালয়ে সভা করে এ সংক্রান্ত নিতিমালা চূড়ান্ত করেছে বন বিভাগ।

বন বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, শরণখোলা রেঞ্জের দুবলা জেলে পল্লী টহল ফাঁড়ির আওতাধীন বঙ্গোপসাগর তীরবর্তী আলোরকোল, মেহেরআলী, মাঝের কিল্লা, অফিস কিল্লা, নাড়িকেলবাড়িয়া ও শেলারচরে অস্থয়ী ঘর নির্মান করে মৌসুমি জেলেরা সাগরে থেকে মাছ ধরে শুটকি করে থাকে। প্রতিবছর অক্টোবর থেকে মার্চ মাস পর্যন্ত প্রায় ২০ হাজার জেলে শুটকি প্রক্রিয়াজাত করনের কাজে নিয়োজিত হয়। দেশের সবচেয়ে বৃহৎ এ জেলে পল্লীর শুটকি দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশেও চালান হয়ে থাকে। বন বিভাগ গত বছরে শুধুমাত্র শুটকি থেকে তিন কোটি ৭৫ লাখ টাকা রাজস্ব আয় করেছে। এ বছরেও একই লক্ষমাত্রা নিয়ে জেলেদের পারমিট দেয়া হয়েছে।
শরণখোলা রেঞ্জ কর্মকর্তা (এসিএফ) মোঃ জয়নাল আবেদীন জানান, বন বিভাগের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এবছরে শুটকি প্রক্রিয়াজাত করেনের জন্য ৫০ টি ডিপো ও ৯৫০ টি অস্থায়ী শুটকি ঘর তৈরীর অনুমোতি দেয়া হয়েছে। তবে এসব ঘর তৈরীর মালামাল জেলেরা তাদের সঙ্গে করে নিয়ে আসতে হবে। সুন্দরবনের কোন কাঠ জেলেরা ব্যবহার করতে পরবে না। এসিএফ জানান, আবহাওয়া অনুকুলে থাকলে রাজস্ব আয়ের লক্ষ্য মাত্রা গতবারের চেয়ে বৃদ্ধি পেতে পারে।

সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মোঃ বেলায়েত হোসেন জানান, জেলেদের মহাজন ও বহাদ্দারদের নিয়ে এ সংক্রান্ত এক সভায় স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করাতে বাধ্যতামূলক মাক্স পড়া, হ্যান্ড স্যানিটাইজার বা সাবান দিয়ে হাত ধোয়া এবং প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়ার মতো ঔষধপত্র সঙ্গে নেয়ার জন্য নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
দুবলা ফিসারম্যান গ্রæপের চেয়ারম্যান কামাল উদ্দিন আহম্মেদ জানান, দুবলার মেহের আলীর চরের মিষ্টি পানির বড় পুকুরটি সাগরে ভেঙ্গে যাওয়ায় এবারে জেলেরা চরম পানি সংকটে পড়বে। এছাড়া চরগুলিতে স্বল্পসংখ্যক ঘুর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্র থাকলেও সেগুলি এখন মেরামতের অভাবে ঝুকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। তিনি জেলেদের কথা বিবেচনা করে এব্যাপারে পদক্ষেপ নেয়ার জন্য সরকারের প্রতি দাবী জানিয়েছেন।

এদিকে ইলিশ প্রজনন মৌসুমের কারেন জেলেদের মাছ ধরার উপর ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা বুধবার থেকে শেষ হচ্ছে। একারনে জেলেরা তাদের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে। রাত ১২টায় নিষেধাজ্ঞার সময় শেষ হওয়ার সাথে সাথে তারা ফিসিং ট্ররার নিয়ে সাগরে যাত্রা শুরু করবেন বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ফিসিং ট্রলার মালিক সমিতির সহ-সভাপতি সাইফুল ইসলাম খোকন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: শুটকির মৌসুম
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ