মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
গত ৪ বছর ধরে মনোবিদের তত্ত্বাবধানে রয়েছেন হতাশাগ্রস্ত ইরা খান। নিজের ডিপ্রেশনের কথা কখনওই লুকোননি আমির খানের মেয়ে। সোশ্যাল মিডিয়ায় আগেও নিজের মনের কথা অনুরাগীদের খুলে বলেছেন তিনি। এবার তিনি জানালেন, তার এই হতাশাগ্রস্ত হওয়ার পিছনে ঠিক কী কী কারণ রয়েছে বলে তার মনে হয়। আর সেই প্রসঙ্গেই ১৪ বছর বয়সে নিজের শ্লীলতাহানি হওয়ার কথাও জানান তিনি।
ইনস্টাগ্রামে প্রায় ১০ মিনিটের একটি ভিডিও পোস্ট করেছেন ইরা। যেখানে জীবনের নানাদিকের কথা বলেছেন। সেখানেই তিনি জানান, অদ্ভুত একটা পরিস্থিতির মধ্যে পড়েছিলেন তিনি। বয়স কম ছিল। তাই বুঝতে পারছিলেন না ঠিক কী হচ্ছে। তারা জেনেশুনেই এমনটা করছিল কি না। এমন অচেনা অভিজ্ঞতায় বেশ হতাশ হয়ে পড়েছিলেন। গোটা বিষয়টা বাবা আমির খান ও মা রিনা দত্তকে জানান ইরা। তাদের সঙ্গে কথা বলার পর মন অনেকখানি হালকা হয়। এরপরই ইরা বলেন, ‘প্রায় এক বছর পর জানতে পেরেছিলাম ওরা ইচ্ছাকৃতভাবেই আমার সঙ্গে এমন আচরণ করেছিল। কারণ ওরা আমার শ্লীলতাহানিই করতে চেয়েছিল। এই পরিস্থিতি থেকে বেরতে আমি সঙ্গে সঙ্গে মা-বাবাকে ই-মেইল করে সব জানাই।’ কে বা কারা তার শ্লীলতাহানি করেছিল, সে বিষয়ে যদিও বিস্তারিত বলেননি তিনি। তবে ওই সব দিনগুলি কাটিয়ে জীবনে এগিয়ে গিয়েছেন বলেই জানান ইরা। আর কী কারণ হয়েছে তার হতাশার? মা-বাবার বিবাহবিচ্ছেদ? ইরা বলছেন, একেবারেই নয়। কারণ আমির ও রিনা এখনও ভাল বন্ধু। আর ইরার যে কোনও প্রয়োজনে তারা সর্বদাই হাজির হয়ে যান। মা-বাবাকে ভাল-মন্দ সব পরিস্থিতিতেই পাশে পান ইরা। তাছাড়া বাবা-মায়ের বিচ্ছেদের সময় ইরা খুবই ছোট। জ্ঞান হওয়ার পর থেকে তাদের বন্ধু হিসেবেই দেখতে অভ্যস্ত ইরা। তাই আমির-রিনার বিচ্ছেদ তাকে কখনওই দুঃখ দেয়নি। তবে শ্লীলতাহানির ঘটনার পর অনেক বছর নিজের কান্না আটকাতে পারতেন না তিনি। স্কুলেও হঠাৎ হঠাৎ কেঁদে ফেলতেন। আজ সেসব মনে পড়লে আর অবশ্য ভয় লাগে না ইরার। কারণ তিনি জানেন, ওসব অতীত। এখন শুধুই পজিটিভ চিন্তা করে এগিয়ে যেতে হবে। সূত্র : রিপাবলিক ওয়ার্ল্ড।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।