মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
অস্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনায় সোমবার রাতে লকডাউন শুরু হওয়ার কিছুক্ষণ আগে সশস্ত্র এক জঙ্গীর হামলায় ৪ জন নিহত হয়েছে। পরে পুলিশের গুলিতে সন্দেহভাজন হামলাকারী নিজেও নিহত হয়। ২০ বছর বয়সী ওই সন্দেহভাজন হামলাকারী জাল বিস্ফোরক জ্যাকেট পরে ও হাতে স্বয়ংক্রিয় রাইফেল নিয়ে সাধারণ মানুষের উপরে চড়াও হয় বলে গতকাল অস্ট্রিয়ান কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে। তার সাথে জিহাদী গোষ্ঠী আইএসের যোগ রয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
সন্দেহভাজন ওই তরুণ অস্ট্রিয়ান-উত্তর ম্যাসেডোনিয়ার দ্বৈত নাগরিক বলে জানা গেছে। এর আগে সে সিরিয়ায় আইএসের সাথে যোগদানের চেষ্টা করার জন্য সন্ত্রাসবাদী হিসাবে দোষী সাব্যস্ত হয়েছিল। অসমর্থিত সূত্রের একটি ভিডিওতে দেখা যায়, ওই তরুণকে একটি সাদা কভারল পরে রাস্তায় দৌড়ে যাওয়ার সময় এলোপাথারি গুলি ছুাঁড়তে দেখা যায়। পুলিশ আরও বেশ কয়েকজনকে গেফতার করেছে এবং ১৫ টি বাড়ি এবং অ্যাপার্টমেন্টে তল্লাশী চালিয়েছে বলে দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কার্ল নেহামার জানিয়েছেন। কুজিটিম ফেজুলাই নামের ওই সন্দেহভাজন হামলাকারীকে ২০১২ সালের এপ্রিল মাসে ২২ মাসের কারাদন্ডে দন্ডিত করা হয়েছিল কারণ তিনি ইসলামিক স্টেট গ্রুপে যোগ দিতে সিরিয়ায় যাওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। কিশোর আইনে ডিসেম্বরের প্রথম দিকে তাকে মুক্তি দেয়া হয়েছিল। নেহামার বলেন যে, আক্রমণের আগে ফেজুলাই তার ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে একটি ছবি পোস্ট করেছিলেন যাতে দেখা গিয়েছিল যে তিনি দুটি অস্ত্রই স্পষ্টতই ব্যবহার করেছিলেন।
অস্ট্রিয়ার চ্যান্সেলর সেবাস্তিয়ান কুর্জ জানিয়েছেন, আক্রমণে ঘটনাস্থলেই দুই পুরুষ ও দু’জন মহিলা মারা গেছেন। একজন পুলিশ অফিসার হামলাকারীকে বাধা দিতে চেষ্টা করার সময় গুলিবিদ্ধ হয়। এ ঘটনায় মোট ১৪ জন আহত হন। তাদের মধ্যে ৭ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের খবর মোতাবেক, প্রায় ৫০ বার গুলির শব্দ শোনা গিয়েছে। যার জেরে বহু লোকের আহত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। মৃত্যুর সংখ্যাও আরও বাড়তে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। ঘটনার রাত থেকেই অস্ট্রিয়ায় শুরু হয়েছে লকডাউন। ঠিক তার কিছুক্ষণ আগেই এই হামলা চালানো হয়। এই হামলা পূর্ব পরিকল্পিত বলেই মনে করা হচ্ছে। ১৯৮১ সালে এই সিনাগগেই দুই ফিলিস্তিনির আক্রমণ ২ নিরীহ নাগরিকের মৃত্যু হয়। জখম হয়েছিলেন ১৮ জন। ১৯৮৫ সালে প্যালেস্তাইনের একটি চরমপন্থী দল ভিয়েনা বিমানবন্দরে হ্যান্ড গ্রেনেড ও রাইফেল নিয়ে হামলা চালিয়েছিল। তাতেও প্রাণ গিয়েছিল তিন নাগরিকের। সাম্প্রতিক বছরগুলিতে প্যারিস, বার্লিন, লন্ডনের মতো একাধিক হামলা হয়েছে অস্ট্রিয়ায়। গত আগস্টে সন্দেহভাজন সিরিয়ান এক শরণার্থীকে গ্রেফতারও করা হয়। পুলিশের ধারণা, ইহুদি সম্প্রদায়ের এক নেতার উপর হামলার ছক কষা হয়েছিল। সূত্র : এপি
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।