বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
এবার কৃষকের কাছ থেকে সরসরি আমন ধান কিনতে সরকার শেরপুর জেলার ৫ উপজেলাসহ দেশের ৬৪টি জেলার ৭৯টি উপজেলায় কৃষকের অ্যাপের মাধ্যমে আমন ধান সংগ্রহ করবে। এজন্য সরকারের খাদ্য বিভাগ সংশ্লিষ্ট উপজেলায় অ্যাপের মাধ্যমে আমন ধান ক্রয়ের কার্যক্রম শুরু করেছে। শেরপুর জেলা খাদ্য বিভাগ এ জন্য প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে।
সরকার খাদ্য গুদামে সরাসরি কৃষকের কাছ থেকে ধান সংগ্রহ করার সেবা সহজিকরণ ও ধান সংগ্রহে অনিয়ম রোধ করতে পাইলট প্রকল্প হিসেবে খাদ্য অধিদপ্তর গত আমন মৌসুমে দেশের ১৬ জেলার ১৬টি সদর উপজেলায় কৃষকের অ্যাপসের মাধ্যমে আমন ধান সংগ্রহ করেছে। তারপর অ্যাপসের মাধ্যমে সরকার বেশ কিছু উপজেলায় বোরো ধান সংগ্রহ করে। শেরপুর সদর উপজেলা গত বোরো সংগ্রহ মৌসুমে কৃষকের অ্যপেসের মাধ্যমে সফলতা অর্জন করে, তারই ধারাবাহিকতায় এবার আমন মৌসুমে শেরপুর জেলার সব কটি উপজেলাতেই (৫টি উপজেলাতে) কৃষকের অ্যাপের মাধ্যমে ধান কিনবে জেলা খাদ্য বিভাগ। কৃষকের অ্যাপসের মাধ্যমে খাদ্য অধিদপ্তর এই মৌসুমে দেশের ৬৪ জেলার ৭৯টি উপজেলাতে ধান কিনবে বলে জেলা খাদ্য বিভাগ সূত্রে জানাযায়।
নিবন্ধন পদ্ধতিঃ শেরপুর জেলা খাদ্য বিভাগ সূত্র জানিয়েছে গুগল প্লেস্টোর থেকে ‘কৃষকের অ্যাপ’ ডাউনলোড করে এই অ্যাপসের মাধ্যমে ধান বিক্রির জন্য কৃষক নিবন্ধন করতে পারবেন। নিবন্ধনের জন্য কৃষকের এনআইডি নম্বর, জন্মতারিখ ও মোবাইল নম্বর প্রয়োজন হবে। আগামী ২০ নভেম্বর পর্যন্ত নিবন্ধন করা যাবে।
প্রথমবার কৃষকের নিবন্ধনই আবেদন বলে গণ্য হবে। তবে ২য়বার আর নিবন্ধন করার প্রয়োজন নেই। প্রথমবারের প্রদত্ত আইডি ও পাসওয়ার্ড দিয়ে লগইন করে শুধু সংশ্লিস্ট মৌসুমে ধান বিক্রয়ের জন্য ইচ্ছা প্রকাশ করলেই হবে। কৃষক আবেদন করার পর আবেদনটি কি অবস্থায় আছে, সেটাও এই অ্যাপসের মাধ্যমে জানতে পারবেন।
কৃষকের নিবন্ধনের আবেদন প্রথমে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার অনুমোদন করবেন। অনুমোদিত আবেদনগুলো ডিজিটাল পদ্ধতিতে লটারির জন্য নির্বাচিত হবে। লটারিতে নির্বাচিত হলে কৃষক সংশ্লিষ্ট গুদামে ধান দিতে পারবেন। নির্বাচিত কৃষক কি পরিমান ধান, কোন তারিখে দিবেন তা ওই অ্যাপসের মাধ্যমে ও মোবাইলে মেসেজে জানতে পারবেন । খাদ্য গুদামে ধান গৃহিত হলে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা অবিলম্বে চেক ইস্যূ করবেন এবং একইদিনে উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক উক্ত চেকে অনুমোদন দিলে, কৃষক তার ব্যাংক একাউন্টের মাধ্যমে ধানের মূল্য পাবেন।
আবেদন করার জন্য কৃষক সংশ্লিস্ট উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা (বিএস), ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারের উদ্যক্তা (ইউডিসি), উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক বা জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের সহায়তা নিতে পারবেন। এছাড়াও শেরপুর জেলা খাদ্য বিভাগ নিবন্ধনে সহযোগিতার জন্য উপজেলা ভিত্তিক কল সেন্টার চালু করেছে। কৃষক নিজে বা যে কোন ব্যক্তির সহায়তায় নিবন্ধন করতে পারবেন।
নিবন্ধনে সহায়তার জন্য সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৬ টা পর্যন্ত উপজেলা ভিত্তিক প্রদত্ত নাম্বারে ফোন করা যাবে। শেরপুর সদর-০১৭৭-৬৩২৬৬২৩, নালিতাবাড়ী-০১৭৯-৯১২৩২৬২, নকলা- ০১৭৬৬-০৩২০৪৬, শ্রীবরর্দী- ০১৯০৫-৮৭২২৭৭, ঝিনাইগাতি-০১৯১৪-৯১৫৯৩৯
এই ব্যাপারে শেরপুর জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মোঃ ফরহাদ খন্দকার নিউজ বাংলাকে বলেছেন, কৃষক হয়রানি মুক্তভাবে ঘরে বসে সহজে ধান বিক্রির জন্য আবেদন করতে এবং সকল তথ্য পেতে পারেন সেজন্যই সরকার কৃষকের অ্যাপে ধান ক্রয় শুরু করেছে। এটি খাদ্যশস্য সংগ্রহ ব্যবস্থাপনার সঙ্গে কৃষকের সম্পর্ক নিবিড় করবে। জেলার সকল কৃষকদের নিবন্ধন ও ধান বিক্রয়ে সকলকে সহযোগিতা করার জন্য আমরা সদা প্রস্তত আছি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।