পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
নির্বাচন কমিশনের প্রস্তাবিত স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান আইন-২০২০ সরকারি দলকে সর্বময় ক্ষমতা দিতে করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে বিএনপি। দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, এই নির্বাচন কমিশন (ইসি) কেনো কথাই শুনে না। তাদের যে দায়িত্ব সরকারের এজেন্ডাকে বাস্তবায়িত করা। সেই কাজই করে যাচ্ছে তাদের (নির্বাচন কমিশন) গঠনের পর থেকে। স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান নির্বাচনী আইনের তারা যে প্রস্তাব দিয়েছে- এটা অত্যন্ত একটা অসৎ উদ্দেশ্যেই তারা এই আইনের প্রস্তাব করেছেন। গতকাল রোববার বিকালে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, নির্বাচনী আইনের উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য একটাই যে, সরকারি দলকে সর্বময় ক্ষমতায় দিয়ে দেয়া এবং নির্বাচন কমিশনকে একটা ঠুটো জগন্নাথে পরিণত করা। এই নির্বাচন কমিশন তো কোনো রকমের পরিবর্তন হয়নি। উপরন্তু তারা আইন করে বিভিন্নভাবে এই সরকারের যাদের কোনো ম্যান্ডেট নেই তাদের হাতকে শক্তিশালী করার জন্য তারা করে যাচ্ছে।
স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান নির্বাচন আইনের বিভিন্ন অসঙ্গতি তুলে ধরে স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেন, নির্বাচনে কমিশনের প্রস্তাবিত আইনে অনেক মৌলিক বিধানই বদলিয়ে ফেলেছে। তারা যে নতুন আইনের প্রস্তাব করেছে সেই আইনের একটা বড় অংশ ধারা ৬৬ থেকে আরম্ভ করে প্রায় ৮৪ পর্যন্ত -এর কোনোটাই স্থানীয় সরকারের প্রচলিত যেসব আইন রয়ে গেছে তার কোনটার মধ্যে নেই। এসব আছে বিধি মালার মধ্যে। কিন্তু প্রস্তাবে তো নির্বাচন কমিশন আগে বলে নাই যে বিধিমালা থেকে এনে নতুন আইন করা হবে। কিন্তু বাস্তবে তারা সেটা করেছে। অর্থ্যাৎ তারা যেটা বলেছে তারা সেখান থেকে সরে গেছে।
তিনি বলেন, আলাদা আলাদা আইনসমূহকে একীভূত করে একক আইন প্রনয়ণ করা হলে ওই একীভূত আইন থেকে পৃথক পৃথক স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের জন্য সংশ্লিষ্ট বিধি-বিধান খুঁজে খুঁজে বের করে বুঝা বা আয়ত্বে আনা জটিল, কষ্টকর ও দুরুহ হয়ে পড়বে বিধায় কমিশনের এই উদ্যোগ অসঙ্গত ও পরিত্যাজ্য।
নজরুল ইসলাম বলেন, করোনা মধ্যে সোশ্যাল ডিসটেন্স বজায় রাখা দরকার, যখন সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ, যখন স্কুল কলেজ বন্ধ করে রাখা হয়েছে, যখন আমাদের ভার্চুয়াল মিটিং করা লাগে সেরকম সময়ে আপনি আমার দেশে সব মানুষ জড়িত কেউ ইউনিয়ন পরিষদে, কেউ পৌর সভায়, কেউ জেলা, উপজেলা, কেউ সিটি করপোরেশনে সম্পৃক্ত। যারা ভোটার ও প্রার্থী তাদের সঙ্গে কোনো পরামর্শ না করে বা তাদের মতামত দেয়ার সময় বা সুযোগ না রেখে ওয়েব সাইটে দিয়ে এই করোনার মধ্যে নতুন একটা আইন করতে হবে- এটা অর্থ হয় না, এটা জরুরি না। এটা নিয়ে দাবি নাই, আন্দোলন সংগ্রাম নাই। যেসব নিয়ে দাবি আছে নির্বাচন সুষ্ঠু করেন, যেখানে কারচুপি হয় তা বন্ধ করেন, দিনের ভোট যেন রাত্রে না হয়, ভোট কেন্দ্রে যেন সন্ত্রাস না হয়, প্রচারনায় যে বাঁধা হয়-সেগুলো বন্ধ করেন সেদিকে নির্বাচন কমিশনের কোনো আগ্রহ নাই। যেটা নিয়ে কথা-বার্তা নেই তা নিয়ে তারা ব্যস্ত হয়ে পড়েছে।
তিনি বলেন, প্রস্তাবিত নতুন আইনের প্রস্তাবে রিটার্নিং অফিসার, প্রিজাইডিং অফিসার, পোলিং অফিসার এর দীর্ঘদিনের পদবীগুলো বাংলা করণের প্রস্তাব, ফেরারি আসামীদের নির্বাচন করতে না দেয়া, প্রতিরক্ষা কর্মবিভাগসমূহকে নতুন আইনে অন্তুর্ভুক্ত না করা, ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের রাজনৈতিক মনোনয়ন দেয়া, প্রিজাইডিং অফিসার, সহকারি প্রিজাইডিং অফিসার পোলিং অফিসার নিয়োগের তালিকা বৈধ্য প্রার্থীদের দেয়া ব্যবস্থা না রাখা, ভোট গণনার সময়ে প্রার্থীদের এজেন্টদের না রাখা ইত্যাদি ব্যাপারে দলের আপত্তি তুলে ধরেন নজরুল ইসলাম খান।
তিনি বলেন, আমরা দাবি করছি, পৃথক পৃথক আইন থাকা সত্তে¡ও তাদেরকে একীভূত করে চলমান করোনা সংকটকালে প্রস্তাবিত স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান নির্বাচনী আইন-২০২০ প্রনয়নের এই অপ্রয়োজনীয় ও অযৌক্তিক উদ্যোগ থেকে কমিশন বিরত থাকবে। এটা আমরা আশা করছি। এতোসব যুক্তিসঙ্গত কারণ অগ্রাহ্য করে যদি কমিশন একচেটিয়াভাবে প্রস্তাবিত নতুন আইন প্রনয়নে উদ্যোগ হয় তাহলে বিএনপি দেয়া আইনের অসঙ্গতিসমূহ দুরীকরণ ও সংগত দাবিগুলো পুরণ এবং আমাদের সংশোধনী প্রস্তাবসমূগ সংশ্লিষ্ট আইনে সন্নিবেশিত করার জোর দাবি জানাচ্ছি।অন্যথায় এককভাবে কোনো আইন প্রনয়ন করা হলে তা দেশবাসীর কাছে গ্রহনযোগ্য হবে না।#
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।