প্রাক্তন প্রেমিকের নির্যাতনের শিকার অভিনেত্রী
মালায়ালাম সিনেমার অভিনেত্রী আনিকা বিক্রমন। প্রাক্তন প্রেমিক অনুপ পিল্লাই তাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করেছেন বলে অভিযোগ
স্টাফ রিপোর্টার : বাংলাদেশের চলচ্চিত্রে একের পর এক সুপার-ডুপার হিট সিনেমা প্রযোজনা করে ‘মুভিমোঘল’ হিসেবে উপাধি পেয়েছিলেন। নয়ন মনি, তুফান, বাদল, কুদরত, রাজসিংহাসন, রাজকন্যা, সওদাগর, পদ্মাবর্তী, সীমানা পেরিয়ে, সূর্যকন্যা, মা, শুভদা, চন্দ্রনাথ, রঙিন রূপবান, রঙিন কাঞ্চন মালা, আলীবাবা চল্লিশ চোর, ডিসকো ড্যান্সার, প্রেম দিওয়ানা, বাবার আদেশ এবং রঙিন নয়নমনির মতো একের পর এক সুপারহিট সিনেমা তিনি দর্শকদের উপহার দেন। তার প্রযোজিত এবং চাষী নজরুল ইসলাম পরিচালিত শুভদা ১২টি শাখায় জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পাওয়ার রেকর্ড গড়ে। চলচ্চিত্রে তার অসামান্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ১৯৭৮ সালে জনপ্রিয় পত্রিকা চিত্রালীর সম্পাদক আহমদ জামান চৌধুরী তাকে ‘মুভিমোঘল’ হিসেবে আখ্যায়িত করেন। সেই থেকে তিন যুগেরও অধিক সময় তিনি এ নামেই পরিচিত হয়ে আসছেন। বয়সের কারণে এখন তিনি সিনেমা প্রযোজনা থেকে বিরত রয়েছেন। তবে বয়স হলেও পরিবার ও ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানে নিয়মিত সময় দিচ্ছেন। প্রতিদিন অফিস করছেন, খোঁজখবর নিচ্ছেন, সামাজিক কর্মকাÐে অংশ নিচ্ছেন। জাহাঙ্গীর খান তার চলচ্চিত্রের গুরু হিসেবে মান্য করেন মরহুম আবদুল জব্বার খান এবং আবদুল মহিতকে। এ দুজনের ¯েœহ ও অনুপ্রেরণায় তিনি চলচ্চিত্র প্রযোজনায় যুক্ত হন। তবে চলচ্চিত্র প্রযোজনার আত্মপ্রকাশের নেপথ্যে প্রযোজক মহিতের উৎসাহ ছিল সবচেয়ে বেশি। সম্প্রতি বাংলাদেশ চলচ্চিত্র গ্রাহক সংস্থা চলচ্চিত্রের ষাট বছর পূর্তিতে সংগঠনটির কার্যালয়ে দশজন গুণী চলচ্চিত্র ব্যক্তিত্বের আজীবন পোর্ট্রটে প্রদর্শনের সিদ্ধান্ত নেয়। এই দশ জনের মধ্যে এ কে এম জাহাঙ্গীর খানের নাম লিপিবদ্ধ করলে তিনি সংগঠনটির কর্তব্যক্তিদের বলেন, আমার ছবি নয়, আমার ওস্তাদ মহিত সাহেবের ছবি লাগান। ওস্তাদকে রেখে শিষ্যর ছবি প্রদর্শন করা ভাল দেখায় না। পরবর্তীতে চলচ্চিত্র গ্রাহক সংস্থা ওস্তাদ শিষ্য দু’জনের ছবিই প্রদর্শন করার সিদ্ধান্ত নেন। উল্লেখ করা প্রয়োজন, প্রযোজক আবদুর মহিত পঞ্চাশের দশকে লিবার্টি ফিল্ম কর্পোরেশনের কর্ণধার এবং স্টার ফিল্ম কর্পোরেশন ও স্টার সিনেমাসহ ১০টি সিনেমা হলের কো-পার্টনার ছিলেন। রাজ্জাকের প্রথম ছবি বেহুলা’র পার্টনার প্রযোজক ছিলেন। এছাড়া তিনি একক প্রযোজনায় পাতালপুরীর রাজকন্যা, ল²ীবধূ ও আসমান জমিন নির্মাণ করেন। এ কে এম জাহাঙ্গীর খান, সাংবাদিকদের সহযোগিতার কথাও স্মরণ করেন। আহমদ জামান চৌধুরী, গোলাম সারওয়ার, অভিনয় কুমার দাস, ফজল শাহাবুদ্দিন, হারনূর রশিদ খান, শহীদুল হক খান, রফিকুজ্জামান প্রমুখের সহযোগিতার কথা এখনও স্মরণ করেন। অকপটে স্বীকার করেন, তাদের জন্যই আজ আমি সফল প্রযোজক হতে পেরেছি। বর্তমান সময়ের শিল্পী, কলাকুশলী ও সাংবাদিকরা মুভিমোঘল এ কে এম জাহাঙ্গীর খানকে চেনেন না। তারপরও জাহাঙ্গীর খানের বিশ্বাস, বর্তমান তরুণরাই পারবে রুগ্ন চলচ্চিত্র শিল্পকে মর্যাদার আসনে নিয়ে যেতে। সম্প্রতি তার প্রযোজনা সংস্থা আলমগীর পিকচার্সের সব ছবির প্রিন্ট, ফটোসেট, পোস্টার, স্থিরচিত্র বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভকে দান করে দিয়েছেন। তার এই মহানুভবতায় গর্বিত আর্কাইভ। তিনি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ছাড়াও, বাচসাস, উত্তরণ প্রভৃতি সংগঠন থেকে পুরস্কার পেয়েছেন। সম্প্রতি ডিসিআর ইউ সাংবাদিকদের এই সংগঠনটি তাকে আজীবন সম্মাননা পুরস্কার দিয়েছে। এ কে এম জাহাঙ্গীর খান একাত্তরে বহু মুক্তিযোদ্ধাদের অর্থসহ বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করেছিলেন। মুক্তিযোদ্ধাদের সহযোগিতা করার জন্য তাকে নাট্যসভার চল্লিশ বছর পূর্তি উপলক্ষে সম্মাননা এবং আবদুল জব্বার খান স্মৃতি পুরস্কার প্রদান করা হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।