নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুল্লার পশ্চিম তল্লায় বায়তুস সালাত জামে মসিজদে ভয়াবহ বিস্ফোরণের মামলায় মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি আবদুল গফুরকে গ্রেফতার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। তাকে গ্রেফতার করতে পুলিশের কোন বেগ পেতে হয়নি। তিনি ঘটনার পর থেকেই এলাকায় ছিলেন এবং বিভিন্ন সময়ে তদন্ত সংস্থাগুলোর সঙ্গে কথা বলেছেন ও যোগাযোগ রেখেছেন বলে জানিয়েছেন এলাকাবাসী। গত শুক্রবার রাত ১০টার তিকে তল্লা রেললাইন এলাকায় তার বাড়ির সামনে থেকে গ্রেফতার করা হয় তাকে। এ নিয়ে মোট ১১ জনকে গ্রেফতার করলো সিআইডি। নারায়ণগঞ্জ সিআইডি পুলিশের বিশেষ পুলিশ সুপার নাসির উদ্দিন বলেন, মামলার তদন্তভার গ্রহণের পর থেকেই মসজিদ কমিটির সভাপতি আবদুল গফুর ওরফে গফুর মেম্বারকে নজরদারিতে রেখেছিলাম। এতোদিন পর্যন্ত তাকে বিভিন্ন সময়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে এসেছি। তদন্তে তার গাফিলতি এবং অবহেলার সুষ্পষ্ট তথ্য প্রমাণ পেয়েছি। তাই এই মামলায় তাকে গ্রেফতার করেছি। সিআইডির এই কর্মকর্তা আরো বলেন, ঘটনার কারণ উদঘাটনে তিতাস, ডিপিডিসি ও মসজিদ কমিটিসহ সংশ্লিষ্টদের কার কার গাফিলতি আছে সেগুলো খতিয়ে দেখছি। ইতোমধ্যে এসব সংস্থার ১১ জন গ্রেফতার করেছি। তদন্তে যাদের দোষ প্রমাণ হচ্ছে তাদের সবাইকে পর্যায়ক্রমে আইনের আওতায় আনা হবে।

উল্লেখ্য, গত ৪ সেপ্টেম্বর রাতে এশার নামাজ চলাকালে বিদ্যুতের সর্ট সার্কিট ও গ্যাসের পাইপের লিকেজ থেকে এই মসজিদে বিস্ফোরণে প্রায় অর্ধশত মুসল্লি দগ্ধ হন। শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৩৪ জনের মৃত্যু হয়।