রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
কাজিপুর (সিরাজগঞ্জ) উপজেলা সংবাদদাতা : ইটের ভাটাগুলোতে আবাদী জমির উপরের অংশের মাটির ব্যাপক চাহিদা থাকায় সিরাজগঞ্জের কাজিপুরে ফসলি জমির উপরের অংশে মাটি কাটার হিড়িক চলছে। ফলে জমির উর্বরতা শক্তি ও উৎপাদন ক্ষমতা ক্রমশ হ্্রাস পাচ্ছে। কাজিপুরে ৮-১০টি গ্রামে এক শ্রেণির লোকদের প্রলোভনে পড়ে জমির মালিকরা সামান্য টাকার বিনিময়ে তাদের আবাদী জমির উপরের অংশের মাটি বিক্রি করে দিচ্ছে। শীত মৌসুমে শুরু হওয়া এ মাটি কাটার উৎসব এখনো চলছে। কাজিপুর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা কল্যাণ প্রসাদ পাল জানান, আবাদী জমির উপরের অংশের মাটি কাটার ফলে মাটির প্রধান খাদ্য নাইট্রোজেন, পটাস, সালফার, জিংক, ফসফরাস, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম ও আয়রনসহ অর্গানিক উপাদানের অপূরণীয় ক্ষতি হচ্ছে। এর ফলে জমি যে উর্বরতা হারাচ্ছে তা পূরণ হতে কমক্ষপে ৫ বছর সময় লাগবে। সীমান্ত বাজার ও পারুলকান্দি গ্রামে দুইটি ইটেরভাটা এলাকায় কয়েকটি গ্রামের অধিকাংশ ফসলি জমির উপরের অংশের মাটি কাটার হিড়িক চলছে। ওই দুইটি ইটভাটায় ইট তৈরির জন্য এ মাটি সববরাহ করা হচ্ছে। বিশেষ করে, কৃষকের দারিদ্র্যতা ও অজ্ঞতাকে পুঁজি করে মাটি সংগ্রহকারী ও দালালরা অর্থের লোভ দেখিয়ে আবাদী জমির মাটি কেটে নিচ্ছে। জানা যায়, প্রতিদিন ওইসব অঞ্চল থেকে শত শত ট্রাক্টর মাটি ইটভাটাগুলোতে যায়। এ ক্ষেত্রে আবাদী জমির মালিকরা প্রতি ট্রাক্টর মাটি ২০০ থেকে ৩০০ টাকায় বিক্রি করছেন। ওই টাকা থেকে দালাল পাচ্ছে প্রতি ট্রাক্টর বাবদ ৪০ থেকে ৫০ টাকা। এছাড়া কোনো কোনো গ্রামের জমির মালিকরা এককালীন নগদ টাকা পেয়ে জমির প্রায় দুই আড়াই ফুট গভীরতার মাটি ইটভাটার মালিকদের কাছে বিক্রি করছেন। অথচ জমির প্রধান উপাদান নষ্ট হয়ে মাটি বদলে যাওয়ার সম্ভাবনার বিষয়টি জমির মালিক বা কৃষকরা বুঝতে পারছেন না। কৃষিবিদরা মনে করছেন ভবিষ্যতের কথা ভেবে এখনি উচিত জমির মালিক বা কৃষকদের এ বিষয়ে সচেতন করা তোলা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।