রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
নওগাঁ জেলা সংবাদদাতা
নওগাঁর রানীনগরে আপদকালীন বর্ষালী ধান (আউশ) কাটার ধুম পড়েছে। এ আবাদ করে ব্যাপক লাভবান হচ্ছেন কৃষক। বর্ষার কারণে ধান কাটা মাড়াই কাজে কিছুটা বিঘœ সৃষ্টি হলেও ধানের ফলন ভালো এবং দামে এবার চরম খুশিতে রয়েছেন কৃষক। গত রোববার উপজেলার আবাদপুকুর মাঠে আউশ ধানের মাঠ পরিদর্শন শেষে ধান কেটে শুভ উদ্বোধন করেন কৃষি বিভাগের ঊর্ধŸতন কর্মকর্তারা। এসময় উপস্থিত ছিলেন নওগাঁ জেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা সত্যব্রত সাহা, ঢাকা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উদ্ভিদ রোগতত্ত্ববিদ পিপি ইউং জাহাঙ্গীর আলম, প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. আলীম উদ্দীন, ঊর্ধŸতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা হাবিবুল আলম, ড. মো. শফিকুল ইসলাম, ডিটিও কৃষিবিদ মো. মাসুদুর রহমান, এডিটি (শস্য) ড. আব্দুল আজিজ, উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা কৃষিবিদ এসএম গোলাম সারওয়ার প্রমুখ। রানীনগর উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি বর্ষা মৌসুমে উপজেলায় এবার প্রায় ৩ হাজার ২২৮ হেক্টর জমিতে বর্ষালী ধানের আবাদ করেছেন কৃষকরা। ধান রোপণের প্রথম থেকেই অনুকূল আবহাওয়া এবং রোগ-বালাই না থাকায় এবার বাম্পার ফলন হচ্ছে বর্ষালী ধানে। ইতোমধ্যে বর্ষালী ধান কাটা শুরু করেছেন কৃষকরা। প্রতি বিঘা জমিতে (৩৩ শতক) প্রায় ১৬/১৮ মণ হারে ধানের ফলন হচ্ছে। বাজারে ধানের দামও ভালো। প্রতি মণ ধান গত রোববার আবাদপুকুর বাজারে ৬৩০ থেকে ৬৫০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। ফলে খরচ বাদে এবার ভালো লাভ হওয়ায় সোনালী হাসিতে ভরে উঠছে কৃষকের মুখ। উপজেলার কালীগ্রাম কসবাপাড়া গ্রামের কৃষক জাহাঙ্গীর আলম, হরিপুর গ্রামের কৃষক পরিতোষ, সিলমাদার গ্রামের কৃষক ময়নুল হক ও ভেটি গ্রামের কৃষক নজরুল ইসলাম জানান, এবার প্রতি বিঘা জমিতে প্রায় ১৬/১৮ মণ হারে ধানের ফলন হচ্ছে। বর্ষার কারণে কাটা-মাড়াইয়ে কিছুটা বিঘœ সৃষ্টি হলেও বর্তমানে বাজারে ৬৩০-৬৫০ টাকা দরে ধান বিক্রি করতে পেরে তারা চরম খুশি রয়েছেন। অন্যান্য ধান আবাদের খরচের তুলনায় বর্ষালী আবাদে কম খরচে বেশি লাভ হওয়ায় আগামীতে আপদকালীন বর্ষালী ধানের আবাদ আরো বৃদ্ধি পাবে বলে জানান তারা। এব্যাপারে রানীনগর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা এসএম গোলাম সারোয়ার জানান, চলতি বর্ষা মৌসুমে বর্ষালী আবাদের জন্য কৃষি প্রণোদনা পাওয়ার কারণে কৃষকরা ধান চাষে আগ্রহী হয়ে ওঠে। বর্ষালী আবাদের জন্য আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় খুব ভালো ফলন ও সন্তোষজনক দাম থাকায় কৃষকরা লাভবান এবং চরম সন্তুষ্ট রয়েছেন। আশা করছি আগামীতে এআবাদ আরো বৃদ্ধি পাবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।