রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
নজরুল ইসলাম, গোয়ালন্দ (রাজবাড়ী) থেকে : রাজবাড়ী সদর উপজেলার ১৪টি ইউনিয়নে আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চেয়েছেন ৬৯ জন। জানা গেছে, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে আসন্ন ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য আগ্রহী নেতাকর্মীদের কাছ থেকে গত ১ ফেব্রুয়ারি দরখাস্ত আহ্বান করা হয়। গত ৪ ফেব্রুয়ারি ছিল দরখাস্ত জমা দেয়ার শেষ দিন। দলীয় ঘোষণার আলোকে বিভিন্ন ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের সম্ভাব্য চেয়ারম্যান প্রার্থীরা দলীয় কার্যালয়ে তাদের আবেদন জমা দেন। খানগঞ্জ ঃ এ ইউনিয়নে আবেদন জমা দিয়েছেন ৩ জন। এরা হলেন সাবেক চেয়ারম্যান খন্দকার গোলাম কিবরিয়া বাবলু, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ মোঃ আবু নাছের এবং বেলগাছী আলীমুজ্জামান উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক মোঃ শরীফুর রহমান সোহান। চন্দনী ঃ এ ইউনিয়নে আবেদন জমা দিয়েছেন ৯ জন। এরা হলেন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মোঃ আকরাম হোসেন, সাধারণ সম্পাদক শেখ আব্দুর রব, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোঃ সোলায়মান মিয়া সূর্য, সাংগঠনিক সম্পাদক সেলিম রেজা সেলিম, মোসলেম উদ্দিন মাষ্টার, মোঃ আলাউদ্দিন সেখ, ইউপি সদস্য হাবিবুর রহমান হবি ও তরুণ নেতা হাসান খান। মিজানপুর ঃ এ ইউনিয়নে আবেদন জমা দিয়েছেন ১৩ জন। এরা হলেন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মোঃ সালাম বিশ্বাস, সাধারণ সম্পাদক মোঃ টুকু মিজি, সাবেক চেয়ারম্যান কবির উদ্দিন শিকদার বাবলু, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক আনিছুর রহমান আনিস, মিজানপুর মধ্যাঞ্চলের সভাপতি মোঃ নজর মওলা, মিজানপুর পশ্চিমাঞ্চল আওয়ামী লীগের সভাপতি প্রদীপ কর, সাধারণ সম্পাদক মোঃ ফিরোজ আলম, ছাত্রলীগ নেতা এ্যাডঃ ইয়াছির আরাফাত রামিম, স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা আব্দুল মালেক ক্বারী, আব্দুল মাজেদ মোল্লা, শেখ ফরিদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ দুলাল ফকীর ও নবাগত মোঃ সাজেদুল হক রাজা। রামকান্তপুর ঃ এ ইউনিয়নে আবেদন জমা দিয়েছেন ৫ জন। এরা হলেন বর্তমান চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহিম মোল্লা, সাবেক চেয়ারম্যান আবুল হাশেম বিশ্বাস, উপজেলা কৃষক লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. আব্দুর রহিম মোল্লা, সদর থানা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মোঃ মুক্তার হোসেন মোল্লা ও সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক খান রাজু। বানীবহ ঃ এ ইউনিয়নে আবেদন জমা দিয়েছেন ৩ জন। এরা হলেন জেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ও সাবেক চেয়ারম্যান শেখ গোলাম মোস্তফা বাচ্চু, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মোঃ আব্দুল লতিফ মিয়া এবং সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ তোফাজ্জেল হোসেন। আলীপুর ঃ এ ইউনিয়নে আবেদন জমা দিয়েছেন ৫ জন। এরা হলেন সাবেক চেয়ারম্যান শাহীন সেখ, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল কাদের মিজি, সাধারণ সম্পাদক আবু বকার সিদ্দিক, মোঃ আনোয়ার হোসেন আবজাল এবং মোঃ আতাউল হক। দাদশী ঃ এ ইউনিয়নে আবেদন জমা দিয়েছেন ৬ জন। এরা হলেন বর্তমান চেয়ারম্যান লুৎফর রহমান বাচ্চু, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মোঃ রমজান আলী, সাধারণ সম্পাদক মোঃ জাহাঙ্গীর মিয়া, মোশারফ হোসেন, মোঃ ছোরাপ আলী সেখ এবং নুরুজ্জামান বিশ্বাস। বরাট ঃ এ ইউনিয়নে আবেদন জমা দিয়েছেন ৫ জন। এরা হলেন সাবেক চেয়ারম্যান ও সদর থানা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মেছের আলী খান, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ ফরিদ উদ্দিন সেখ, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা মোঃ আসজাদ হোসেন আরজু ও আব্দুস ছাত্তার, আব্দুল গফফার ফকীর। খানখানাপুর ঃ এ ইউনিয়নে আবেদন জমা দিয়েছেন ৩ জন। এরা হলেন সাবেক চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগ নেতা মুক্তিযোদ্ধা রেজাউল করিম লাল, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি হাবিবুর রহমান হবি, সাধারণ সম্পাদক আমির আলী মোল্লা। পাঁচুরিয় ঃ এ ইউনিয়নে আবেদন জমা দিয়েছেন ৩ জন। এরা হলেন বর্তমান চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি কাজী আলমগীর হোসেন, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আলহাজ দেওয়ান মোঃ নুরুজ্জামান মিয়া ও মোঃ শাহীনুজ্জামান। শহীদ ওহাবপুর ঃ এ ইউনিয়নে আবেদন জমা দিয়েছেন ৪ জন। এরা হলেন সাবেক চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগ নেতা নূর মোহাম্মদ ভুঁইয়া, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ শাহীন খান, রেজাউজ্জামান খান বাবু, তোরাব আলী মন্ডল। মূলঘর ঃ এ ইউনিয়নে একমাত্র আবেদন জমা দিয়েছেন সাবেক চেয়ারম্যান ও সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ মোঃ ওয়াহিদুজ্জামান। বসন্তপুর ঃ এ ইউনিয়নে আবেদন জমা দিয়েছেন ৭ জন। এরা হলেন বর্তমান চেয়ারম্যান মোঃ জাকির হোসেন, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মান্নান, বর্তমান চেয়ারম্যানের সহোদর মোঃ মোসলেম উদ্দিন সরদার, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান এ্যাডঃ ইমদাদুল হক বিশ্বাসের সহোদর মোঃ জাহিদুল ইসলাম বিশ্বাস, জেলা পরিষদ প্রশাসক আকবর আলী মর্জির দুই ভাতিজা সাবেক ছাত্রলীগ নেতা মীর্জা বদিউজ্জামান বাবু ও মীর্জা মোঃ আমিরুজ্জামান বিল্লাল এবং ইউপি সদস্য আমিনুল হক মুকুল। সুলতানপুর ঃ এ ইউনিয়নে আবেদন জমা দিয়েছেন ৩ জন। এরা হলেন সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক মিয়া, মোঃ লুৎফর রহমান চুন্নু ও আবুল হাশেম ফকীর। দলীয় সূত্রে জানা গেছে, পরবর্র্তীতে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক এবং উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের সাথে পরামর্শক্রমে প্রার্থী মনোনয়ন চূড়ান্ত করবেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।