এখনো গ্রেফতার হয়নি জোড়া খুন মামলার মূল আসামি। খুনের মামলার আসামিরা এখন প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে। নানা ধরনের ভয়, ভীতি ও হুমকি প্রদর্শন করছে। পরিবারের সদস্যরা রয়েছে তীব্র আতঙ্ক ও উৎকন্ঠায়। গত ২৯ সেপ্টেম্বর ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ উপজেলার লালপুর লামা বায়েক গ্রামে চাঞ্চল্যকর ইশান ও মনির হত্যাকান্ড সংগঠিত হয়। জোড়া খুনের ঘটনায় ২১ জনের নামে আশুগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ ঘটনায় গত এক মাসে শুধু মাত্র ১ জন আসামিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। অন্য আসামিরা প্রকাশ্যে, নির্বিঘ্নে এলাকায় ঘুরে বেড়াচ্ছে। জানা যায়, ২৯ সেপ্টেম্বর বিকেলে উপজেলার লালপুরে দুই যুবকের মধ্যে কথা কাটাকাটির জের ধরে লামাবায়েক গ্রামের মিলন মিয়ার ছেলে ইশান ও সিরাজুল ইসলামের ছেলে মনির হোসেনকে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। দোকানে আড্ডা দেয়ার সময় লামাবায়েক গ্রামের বাদশা মিয়ার বাড়ির আহমদ আলীর ছেলে আলী আজম ও বাচ্চু মিয়ার বাড়ির মতলব মিয়ার ছেলে দুলাল মিয়ার মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এসময় আলী আজম দুলালকে চর থাপ্পড় মারে। এরই সূত্র ধরেই দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে হামলা করে। ঘটনাস্থলে উপস্থিত ইশান ও মনির নিহত হয়। একই গ্রামের আলী আজ্জম, মাহফুজ ও শফিকুল ইসলামের নেতৃত্বে হামলা করে ধারালো অস্ত্রের আঘাতে হত্যা তাদের হত্যা করে নিহতরে স্বজনদের অভিযোগ। এ ঘটনায় ১ অক্টোবর আশুগঞ্জ থানায় ২১ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করা হয়। নিহত ইশানের বাবা মিজানুর রহমান জানান, হত্যাকান্ডের এতদিন পার হলেও আসামিদের ধরা হচ্ছে না। এখন আতঙ্কে রয়েছি। কখন কি ঘটে তা বলতে পারি না। ছেলেকে যারা হত্যা করেছে তাদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে বিচারের দাবি জানাচ্ছি। মা আকলিমা আক্তার জানান, ছেলেই ছিল একমাত্র ভরসা। ছেলেকে যারা মেরে ফেলেছে তারা এখনো মুক্ত আকাশের নিচে ঘুরছে আর আমরা কষ্টে দিন পার করছি। আসামিদের হুমকিতে এখন আতঙ্কে রয়েছি। 

পুলিশ সুপার মো. আনিসুর রহমান বলেন, হত্যাকান্ডের পর অপরাধীরা পালিয়ে থাকে। তাদের ধরতে বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালানো হয়েছে। খুব অল্প সময়ের মধ্যে তাদের অবস্থান চিহ্নিত করে অপরাধীদের আইনের আওতায় আনা হবে।