পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
নৌবাহিনীর এক কর্মকর্তাকে মারধরের ঘটনায় যেই জড়িত থাকুক তাকে আইনের আওতায় আনা হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। গতকাল সোমবার রাজধানীর ধানমন্ডির নিজ বাসভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে মন্ত্রী আরো বলেন, তাকে আইনের মুখোমুখি হতেই হবে। এ বিষয়ে কোন ছাড় দেয়া হবে না। সে যেই হোক। সে জনপ্রতিনিধি হোক বা যেই হোক।
ঢাকা-৭ আসনের সংসদ সদস্য হাজী সেলিমের ছেলে ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে নৌবাহিনীর এক কর্মকর্তাকে মারধরের ঘটনায় প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
গত রোববার রাতে কলাবাগানে নৌবাহিনীর এক কর্মকর্তাকে মারধরের ঘটনায় সোমবার হাজী সেলিমের ছেলে ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে ধানমন্ডি থানায় হত্যাচেষ্টার মামলা হয়েছে। নৌবাহিনীর লেফটেন্যান্ট ওয়াসিফ আহমদ খান বাদী হয়ে সোমবার ভোরে মামলাটি করেছেন। মামলার এজাহারে হাজী সেলিমের ছেলে এরফান সেলিম, তার বডিগার্ড মোহাম্মদ জাহিদ, মদিনা গ্রুপের প্রটোকল অফিসার এবি সিদ্দিক দিপু এবং গাড়িচালক মিজানুর রহমানের নাম উল্লেখ করা হয়। অজ্ঞাতনামা আরও দুই-তিন জনকে আসামি করা হয়েছে।
ওয়াসিফ আহমদ এজাহারে অভিযোগ করেন, গত রোববার রাতে নীলক্ষেত থেকে বই কিনে মোটরসাইকেলে করে তিনি মোহাম্মদপুরে তার বাসায় ফিরছিলেন। সঙ্গে তার স্ত্রীও ছিলেন। ল্যাবএইড হাসপাতালের সামনে তার মোটরসাইকেলটিকে পেছন থেকে ধাক্কা দেয় একটি গাড়ি। ওয়াসিফ আহমদ মোটরসাইকেল থামিয়ে গাড়িটির গ্লাসে নক করে নিজের পরিচয় দিয়ে ধাক্কা দেওয়ার কারণ জানতে চান। তখন এক ব্যক্তি বের হয়ে তাকে গালিগালাজ করে। তারা গাড়ি নিয়ে কলাবাগানের দিকে যায়। মোটরসাইকেল নিয়ে ওয়াসিফ আহমদও তাদের পেছনে পেছনে যান। কলাবাগান বাসস্ট্যান্ডে গাড়িটি থামলে ওয়াসিফ তার মোটরসাইকেল নিয়ে গাড়ির সামনে দাঁড়ান। তখন তিন-চার জন লোক গাড়ি থেকে নেমে বলতে থাকে, ‘তোর নৌবাহিনী/সেনাবিহিনী বাইর করতেছি, তোর লেফটেন্যান্ট/ক্যাপ্টেন বাইর করতেছি। তোকে আজ মেরেই ফেলবো’এই কথা বলে তাকে কিলঘুষি দিতে থাকে। পরে ট্রাফিক পুলিশ এসে তাকে উদ্ধার করে এবং হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। পথচারীরা এই দৃশ্য ভিডিও করেন, যা মুহূর্তেই ভাইরাল হয়ে যায়। ধানমন্ডি থানা পুলিশ এসে ঘটনাস্থল থেকে গাড়িটি থানায় নিয়ে যায়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।