পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
পদ্মা নদীর কাঁঠালবাড়ি-শিমুলিয়া নৌরুট। এখানেই মাথা তুলে দাঁড়াচ্ছে স্বপ্নের পদ্মা সেতু। দক্ষিণাঞ্চলের সঙ্গে রাজধানী ঢাকার যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম এ নৌরুট। পারাপারের জন্য রয়েছে ফেরি, লঞ্চ ও স্পিডবোট। তবে নাব্যতা সঙ্কটের কারণে অনেকদিন ধরেই বন্ধ রয়েছে ফেরি চলাচল। সম্প্রতি সাধারণ যাত্রীদের অন্যতম বাহন লঞ্চও ঠেকে যাচ্ছে প্রমত্তা পদ্মার ডুবোচরে।
ফলে নৌপথ পাড়ি দিতে বিরক্ত ও ভোগান্তি পোহাতে হয় যাত্রীদের। মাঝে মধ্যে নাব্যতা সঙ্কট প্রকট আকার ধারণ করলে বন্ধ রাখতে হয় লঞ্চ চলাচলও। কয়েকদিন আগেও টানা দু’দিন বন্ধ ছিল লঞ্চ চলাচল। চ্যানেলটিতে খনন কাজ করে চলাচলের উপযোগী করা হলেও তার স্থায়ীত্ব থাকছে না। চ্যানেল পার হতে গেলেই লঞ্চের তলদেশের ধাক্কা লাগছে ডুবোচরে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, প্রায় ৬ কিলোমিটার দূরত্বের কাঁঠালবাড়ি-শিমুলিয়া নৌরুটের অর্ধেক পথ চরঘেরা প্রশস্ত ক্যানেলের মতো। শিবচরের কাঁঠালবাড়ি ঘাট থেকে এ পথটুকু পার হয়ে মূল পদ্মায় যেতে হয় নৌযানগুলোকে। কাঁঠালবাড়ি ঘাট থেকে মূল পদ্মায় যেতে পদ্মা সেতুর নিচ দিয়ে পাড়ি দিতে হয় নৌযানগুলোকে। পদ্মা সেতুর পিলার ঘেঁষে লঞ্চগুলো মূল পদ্মায় যাওয়ার আগ পর্যন্ত পথের প্রায় স্থানেই ডুবোচরের সঙ্গে ধাক্কা লাগে। পানি কম থাকায় লঞ্চের তলদেশ ঠেকে যায় মাটিতে। পথটুকু পার হতে লম্বা বাঁশ ফেলে পানির গভীরতা মেপে এগুতে হয় লঞ্চগুলোকে। এতে লঞ্চের তলদেশ ও প্রপেলার ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকে বলে জানান লঞ্চ চালকরা।
গতকাল সকালে সরেজমিনে দেখা গেছে, শিমুলিয়া থেকে স্বাভাবিক গতি নিয়ে দ্রæততার সঙ্গে মূল পদ্মানদী পার হয়ে চ্যানেলে প্রবেশ করতেই লঞ্চের গতি কমাতে হচ্ছে। কখনো ধীর গতি আবার কখনো অধিক গতিতে গর্জন তুলছে লঞ্চের ইঞ্জিন। ডুবোচরের সঙ্গে লঞ্চের তলদেশে ধাক্কা লেগে লেগে উচ্চ গতির কারণে এগিয়ে চলে। কিছুপথ গতি নিয়ে গিয়ে ডুবোচরে ধাক্কা লেগে থেমে যাচ্ছে। এরপর পদ্মা সেতুর পিলার ঘেঁষে সতর্কতার সঙ্গে সেতু অতিক্রম করতে হচ্ছে। সেতুর নিচ দিয়ে পানি প্রবাহের গতি বেশি থাকায় লঞ্চগুলোকে অধিক সতর্কতার সঙ্গে চলতে হচ্ছে যাতে করে সেতুর পিলারে ধাক্কা না লাগে।
লঞ্চ চালকদের সঙ্গে আলাপ করলে তারা জানান, চ্যানেলে পানি কম থাকায় লঞ্চ ঠেকে যাচ্ছে। মাঝে মধ্যেই লঞ্চ ডুবোচরে আটকে থাকছে। লঞ্চ চলাচল হুমকির মুখে রয়েছে। পানি আরও কমে গেলে লঞ্চ চলাচল বন্ধই হয়ে যাবে।
এদিকে লঞ্চ চলাচল স্বাভাবিক রাখার জন্য চ্যানেলের কিছু অংশ খনন করতেও দেখা গেছে। তবে লঞ্চ চালকরা জানান, নৌরুটের নাব্যতা সঙ্কট কোনোভাবেই কাটছে না। শীত মৌসুমে আরও ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠবে এ নৌরুট।
বিআইডবিøউটিএর কাঁঠালবাড়ি লঞ্চ ঘাটের ট্রাফিক ইন্সপেক্টর আক্তার হোসেন বলেন, চ্যানেলে পানি কম থাকায় লঞ্চের তলদেশ ঠেকে যায়। গত সপ্তাহে এ কারণে দু’দিন লঞ্চ বন্ধ রেখেছিল চালকরা। এখন লঞ্চ চলছে তবে পদ্মা সেতু অতিক্রম করে চ্যানেল পার হতে গিয়ে বার বার ডুবোচরে ধাক্কা খেতে হয় লঞ্চের। কাঁঠালবাড়ি ঘাট থেকে মূল নদীতে প্রবেশের আগ পর্যন্ত চ্যানেল অতিক্রম করতে অধিক সতর্কতা অবলম্বন করে চলতে হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।