মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
বর্তমান বিশ্বে হীরার আংটি দুষ্প্রাপ্য কিংবা দুর্মূল্য নয়। একটু সঞ্চয় করে যে কোনো চাকরিজীবী সারাজীবনের অন্যতম দাবি সম্পদ হিসেবে একটা হীরার আংটি কিনতেই পারেন। বিয়ের এনগেজমেন্ট রিং হিসেবে তো হীরার চাহিদা বাড়ছেই।
বলুন তো আপনার কেনা আংটিতে কতটি হীরা থাকবে বলে ধারণা? এক, দুই করে গুনতে গুনতে পাঁচের বেশি যে কেউ এগোতেই পারবেন না। আর এখানেই আমার-আপনার সঙ্গ কোট্টি শ্রীকান্তের পার্থক্য।
ভারতের হায়দরাবাদের এক জুয়েলারীর মালিক তথা ডিজাইনারের তৈরি করা একটি আংটিতে কতগুলো হীরা আছে জানেন? অনুমানও করতে পারবে না। পদ্মফুল আকারের আংটিতে হীরার সংখ্যা ৭৮০১! তার এই সৃষ্টিই গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে আলো ছড়িয়েছে।
ব্রহ্মকমল হিমালয়ের কোলে ফোটা দুষ্প্রাপ্য এক ফুল। সেই ফুলই কোট্টি শ্রীকান্তের সৃজনের অনুপ্রেরণা। ভেবেই রেখেছিলেন, হীরার আংটি যখন গড়তেই বসেছেন, তখন তাতে ফুটিয়ে তুলবেন ব্রহ্মকমল। যেমন ভাবনা তেমনই কাজ। দুই বছর আগে নিষ্ঠার সঙ্গে কাজে হাত দেন।
২০১৮ সালের সেপ্টেম্বর মাস থেকে তার অসীম ধৈর্য ও মনোযোগ আর হাতের জাদুতে হীরা আকার পেয়েছে একটি পদ্ম। কাজ কিন্তু সহজ ছিল না মোটেই। এ ধরনের একটি ফুল ফোটাতে হলে তাকে স্তরে স্তরে সাজাতে হয়। মোট ছয়টি স্তর আছে এতে। পাঁচটি স্তরে মোট আটটি পাপড়ি, আর শেষ স্তরে রয়েছে ছয়টি পাপড়ি।
ফুলের একেবারে কেন্দ্রে রয়েছে হীরাখচিত তিনটি রেণু। ১১ মাসের অক্লান্ত পরিশ্রমে ব্রহ্মকমলের আদলে অঙ্গুরীয় তৈরি করে ফেলেন কোট্টি শ্রীকান্ত। গুনে দেখেন, আংটিতে রয়েছে মোট ৭৮০১টি হীরা! একটিও কম নয়। আর সেটা গত বছরের আগস্টে।
এরপর নিজে সৃষ্টিকর্ম গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডের জন্য পাঠান হায়দরাবাদের ডিজাইনার। গত মাসে গিনেস কমিটি তার এই সৃষ্টিকে বিশ্ব দরবারে স্বীকৃতি প্রদান করে। ৭৮০১টি হীরে দিয়ে কীভাবে শ্রীকান্ত আংটি তৈরি করলেন, তার একটি ভিডিও নিজেদের সোশ্যাল মিডিয়া পেজে শেয়ার করেছে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ড কমিটি।
গিনেসের স্বীকৃতি পেয়ে স্বভাবতই উচ্ছ¡সিত কোট্টি শ্রীকান্ত। তিনি বলেন, ‘অন্য ধরনের অলঙ্কার সৃষ্টিতে আমার যে ভাবনা, যে নিষ্ঠা, তাকে স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য আমি কৃতজ্ঞ গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ড কমিটির কাছে। আরও অনুপ্রেরণা পেলাম।’
নিজের শোরুমে গত ২০ অক্টোবর থেকে এই বহুমূল্য আংটি রেখেছেন জনসাধারণের দেখার জন্য। আর তা চোখে পড়ামাত্রই লোকজনের মাঝে ফিসফাস শুরু হয়ে গেছে। কত দাম হবে ৭৮০১ হীরেখচিত আংটির? এর উত্তর অবশ্য মেলেনি। সূত্র : দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস/টাইমস নাউ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।