Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

তৃতীয় যুদ্ধবিরতিও স্থায়ী হলো না আর্মেনিয়া-আজারবাইজানের

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৭ অক্টোবর, ২০২০, ১২:০১ এএম

বিরোধীয় নাগোরনো-কারাবাখ নিয়ে আর্মেনিয়া ও আজারবাইজানের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় তৃতীয় মানবিক যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের পাল্টাপাল্টি অভিযোগ করেছে দেশ দুটি।শুক্রবার থেকে ওয়াশিংটনে টানা আলোচনার পর রোববার দুই দেশ যুদ্ধবিরতির সম্মতিতে পৌঁছায়।সোমবার সকাল থেকে বাকু ও ইয়েরেভেনের মধ্যে যুদ্ধবিরতির পালনে কথা থাকলেও পাল্টাপাল্টি গোলাবর্ষণের অভিযোগ করে উভয় দেশ।
আজারবাইজানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সোমবার সকালে সব দায় চাপিয়ে দিয়েছেন আর্মেনিয়ার ওপর।অন্যদিকে আর্মেনিয়ার প্রশাসন দায় চাপাচ্ছে আজারবাইজানের ওপর।
আজারবাইজানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, টার্টার শহরের আগদাম অঞ্চলে ভারী গোলাবর্ষণ করেছে আর্মেনীয় বাহিনী।এতে বেসামরিক নাগরিকদের বসতি ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। মন্ত্রণালয়ে এক বিবৃতিতে বলা হয়, আর্মেনীয় বাহিনী আমাদের সেনাবাহিনীর ঘাঁটি ও বেসামরিক নাগরিকদের বসতি লক্ষ্য করে গোলাবর্ষণ করে।
প্রায় এক মাস ধরে নাগোরনো-কারাবাখ নিয়ে যুদ্ধে জড়িয়েছে আর্মেনিয়া ও আজারবাইজান। প্রথম থেকেই দুই দেশকে শান্তি বৈঠকে বসানোর চেষ্টা করছে রাশিয়া। দুইবার যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবও হয় রাশিয়ার মধ্যস্থতায়।কিন্তু অভিযোগ, যুদ্ধবিরতি ঘোষণা হওয়ার কয়েক মিনিটের মধ্যেই তা লঙ্ঘন করেছে দুইটি দেশ। এরই মধ্যে গত সপ্তাহে ফের দুই দেশকে আলোচনার টেবিলে বসায় মস্কো।গত বৃহস্পতিবার মস্কোয় পররাষ্ট্রমন্ত্রীর উপস্থিতিতে বৈঠক করেন আর্মেনিয়া এবং আজারবাইজানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী। কিন্তু তাতেও সমাধান হয়নি।
এরপর প্রথমে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও এবং পরে মার্কিন ক‚টনীতিবিদদের সঙ্গে বৈঠক করেন আর্মেনিয়া ও আজারবাইজানের প্রতিনিধিরা। দীর্ঘ বৈঠকের পর রোববার সন্ধ্যায় নতুন করে যুদ্ধবিরতির সিদ্ধান্ত হয়। আমেরিকা, আজারবাইজান ও আর্মেনিয়া যৌথ বিবৃতি প্রকাশ করে। সেখানে বলা হয় মানবিক কারণে সোমবার সকাল ৮টা থেকে যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করা হচ্ছে।
কিন্তু সোমবার সকাল হতেই আজারবাইজানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী দাবি করেন, আজারি শহর টার্টারে আক্রমণ চালিয়েছে আর্মেনিয়া। সেখানে শেলিং করা হয়েছে। পাল্টা অভিযোগ করে আর্মেনিয়াও। তাদের দাবি, আজারি সেনাবাহিনী প্রথম যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করেছে।
এদিকে রোববার ইরান জানিয়েছে, আর্মেনিয়া ও আজারবাইজানের সীমান্তে তারা সেনার সংখ্যা কয়েকগুণ বৃদ্ধি করেছে। ইরান যাতে দুই দেশের যুদ্ধ ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, সে জন্যই এই ব্যবস্থা। এর আগে ইরান দাবি করেছিল, দুই দেশের গোলায় বিধ্বস্ত হয়েছে ইরানের সীমান্তবর্তী একটি অঞ্চল। সূত্র : রয়টার্স, ইয়েনি শাফাক ও এএফপি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ