নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী মাসের মাঝামাঝিতে ফের আন্তর্জাতিক ফুটবলে ফিরছে বাংলাদেশ জাতীয় দল। ফিফা উইন্ডো অনুযায়ী আগামী ১৩ ও ১৭ নভেম্বর নেপাল জাতীয় দলের বিপক্ষে দু’টি আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ। বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে ম্যাচ দু’টি অনুষ্ঠিত হবে।
নেপাল ম্যাচেই স্টেডিয়ামে দর্শক ফেরাতে চায় বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)। সোমবার এমন আভাষই দিয়েছেন বাফুফের সাধারণ সম্পাদক মো. আবু নাইম সোহাগ।
প্রাণঘাতি করোনাভাইরাসের কারণে প্রায় চারমাস বিশ্বের সব ধরণের ফুটবল খেলা বন্ধ থাকার পর ফের তা মাঠে ফিরে গত জুনে। এরই মধ্যে বিশ্বের নামি সব লিগের খেলা শেষ হয়েছে। শুরু হয়েছে নতুন মৌসুম। করোনাকালেই বিশ্বের অনেক দেশে ফুটবল মাঠে ফিরলেও প্রাণঘাতি এই ভাইরাসের সংক্রমণের আশঙ্কায় দর্শক কিন্তু স্টেডিয়ামে ফেরেননি। সব দেশে দর্শকশূণ্য স্টেডিয়ামেই খেলা হচ্ছে। লা লিগা, ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ, সিরি আ, লিগ ওয়ান ও বুন্ডেসলিগা-ইউরোপের এই সেরা পাঁচ লিগ চলছে দর্শকশূন্য স্টেডিয়ামে। দক্ষিণ আমেরিকা অঞ্চলের বিশ্বকাপ বাছাই, উয়েফা নেশন্স লিগের অধিকাংশ ম্যাচে দর্শকরা মাঠে প্রবেশের অনুমতি পাচ্ছেন না। যদিও লা লিগা স্টেডিয়ামে দর্শক ফেরানোর উদ্যোগ নিচ্ছে বলে মিডিয়ায় খবর এসেছে। তবে করোনাকালের কঠিন এ সময়ে নেপাল ম্যাচকে সামনে রেখে খেলায় দর্শক ফেরানোর উদ্যোগ নিতে যাচ্ছে বাফুফে। স্বাস্থ্যবিধি ও সরকারী নির্দেশনা মেনে নেপালের বিপক্ষে জাতীয় দলের প্রীতি ম্যাচে বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে ধারণক্ষমতার এক তৃতীয়াংশ দর্শক ফেরানোর প্রাথমিক সিদ্ধান্ত বাফুফের। বিশ্বের অন্য দেশগুলোতে করোনাঝুকি মাথায় নিয়ে আরও চারমাস আগে ফুটবল মাঠে ফিরলেও নেপাল ম্যাচ দিয়ে বাংলাদেশের ফুটবল মাঠে ফিরছে দীর্ঘ ৮ মাস পরে। দেশে সর্বশেষ গত মধ্য মার্চ পর্যন্ত ঘরোয়া আসর বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) খেলা হয়েছিল। তাই ¯্রােতের বিপরীতে ফুটবল ও দর্শক দুটোই একসঙ্গে মাঠে ফেরানোর ভাবনা বাফুফের। এ নিয়ে গত রোববার আন্তঃমন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সভায় বসেছিল তারা। করোনা শঙ্কা থাকলেও স্বাস্থ্যবিধি ও সরকারের নির্দেশনা মেনেই সবকিছু করা হবে বলে জানান বাফুফের সাধারণ সম্পাদক সোহাগ। তার কথায়,‘এ ব্যাপারে ফিফার তিন ধরনের প্রটোকল রয়েছে। যেগুলো হচ্ছে- মাঠে কোনো দর্শক থাকবে না, গ্যালারি ভরা দর্শক থাকবে এবং সীমিত দর্শক থাকবে। বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামের ধারণক্ষমতা যেহেতু প্রায় ২৬ হাজার, তাই আমরা চাচ্ছি সামাজিক দূরত্ব মেনে সর্বোচ্চ এক তৃতীয়াংশ দর্শকের জন্য আট বা নয় হাজার টিকিট ছাড়তে।’
সোহাগ আরও বলেন,‘বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে যেহেতু ইনডিভিজ্যুয়াল সিটিং ক্যাপাসিটি ও চেয়ার নেই, গ্যালারি সিস্টেম রয়েছে, তাই মার্কিং করে নূন্যতম দুই থেকে তিন ফুট সামাজিক দূরত্ব মেনে দর্শকরা বসতে পারেন। এ বিষয়গুলো আমরা আন্তঃমন্ত্রণালয় তুলেছি এবং সভায় প্রস্তাবনায় রেখেছি। এ ব্যাপারে যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মন্ত্রণালয়ের সচিবের সঙ্গে কথা বলে তাদের আরও কোনো পর্যবেক্ষণ থাকলে আমাদের জানাবেন বলে জানিয়েছেন।’ তিনি জানান, সর্বোচ্চ সতর্কতা বজায় রেখে নেপাল-বাংলাদেশ ম্যাচে স্টেডিয়ামে দর্শক ফেরানো নিয়ে বিরামহীন কাজ করে যাচ্ছে বাফুফে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।