বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
অন্যের বিশ্বাস ও ধর্মীয় স্পর্শকাতর বিষয়গুলোতে কটাক্ষ করাই কি মত প্রকাশের স্বাধীনতা? নিজের পরিচিতি বাড়ানোর চিন্তায় আর জনপ্রিয়তা অর্জনের মোহে এসব সস্তা পন্থা কী সমাজে অস্থিরতা সৃষ্টি করছে না? ইদানিং কিছু উঠতি বয়সী লেখক-লেখিকা আর আধুনিক কিছু তরুণ শিক্ষার্থী ও সুশীল সমাজের অংশীদারদের মধ্যে এমন কিছু বিষয় লক্ষ্য করার ফলে এমন প্রশ্ন সামনে চলে এসেছে। এর ফলে বাড়ছে সামাজিক অস্থিরতা। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতির শঙ্কাও তৈরি হচ্ছে। সম্প্রতি এমন খাতায় নাম লিখিয়েছেন তরুণ লেখিকা রোকেয়া লিটা। তার ফেসবুক স্ট্যাটাস অবলম্বনে ইনকিলাব পাঠকদের জন্য প্রতিবেদনটি তৈরি করেছেন মোহাম্মদ আবদুল অদুদ।
পবিত্র আজান, পুরুষ, এমনকি পবিত্র কুরআনের আয়াত উদ্ধৃত করে তাচ্ছিল্য আর অসম্মানজনক, ব্যঙাত্মক বিশ্লেষণ করে রোকেয়া লিটা তার ফেইসবুক ওয়াল পরিপূর্ণ করেই যাচ্ছেন। অনেকে তার পোস্ট এ আলোচিত "তসলিমা নাসরিনের" নতুন ভার্সন হিসাবে মন্তব্য করছেন। কেউ কেউ সমালোচনা করছেন এবং ধর্মীয় অনুভুতিতে আঘাত হানার দায়ে তাকে বিচারের আওতায় আনার দাবী জানাচ্ছেন। কিন্তু তিনি ডেম কেয়ার পোস্ট করেই যাচ্ছেন। তার ফেসবুক ওয়াল জুড়ে ওসব ইসলাম বিদ্ধেষী লেখা ছাড়া তেমন ভালো কোন পোস্ট চোখে পড়ছে না। তিনি একটি পোস্টে লিখেছেন, ধর্মীয় অনুভূতি আবার কি জিনিস? আপনার ধর্মীয় অনুভূতি ভালো রাখার সকল ক্ষমতা আপনার আছে, আল্লারেও আপনার দরকার নাই এই ক্ষেত্রে। যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তারা কি আজানের মতো মাইকিং করে লোকজনের অনুভূতিতে আঘাত করতেছে? তিনি লিখেন, আমার ৩৫ বছরের জীবনে আযানের অপকারীতা ছাড়া কোনো উপকারীতা দেখি নাই। ঢাকা শহরে একসাথে একাধিক মসজিদের বেসুরো আজান শুধু আমার অনুভূতিতে আঘাত করেনি, দৈনন্দিন জীবনে মারাত্মক সমস্যা তৈরি করেছে। দুই মাসের তিতিরকে ঘুম দিয়ে যেই না জরুরী একটা কাজ করতে যেতাম বা খেতে গেলাম, অমনি দেখা গেল বাসার পাশের সবচেয়ে নিকটবর্তী মসজিদটা থেকে এমন জোরে আজান দিলো। মেয়ে আমার গভীর ঘুম থেকে চমকে উঠে হাউমাউ করে কেঁদে উঠল। হাত ধোয়ারও সময় পেতাম না, কতবার যে খাওয়া ছেড়ে এসে বাচ্চাকে বুকে নিয়ে হাঁটতে হাঁটতে থামাতে হয়েছে!
তো এই যে বাংলাদেশে এইভাবে আজান দিয়ে কত মানুষের অনুভূতিতে, শরীরে, মনে আঘাত করা হচ্ছে তার বিচার কি ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টে পাওয়া যাবে? আমরা যারা আজানকে এড়িয়ে যেতে পারি না, বাধ্য হই শুনতে তারা কী করব? যখন মাইক ছিল না, তখন নাকি সূর্য্যদয়, সূর্যাস্ত অথবা বেলা দেখে মানুষ নামাজে যেতো। তারপর মাইকিং করা শুরু হলো। এখন তো মানুষের হাতে হাতে মোবাইল ফোন, লন্ডনে দেখি ধার্মিকরা সবাই যার যার ফোনে আজানের অ্যালার্ম দিয়ে রাখে। তাহলে এখনও কেন আজান নামক এই বেসুরো শব্দসন্ত্রাস চালিয়ে শিশু, অসুস্থ্য ও অন্য ধর্মের ব্যক্তিদের মনে আঘাত করা হচ্ছে? এর বিচার কি ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টে পাওয়া যাবে? এই অ্যাক্ট কি কেবল একটি বিশেষ ধর্মীয় গোষ্ঠীর জন্য বানানো হয়েছে?
এমনকি রোকেয়া লিটা তার ফেসবুক ওয়ালে পবিত্র কুরআনের বাণী তুলে ধরে স্পর্শকাতর ব্যাখ্যা করে যাচ্ছেন, যা কোনভাবেই কাম্য হতে পারে না। এছাড়াও তিনি "আসসালামু আলাইকুম ও আল্লাহ হাফেয" বিতর্কে মামলায় জড়িয়ে যাওয়া ঢাবি শিক্ষক জিয়া রহমানের পক্ষে সাফাই গেয়ে তার সমালোচনাকারীদেরও তীব্র নিন্দা জানিয়ে পোস্ট দিচ্ছেন। তার পোস্টের কমেন্টেও এহেন ধর্মীয় উসকানীমূলক বক্তব্যের প্রতিবাদ জানানোর পাশাপাশি ধর্মীয় অনুভুতিতে আঘাত হানার দায়ে তাকে গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি জনিয়েছেন অনেকেই। তার এসব পোস্টের প্রতিক্রিয়ায় সালমা আক্তার লিমা লিখেছেন, ফালতু মহিলা। আজান নাকি বেসুরা, ছাগল একটা, এর থেকে সুমধুর কোনো সুর দুনিয়াতে আছে? মহিউদ্দিন নামে একজন লিখেন, আমি আমার ছোটবেলা থেকে শুনে আসছি আযান দিলে শয়তানের অসস্থি লাগে। তবে জানতাম শয়তান অপ্রকাশ্য কিন্তু ইদানিং দেখতেছি শয়তানও প্রকাশ্যে শয়তানি করতেছে। এমন শত শত কমেন্টে নানা কুরুচিপূর্ণ ও শ্রবণ অনুপযোগী প্রতিক্রিয়াও দেখিয়েছে অনেকে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।