রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
ফরিদপুর জেলা সংবাদদাতা
ফরিদপুরের চরভদ্রাসন উপজেলা সদর ইউনিয়নের এমপি ডাঙ্গী গ্রামের পাকা রাস্তার মোড় নামক এলাকায় পদ্মা নদীর তীব্র ভাঙন অব্যাহত রয়েছে। এতে গত ক’দিনে প্রায় ৮০ একর ফসলি জমি বিলীন হয়েছে। পদ্মা নদী উপজেলার প্রধান পাকা সড়কের মাত্র ৩০ মিটার উত্তরে অবস্থান করছে। তাই জেলা শহরে যাতায়াতের জনাকীর্ণ সড়কটি পদ্মা নদীর হুমকির মুখে রয়েছে। একই সাথে ভাঙন কবলিত ওই পয়েন্টের বসতিরা চরম হতাশা ও শঙ্কায় দিন কাটাচ্ছেন। গত রোববা গ্রামের বাসিন্দা ইসমাইল শেখ (৫২) আর্তনাদ করে খড়স্রোতা পদ্মা নদীর ভাঙন পয়েন্টে লাফ দিতে উদ্যাত হলে এলাকবাসী তাকে থামায়। সে অশ্রু ভেজা চোখে জানায়, “পদ্মা নদীর তিনবার ভাঙনের পর এখানে এসে বসতি গড়েছি। মজুর খেটে, টেম্পু চালিয়ে, কত কষ্ট করে বসতি গড়েছি। এখন বয়স হয়ে গেছে তাই আবারও পদ্মায় বাড়ি ভাঙলে আমাগো ভিক্ষার ঝুলা হাতে নিতে হইবো”। এদিকে পদ্মা নদীর উক্ত ভাঙন কবলিত পয়েন্টে উপজেলা চেয়ারম্যান এজিএম বাদল আমিন, নির্বাহী অফিসার ফারজানা সিদ্দিকা, এসিল্যান্ড পারভেজ চৌধুরী, ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ আজাদ খান ও ফরিদপুর পাউবো’র কর্মকর্তা কর্মচারীরা পরিদর্শন করেছেন। জানা যায়, উপজেলা পরিষদ থেকে মাত্র ২ কি.মি. পশ্চিমে এমপি ডাঙ্গী গ্রামে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ঘেষে জেলা শহরে যাতায়াতের প্রধান পাকা সড়ক। আর এ প্রাইমারি স্কুলের পিছনে পাকা রাস্তার মোড় পয়েন্টে মাত্র ৩০ মিটার উত্তরে পদ্মা নদীর ভাঙন অব্যাহত রয়েছে। গত রোববার ফরিদপুর পাউবো’র উপ-প্রকৌশলী চরভদ্রাসন এলাকায় দায়িত্বরত মোঃ জহিরুল ইসলাম জানান, সকাল থেকে ভাঙনমুখী এলাকায় অবস্থান করছি। এই মুহূর্তে ২৫ লাখ টাকা বরাদ্দ হলে আপাতত ভাঙন কবলিত পয়েন্ট ঠেকিয়ে দেওয়া সম্ভব। উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ প্রধান সড়কটি রক্ষার জন্য এখন অন্তত ১০ হাজার বালুর বস্তা দরকার। তিনি আরও জানান, পদ্মা নদীর উক্ত পয়েন্টে দু’টি চ্যানেল রয়েছে। একটি চ্যানেলের খড়স্রোত ঘুরপাক করে অপর চ্যানেলের উপর আঘাত হানছে। ভাঙন কবলিত পয়েন্টের মাত্র ১শ’ মিটার পূর্ব দিকে এ বছর বর্ষার আগে ১ কোটি ২০ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা হয়েছে ১২৫ মিটার বাঁধ। আর বাঁধের পাশেই দেখা দিয়েছে তীব্র ভাঙন। তিনি ঊর্ধ্বতন মহলে পদ্মা নদীর অবস্থাটা জানিয়েছেন বলেও জানান। এদিকে উপজেলা সদর ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ আজাদ খান বলেন, এমপি ডাঙ্গী গ্রামের রাস্তার মোড় পয়েন্ট ভেঙে গেলে পদ্মা নদী এক ধাক্কায় উপজেলা পরিষদ চত্তরে এসে ঠেকবে। তাই দ্রুত এ ভাঙন প্রতিরোধ করা দরকার। আর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফারজানা সিদ্দিকা জানান, পদ্মা নদীর ওই পয়েন্টে ভাঙন প্রতিরোধে কাজ করার জন্য ঊর্ধ্বতন মহল, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ সবাইকে জানানো হয়েছে, দ্রুত পদক্ষেপ না নিলে উপজেলা পরিষদই হুমকির মুখে পড়বে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।