বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
শিবচরে পদ্মা নদীতে মা ইলিশ রক্ষার অভিযানে হামলা চালিয়েছে এক দল জেলে ও দুর্বুত্তরা। এসময় শিবচর থানার ৪ পুলিশসহ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের আরডিসি আহত হয়েছেন। গতকাল দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব হাবিবুর রহমান ও মাদারীপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের আরডিসি মাহবুবুল হকের নেতৃত্বে চলমান অভিযানে হামলা চালিয়েছে একদল দুর্বৃত্ত। আহতদের উদ্ধার করে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
শিবচর উপজেলার মৎস্য অফিস সূত্রে জানা গেছে, দুপুর ১টার দিকে পদ্মা নদীর শিবচর উপজেলা চরজানাজাত এলাকায় নদীতে একদল জেলে জাল ফেলে মা ইলিশ ধরার চেষ্টাকালে অভিযান পরিচালিত হয়। এসময় মাদারীপুর জেলা মৎস্য কর্মকর্তা রিপন কান্তি ঘোষ, উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা এটিএম সামসুজ্জামান ও শিবচর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি আবুল কালাম আজাদসহ পুলিশের একটি টিমের উপস্থিত ছিলেন।
অভিযানের এক পর্যায়ে অতর্কিতভাবে একদল জেলে ও স্থানীয়রা তাদের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। এসময় হামলাকারীরা নৌকায় থাকা রামদা, সেনসহ ইটপাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকে। এ ঘটনায় চার পুলিশ সদস্যসহ আরডিসি মাহবুবুল হক আহত হয়েছেন বলে জানা যায়। এসময় ১৪ জন জেলেকে মাছ ধরার অভিযোগে আটক করা হয়। এক পর্যায়ে অভিযানিক দল সেখান থেকে চলে আসতে বাধ্য হয়।
শিবচর উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা এটিএম সামসুজ্জামান বলেন, দুপুর ১টার দিকে পদ্মানদীর শিবচর উপজেলা চরজানাজাত নদীতে একদল জেলে জাল ফেলে মা ইলিশ ধরার চেষ্টা করছে এমন খবর পেয়ে আমরা অভিযান পরিচালনা করি। এসময় দুর্বৃত্তদের ছোড়া একটি মাটির খন্ড আরডিসি মাহবুবুল হকের মাথায় এসে পড়লে তিনি আহত হয়। এছাড়াও অভিযানে অংশ নেয়া চার পুলিশ সদস্য আহত হয়। সন্ধ্যায় শিবচর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আসাদুজ্জামানের নেতৃত্ব মাদারীপুর সদর ও শিবচর থানা পুলিশ, আনসার, কোস্টগার্ডের প্রায় অর্ধশতাধিক সদস্য একযোগে ওই এলাকায় অভিযান পরিচালনা করেন।
এসময় শিবচর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) এম রাকিবুল হাসান ও মাদারীপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আল মামুন উপস্থিত ছিলেন। এসময় ফরিদপুরে সালথা উপজেলা থেকে মাছ ক্রয় করতে আসা তিন যুবককে মাছসহ আটক করেন। এদিকে (সন্ধ্যা ৭টায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত) শিবচর উপজেলার বন্দোরখোলা ও চরজানাজাত এলাকার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চলছে।
প্রশাসন কঠোর অবস্থানে থাকার পরেও কোনোভাবেই থামানো যাচ্ছে না মাছ ধরা। রাতের আধাঁরে শিবচরের পদ্মার নদীর তীরবর্তী চরজানাজাত, কাঠাঁলবাড়ি, মাদবরেরচর, বন্দোরখোলা ইউনিয়নের প্রায় দশ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে অবাধে বিক্রি হচ্ছে মাছ। কোনো কোনো চরাঞ্চলে হাট বসিয়ে মাছ বিক্রি করছেন জেলারা। এসব এলাকায় দূর-দুরান্ত থেকে শিশু, নারী পুরুষ অল্প দামে মাছ ক্রয় করছেন বলে জানা যায়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।