পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
অন্যায়ের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানিয়ে ডাকসুর সাবেক ভিপি নূরুল হক নুর বলেন, আপনাকে যখন আঘাত করতে আসবে তখন আপনারও আত্মরক্ষা করার অধিকার রয়েছে। কত আর মার খাবেন, মার অনেক খেয়েছি। ডু অর ডাই লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুত হোন। তিনি বলেন, রাজনৈতিক দলের প্রতি আহ্বান জানাব, আজকে আমাদের ক্ষমতার ইকুয়েশন কষার সময় নেই। কারণ দেশকে বাঁচাতে হবে, দেশের মানুষকে বাঁচাতে হবে, দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বকে রক্ষা করতে হবে। যদি দেশে গণতন্ত্র থাকে, গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে পারি আমরা অন্তুত পরবর্তিতে যারা রাজনীতি করি ক্ষমতায় যাওয়ার স্বপ্ন দেখি। এই সরকার কিন্তু গণতন্ত্রকে ধ্বংস করে দিচ্ছে।
গতকাল শনিবার বাংলাদেশ লেবার পার্টির ৪৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে জাতীয় প্রেসক্লাবে আকে আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেন, আজকে আমাদের সরকার এবং কিছু কিছু লোক খুব আনন্দ ভোগ করেন যে, দেশের অর্থনৈতিক উন্নতি হয়েছে। এই উন্নয়ন সংখ্যাগরিষ্ঠের নয়, সরকার শুধু পাঁচ ভাগ মানুষের উন্নয়ন করছে।
তিনি বলেন, আমাদের দেশের যারা অর্থনীতিবিদ, আমাদের দেশের গবেষণা প্রতিষ্ঠান, তারা যে রিপোর্ট করছে এবং পাশাপাশি আন্তর্জাতিক রিপোর্টগুলো যদি পর্যালোচনা করি তাহলে আমরা দেখছি যে, বাংলাদেশের মাত্র শতকরা পাঁচ ভাগ মানুষের হাতে দেশের ৯৫ ভাগ সম্পদ। কাজেই এই উন্নয়ন কার? এই উন্নয়ন ওই ভাগ্যবান শতকরা পাঁচ ভাগ মানুষের
নজরুল ইসলাম খান বলেন, দেশে দারিদ্র্য বাড়ছে, দরিদ্র মানুষের সংখ্যা বাড়ছে। বেকারত্ম বাড়ছে, ভূমিহীন বাড়ছে। তাহলে উন্নয়নটা কোথায়? বড় বড় ব্রিজ, বড় বড় বাড়ি, চমৎকার চমৎকার গাড়ি-এটা তো উন্নয়নের প্রমাণ নয়। যে উন্নয়ন সাধারণ মানুষকে সুখ দেয় না। এডিবির একটা রিপোর্ট বেরিয়েছে। সেই রিপোর্টে বলা হয়েছে যে, এশিয়ার ৩০টা দেশের একটা জরিপ করা হয়েছে কোন দেশের মানুষ কতটা সুখি। ওই তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থা ২৬। অর্থাৎ বাংলাদেশের চেয়ে কম সুখি মাত্র চারটা দেশ।
বিএনপির এই নেতা বলেন, যে প্রবৃদ্ধির কথা বলা হয়, যে উন্নয়নের কথা বলা হয় সেই প্রবৃদ্ধি বা উন্নয়ন তো আমার বাংলাদেশের জনগণকে সুখ-শান্তি-স্বস্তি-নিরাপত্তা কোনোটাই দিতে পারে নাই। কারণ দেশের জনগণের মৌলিক অধিকার, যে জনগণ নিশ্চিন্তে, নির্বিঘেœ তার অধিকার প্রয়োগ করে, তার পছন্দ মতো প্রতিনিধি নির্বাচন করবেন এবং সেই প্রতিনিধিরা তার কাছে দায়বদ্ধ থাকবে, এই অবস্থা আমাদের দেশে নাই।
বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান ইরানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় জাতীয় পার্টি (কাজী জাফর) মোস্তফা জামাল হায়দার, জামায়াতে ইসলামীর আবদুল হালিম, পিপলস পার্টির মোস্তফিজুর রহমান মোস্তফা, শ্রমিক দলের আনোয়ার হোসেইন, লেবার পার্টির ফরিদ উদ্দিন, মোসলেম উদ্দিন, রামকৃষ্ণ সাহা, ফারুক রহমান, হুমায়ুন কবির, প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।