Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

কুপার টেস্ট দিয়ে জাতীয় দলের মাঠের প্রস্তুতি শুরু

স্পোর্টস রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৪ অক্টোবর, ২০২০, ৮:১৩ পিএম

নেপালের বিপক্ষে আগামী মাসে দু’টি আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দল। ম্যাচ দু’টি ১৩ ও ১৭ নভেম্বর বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে। নেপালের বিপক্ষে ফিফা আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচকে সামনে রেখে কুপার টেস্ট দিয়ে মাঠের প্রস্তুতি শুরু করেছে জাতীয় দল। দলের প্রধান ব্রিটিশ কোচ বর্তমানে ইংল্যান্ডে থাকায় শনিবার সকালে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে স্থানীয় দুই কোচ সৈয়দ গোলাম জিলানী ও মাসুদ পারভেজ কায়সারের অধীনেই অনুশীলন শুরু করেছেন আশরাফুল রানা-রায়হান হাসানরা। প্রাণঘাতি করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) পরীক্ষার ফল নিয়ে আগেরদিন ১৪ জন ফুটবলার ক্যাম্পে যোগ দিলেও পরে আরও দু’জন যুক্ত হন। ফলে মাঠের অনুশীলনের প্রথমদিন জাতীয় দলের প্রাথমিক স্কোয়াডের ৩৬ ফুটবলারের মধ্যে ১৬ জন অংশ নেন। বাকিদের মধ্যে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) চ্যাম্পিয়ন বসুন্ধরা কিংসের ১৪ জন এখনও ক্যাম্পে যোগ দেননি। এদের মধ্যে ১২ ফুটবলার আগামী মঙ্গলবার ক্যাম্পে আসবেন। আর দু’জন ইনজুরিতে থাকায় তাদেরকে ছাড়ছে না বসুন্ধরা। বাকি ছয়জনের মধ্যে অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়া ও মিডফিল্ডার তারিক রায়হান কাজী দেশের বাইরে থাকায় এবং চারজন করোনা পরীক্ষার ফল হাতে না পাওয়ায় ক্যাম্পে রিপোর্ট করতে পারেননি। ফলে প্রথমদিনের অনুশীলনে যোগ দেয়া হয়নি তাদের।

করোনার প্রভাবে গত ৭ মাস ফুটবলের বাইরে থাকার পর শনিবারই প্রথম অনুশীলনে নামেন ফুটবলারা। ব্রিটিশ কোচ জেমি ডে ও তার স্বদেশি সতীর্থরা ২৯ অক্টোবর ইংল্যান্ড থেকে ঢাকায় আসবেন। অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়ারও ওইদিনই ঢাকায় এসে ক্যাম্পে যোগ দেয়ার কথা। দীর্ঘ সময় পর ফুটবলাররা অনুশীলনে ফিরলে তাদের ফিটনেস লেভেল কোন পর্যায়ে আছে, সেটা খতিয়ে দেখতে করানো হয় কুপার টেস্ট। হার্টরেট, স্ট্যামিনা এবং স্পিড পরীক্ষাকেই বলা হয় কুপার টেস্ট। অনুশীলনে বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামের ট্র্যাকে রানিংয়ে রহমত মিয়া সাত ল্যাপ দিয়েছেন। বাকিরা কেউ ছয়, কেউ পাঁচ ল্যাপ শেষ করতে পেরেছেন। কুপার টেস্টের ফলে সন্তুষ্ট জাতীয় দলের ফিজিও ফুয়াদ হাসান হাওলাদার। অনুশলিন শেষে তিনি বলেন, ‘অনুশীলনের প্রথমদিন খেলোয়াড়দের ফিটনেস লেভেল ‘আপ টু দ্য মার্ক’ রয়েছে।’ তিনি যোগ করেন,‘সাধারণত খেলোয়াড়রা যখন একটা লম্বা সময় খেলার বাইরে থাকে, তখন তাদেরকে আমরা একটা সেশন দিয়ে থাকি। সেটা তারা ঠিকমতো অনুসরণ করল কিনা এবং আমাদের শিডিউল অনুযায়ী ইনডিভিজ্যুয়াল অনুশীলন করেছে কিনা, সেটা কুপার টেস্টে বেরিয়ে আসে। এর মাধ্যমে আমরা খেলোয়াড়দের হার্টরেট, স্ট্যামিনা, স্পিড এগুলো দেখে ফেলি।’ ফুয়াদ আরো বলেন,‘এটা আমাদের প্রথম ধাপ ছিল। পরবর্তীতে আরও কিছু ধাপ অনুসরণ করব। সবগুলো সামারাইজ করে বলতে পারব তাদের ফিটনেস লেভেল কোন পর্যায়ে আছে। এর আগে প্রধান কোচের মাধ্যমে যে শিডিউল খেলোয়াড়দের দেওয়া হয়েছিল, সে অনুযায়ী তাদের ফিটনেস দেখে আমরা সন্তুষ্ট। মোটামুটি সবাই অ্যাভারেজ।’

প্রথমদিনের অনুশীলন শেষে নেপাল ম্যাচ নিয়ে নিজেদের অভিমত ব্যক্ত করেন ফরোয়ার্ড সাদ উদ্দিন ও ডিফেন্ডার রহমত মিয়া। দু’জনেই প্রত্যয়ী কণ্ঠে জানালেন প্রতিশোধ নেয়ার কথা।

সাদ বলেন,‘নেপাল ম্যাচের আগে লক্ষ্য একটাই-সামনে ভালো করা। সামনে আমাদের জাতীয় দল এবং ক্লাবের ম্যাচ আছে। দেশকে ভালো কিছু দেয়ার লক্ষ্য আমাদের সবার আছে। শেষ দুইটা ম্যাচে আমরা ওদের কাছে হেরেছিলাম। এবার আমাদের লক্ষ্য প্রতিশোধ নেওয়ার। চেষ্টা করব ম্যাচ দু’টি জিততে। সবার কমিটমেন্ট আছে একসঙ্গে ভালো পারফরম করার। জয়ের জন্য মাঠে নামব। চেষ্টা থাকবে নেপালকে হারানোর।’

ডিফেন্ডার রহমত মিয়া বলেন,‘কোনো কিছুই অসম্ভব নয়। যখন আমরা এশিয়ান গেমসে গিয়েছিলাম, তখন কি ভাবতে পেরেছিলাম যে, কাতারকে হারাতে পারব। অবশ্যই না। কারণ র‌্যাঙ্কিংয়ে কাতারের চেয়ে আমরা অনেক পিছিয়ে। কোনো কিছুই অসম্ভব নয়। নেপাল ম্যাচে আমরা চেষ্টা করব সেরাটা দিতে, ভালো ফল পেতে।’



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ