Inqilab Logo

বুধবার ১৩ নভেম্বর ২০২৪, ২৯ কার্তিক ১৪৩১, ১১ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বিশ্বে দ্রততম হারে বাড়ছে ধর্মান্তরিত মুসলিমদের সংখ্যা

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৪ অক্টোবর, ২০২০, ৭:৩২ পিএম | আপডেট : ৭:৩৪ পিএম, ২৪ অক্টোবর, ২০২০

খ্রিস্টান ধর্মের পরেই বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্ম হচ্ছে ইসলাম। বিভিন্ন অনলাইন গবেষণা অনুসারে বর্তমানে ইসলাম বিশ্বের দ্রুততম বর্ধনশীল ধর্ম। ২০২০ সালের সাম্প্রতিক জরিপগুলি বলছে, বিশ্বের জনসংখ্যার প্রায় ১.৯ বিলিয়ন বা ২৪.৫ শতাংশ মুসলমান এবং প্রতি বছর ৫ হাজারেও বেশি ব্রিটিশ ইসলামে ধর্মান্তরিত হচ্ছেন যাদের বেশিরভাগই মহিলা।

জরিপের গবেষণা অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রে বছরে প্রায় ৩০ হাজার লোক ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে। প্রতি বছর ইসলামে ধর্মান্তরিতদের সংখ্যা নরওয়েতে ৩ হাজার। ধর্মান্তরিতরা বলছেন যে, তাদের কাছে ইসলাম ধর্মকে অপেক্ষাকৃত যুক্তিযুক্ত এবং সত্য মনে হয়েছে। এবং তাদের ইশ্বরই ইসলামের পথে তাদেরকে চালিত করেছেন। সিএনএন’র একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘সর্বস্তরের লোক ইসলামে ধর্মান্তরিত হচ্ছে, বিশেষত হিস্পানিক এবং আফ্রিকান-আমেরিকানরা।’

মার্কিন পিউ রিসার্চ সেন্টারের গবেষণা অনুসারে, ২০৫০ সালের মধ্যে বিশ্বব্যাপি মুসলিম জনসংখ্যা ৩০ শতাংশ বা ২.৮ বিলিয়ন এবং খ্রিস্টান জনসংখ্যা ৩১ শতাংশ বা ২.৯ বিলিয়ন বৃদ্ধি পাবে যা ইতিহাসে প্রথমবারের মতো সামঞ্জস্যপূর্ণ হবে। লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয়ের এরিক কাউফম্যান বলেছেন যে, মুসলিমরা ইউরোপের সংখ্যাগরিষ্ঠের চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সংখ্যালঘু হবে এবং ২০৫০ সালে পশ্চিম ইউরোপের জার্মানি, ফ্রান্স এবং যুক্তরাজ্যের মতো উচ্চ অভিবাসনপ্রাপ্ত দেশে ১০-১৫ শতাংশ মুসলিম জনসংখ্যা থাকবে। ব্রিটিশ এবং কানাডিয়ান সাংবাদিক এবং লেখক ডগ স্যান্ডার্স বলেছেন যে, ২০৩০ সালের মধ্যে জার্মানি, গ্রীস, স্পেন এবং ডেনমার্কে মুসলিম ও অমুসলিমদের জন্মের হার সমান হবে।

পিউ রিসার্চের এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, ২০১০ থেকে ২০৫০ সালের মধ্যে বিশ্বের সব অঞ্চলে মুসলিম জনসংখ্যা বাপক হারে বৃদ্ধি পাবে। এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে মুসলিম জনসংখ্যা ২০১০ সালের ১ বিলিয়ন থেকে বেড়ে ২০৫০ সালের মধ্যে প্রায় ১.২ বিলিয়ন পৌঁছবে বলে ধারনা করা হচ্ছে। মধ্যপ্রাচ্য-উত্তর আফ্রিকা অঞ্চলেও মুসলমানদের সংখ্যা বৃদ্ধি ২০১০ সালের প্রায় ৩ শ’ মিলিয়ন থেকে বেড়ে ২০৫০ সালে ৫ শ’ ৫০ মিলিয়নেরও পৌছবে বলে মনে করা হচ্ছে। আফ্রিকার সাহারা অঞ্চলে মুসলিম জনসংখ্যা ২০১০ সালের প্রায় ২৫০ মিলিয়ন থেকে ২০৫০ সালে প্রায় ৬ শ’ ৭০ মিলিয়নে উন্নীত হওয়ার পূর্বাভাস রয়েছে যা দ্বিগুণেরও বেশি। ইউরোপ এবং উত্তর আমেরিকার মতো ছোট মুসলিম জনসংখ্যার অঞ্চলগুলিতেও মুসলমানদের সংখ্যা ২০৫০ সালে প্রায় ৩০ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

ইউরোপে মুসলিম জনসংখ্যা ১৬ শতাংশ থেকে প্রায় দ্বিগুণ ৩০ শতাংশ হবে। উত্তর আমেরিকায় মুসলিম জনসংখ্যা ১০ শতাংশ থেকে ২০ শতাংশ পর্যন্ত বৃদ্ধি পাবে। এশিয়া অঞ্চলে মুসলিমরা ২০৫০ সালের মধ্যে সময়ের মধ্যে হিন্দুদের ছাড়িয়ে যাবে। ২০১০ সালে ইন্দোনেশিয়া, ভারত, পাকিস্তান, বাংলাদেশ এবং নাইজেরিয়ায় বিশ্বের ৪৮ শতংশ মুসলিম ছিল। ২০৫০ সালের মধ্যে বিশ্বের বৃহত্তম মুসলিম জনসংখ্যার দেশ ভারতের পর ইন্দোনেশিয়া, নাইজেরিয়া বাংলাদেশ এবং পাকিস্তান বিশ্বের ৪৫ শতাংশ মুসলমানের বাসস্থান হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। সূত্র : পিউ রিসার্চ স্টোর, উইকিপিডিয়া, ইন্টারনেট।



 

Show all comments
  • labib ২৫ অক্টোবর, ২০২০, ১:৫৮ এএম says : 1
    ২০৫০ সালের মধ্যে বিশ্বের বৃহত্তম মুসলিম জনসংখ্যার দেশ ভারতের পর ইন্দোনেশিয়া, নাইজেরিয়া বাংলাদেশ এবং পাকিস্তান বিশ্বের ৪৫ শতাংশ মুসলমানের বাসস্থান হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
    Total Reply(0) Reply
  • labib ২৫ অক্টোবর, ২০২০, ১:৫৮ এএম says : 1
    ২০৫০ সালের মধ্যে বিশ্বের বৃহত্তম মুসলিম জনসংখ্যার দেশ ভারতের পর ইন্দোনেশিয়া, নাইজেরিয়া বাংলাদেশ এবং পাকিস্তান বিশ্বের ৪৫ শতাংশ মুসলমানের বাসস্থান হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
    Total Reply(0) Reply
  • shahidul ২৫ অক্টোবর, ২০২০, ৭:৫৩ এএম says : 1
    Durga Puja in Dhaka or in whole Bangladesh in such magnificently celebrating to believe that no Muslims there at all. Is there Muslims are being converted ? Later on eventually the country is to be a Hindu based country! Is it right ?
    Total Reply(0) Reply
  • LEC. M R ২৭ অক্টোবর, ২০২০, ১১:১৪ এএম says : 0
    মুসলিমদের মধে্য সালাম আছে (দেয়া/নেয়া)!এটা অশেষ রহমত !
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ