Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

মিয়ানমারের মানচিত্রে আবারও সেন্টমার্টিন!

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৪ অক্টোবর, ২০২০, ৬:৫৫ পিএম

দুই বছরের মাথায় সেন্টমার্টিনকে আবারও নিজেদের দাবি করেছে মিয়ানমার। ইউরোপীয় ইউনিয়নের সাইট কোপর নিকাসে দেখানো হচ্ছে বাংলাদেশের সীমানা ও ইকোনোমিক জুনের বাইরে অবস্থান এই প্রবাল দ্বীপের। এই কোপারনিকাস সাইটের স্লোগান ইউরোপের চোখে বিশ্বদর্শন। মানুষের তথ্য জানার অধিকারকে সম্মান দেখানোর কথা বলা হলেও এবার ভুল তথ্য উপস্থান করলো তারা। বাংলাদেশের সেন্টমার্টিনকে তারা দেখাচ্ছে মিয়ানমারের ভূমি হিসেবে। এদিকে, মিয়ানমার জনগণের তথ্য প্রাপ্তি নিশ্চিত করতে সুইজার‍ল্যান্ডের অর্থায়নে তৈরির উদ্যোগ গ্রহণ করা হয় ওয়ানম্যাপ মিয়ানমার প্রকল্প।

এদিকে রোহিঙ্গা ইস্যু থেকে দৃষ্টি সরাতেই সেন্টমার্টিনের মালিকানা দাবি করে মানচিত্র প্রকাশ করে থাকতে পারে মিয়ানমার। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, সংসদীয় কমিটিকে জানিয়েছে, সেন্টমার্টিনকে নিজেদের অংশ দাবি করা মানচিত্র, সরিয়ে নিচ্ছে মিয়ানমার। গত কয়েক বছর এ সাইটটি সবার জন্য উন্মুক্ত থাকলেও হঠাৎ সেটি অকার্যকর দেখাচ্ছে। বিষয়টি নজরে আসার পর মিয়ানমার রাষ্ট্রদূতকে তলব করে বাংলাদেশ। এর আগে ২০১৮ সালের অক্টোবরেও মিয়ামনার একই কাজ করেছিল। সে সময় রাষ্ট্রদূত উ লুইন ও’র হাতে একটি কূটনৈতিক চিঠি ধরিয়ে দেয় বাংলাদেশ। যাতে সেন্টমার্টিন যে বাংলাদেশের অংশ তার পুঙ্খানুপুঙ্খ প্রমাণ রয়েছে। পাশাপাশি ওই চিঠিতে মিয়ানমারের এমন আপত্তিকর কাজের জবাবও চাওয়া হয়। পরে বাংলাদেশের প্রতিবাদের পর জাতিসংঘে চিঠি দিয়ে ক্ষমা চায় মিয়ানমার। সেন্টমার্টিন ১৯ শতকেরও আগ থেকে তৎকালীন ভারতবর্ষ পরে পাকিস্তান এবং বর্তমানে বাংলাদেশের অংশ। কখনই এটি মিয়ানমারের অংশ ছিল না। কোরাল দ্বীপ সেন্টমার্টিন বা এর সাথে সংলগ্ন ছেঁড়াদ্বীপের মালিকানা নিয়ে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে কোনো অনিষ্পন্ন বিরোধ নেই। বাংলাদেশের সমুদ্রসীমা নিয়ে যে বিরোধ ছিল সেটি আন্তর্জাতিক আদালতে নিষ্পত্তি হয়ে গেছে কয়েক বছর আগেই। আদালতের রায়ে দুই দেশের সমুদ্রসীমা স্পষ্ট করে টানা হয়েছে। বাংলাদেশের সর্ব দক্ষিণের ভূখণ্ড টেকনাফ থেকে ৯ কিলোমিটারের মতো দক্ষিণে অবস্থিত সেন্টমার্টিন দ্বীপটি স্থানীয়দের কাছে নারিকেল জিঞ্জিরা বা দারুচিনি দ্বীপ হিসেবে পরিচিত। ২৫০ বছর আগে আরব নাবিকেরা প্রথম এ দ্বীপে বসবাস করেন। তারা এর নাম দেন ‘জাজিরা’। ব্রিটিশ শাসনের সময় এর নাম দেয়া হয় সেন্টমার্টিন দ্বীপ।

প্রায় ৫০০০ বছর আগে টেকনাফের মূল ভূমির অংশ ছিল জায়গাটি। কিন্তু ধীরে ধীরে এটি সমুদ্রের নিচে চলে যায়। এরপর প্রায় ৪৫০ বছর আগে বর্তমান সেন্টমার্টিন দ্বীপের দক্ষিণ পাড়া জেগে ওঠে। এর ১০০ বছর উত্তর পাড়া এবং পরবর্তী ১০০ বছরের মধ্যে বাকি অংশ জেগে ওঠে। ব্রিটিশ শাসনামলে ১৯০০ সালে ভূমি জরিপের সময় এ দ্বীপটিকে ব্রিটিশ ভারতের অন্তর্ভুক্ত করে নেয়া হয়। সে সময়টিতে বার্মা ব্রিটিশ শাসনের আওতায় ছিল। কিন্তু তারপরও সেন্টমার্টিন দ্বীপকে বার্মার অন্তর্ভুক্ত না করে ব্রিটিশ-ভারতের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল। এর আগে ১৮২৪ থেকে ১৮২৬ সালে ব্রিটিশদের সাথে বর্মী রাজার যে যুদ্ধ হয় তাতে বিতর্কের ইস্যুগুলোর মধ্যে এ দ্বীপের মালিকানাও একটি ছিল। সেন্টমার্টিন দ্বীপের আয়তন আট বর্গকিলোমিটারের মতো। এর সাথে সংলগ্ন ছেঁড়াদ্বীপটির মিয়ানমারের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় উপকূল থেকে দূরত্ব মাত্র আট কিলোমিটার। ভাটির সময় দু’টি দ্বীপ এক হলেও জোয়ারের সময় বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে।



 

Show all comments
  • Jack Ali ২৪ অক্টোবর, ২০২০, ৭:০৬ পিএম says : 0
    We need to declare jihad against Iblees Mayanmar.. We must fight them because they have transgressed all the boundary. Muslim die once, we do not fear death.
    Total Reply(0) Reply
  • হাসান আহমাদ যশোরী ২৪ অক্টোবর, ২০২০, ৭:৩৪ পিএম says : 0
    এদের বিরুদ্ধে এখনই সোচ্চার হতে হবে। নয়তো এরা অস্ত্রের জোরে আমাদের স্বপ্নের সেন্টমার্টিনকে ছিনিয়ে নেবে।
    Total Reply(0) Reply
  • এবিএম,জালাল উদ্দিন ২৪ অক্টোবর, ২০২০, ১০:২০ পিএম says : 0
    ওদের এখানে আটকিয়ে না রেখে প্রশিক্ষন ও অস্ত্রশস্ত্র দিয়ে রাখাইনে পাঠিয়ে দিন, ওরা মুক্ত করে নিক ওূদের ভূমি। ওআইসি'র দেশ গুলো সহায়তা দিবে,সাথে সাথে আমাদের বাহিনীগুলোকেও আপডেট করতে হবে।এখানে আমেরিকান সামরিক সহায়তা চাওয়া ও নেয়া যেতে পারে। ওদেরকে ভাষান চরে নেয়া হবে আরেকটি আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত।
    Total Reply(0) Reply
  • এবিএম,জালাল উদ্দিন ২৪ অক্টোবর, ২০২০, ১০:২১ পিএম says : 0
    ওদের এখানে আটকিয়ে না রেখে প্রশিক্ষন ও অস্ত্রশস্ত্র দিয়ে রাখাইনে পাঠিয়ে দিন, ওরা মুক্ত করে নিক ওূদের ভূমি। ওআইসি'র দেশ গুলো সহায়তা দিবে,সাথে সাথে আমাদের বাহিনীগুলোকেও আপডেট করতে হবে।এখানে আমেরিকান সামরিক সহায়তা চাওয়া ও নেয়া যেতে পারে। ওদেরকে ভাষান চরে নেয়া হবে আরেকটি আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত।
    Total Reply(0) Reply
  • মোহাম্মদ আসাদ আমজাদ ২৫ অক্টোবর, ২০২০, ১১:৪৮ এএম says : 0
    তা‌দের যু‌দ্ধের কৌশল ও প্র‌শিক্ষন দি‌য়ে অস্র সহ তা‌দের প্রান প্রিয় মাতৃভূ‌মি আরাকা‌নে পা‌ঠি‌য়ে দেওয়া হউক
    Total Reply(0) Reply
  • Md.munna ২৫ অক্টোবর, ২০২০, ১২:০৭ পিএম says : 0
    কিছু দিন আগে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রীর মিয়ানমার সফর তার পর মিয়ানমারকে সাবমেরিন দিচ্ছে ভারত।এর পর‌ই বাংলাদেশের সেন্টমার্টিন সহ মিয়ানমারের নতুন মানচিত্র প্রকাশ‌। নরেন্দ্র মোদী মুসলমানদের বন্ধু হতে পারে না কারণ মুখ দিয়ে ভালোবাসে বাংলাদেশকে। মন ও কাজ ও আত্মা দিয়ে সত্যিকারে ভালোবাসে মিয়ানমারকে। এর থেকে আমাদের বেরিয়ে আসতে হবে।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ