পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালীর স্পিডবোট দুর্ঘটনায় দুই জনকে আসামী করে মেরিন কোর্টে মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন পটুয়াখালী নদীবন্দরের কর্মকর্তা সহকারী পরিচালক খাজা সাদিকুর রহমান।
উল্লেখ্য গত ২২ অক্টোবর বিকেল পাঁচটার দিকে দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া চলাকালে নদী বন্দরের জন্য সতর্ক সংকেত ভঙ্গ করে দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার মধ্য ১৮ জন যাত্রী নিয়ে রুমন-১ নামর স্পীড বোটটি রাঙ্গাবালীর কোড়ালীয়া থেকে গলাচিপার পানপট্টির উদ্দ্যশ্য ছেড়ে যায়। মাঝপথ আগুনমুখা নদীর ঢেউয়ের আঘাতে স্পিডবোটের তলা ফেটে স্পিড বোট ডুবে গেলে যাত্রীরা নদীত ডুবে যায়। এসময় সাঁতার কেটে চালক সহ ১৩ জন কিনারে পৌঁছতে পারলেও বাকি ৫জন নিখাঁজ রয়ে যায়। এ সময় থেকে নিখোঁজ থাকেন - রাঙ্গাবালী থানার পুলিশ কনষ্টেবল মো,মহিবুল্লাহ ও কৃষি ব্যাংক বাহেরহরচর শাখার পরিদর্শক মোস্তাফিজুর রহমান, আশা ব্যাংকের খাল গোড়া শাখার কর্মকর্তা কবির হোসেন ও দিনমুজুর মোহাম্মদ ইমরান ও হাসান মিয়া।
এদিকে আজ সকাল ৬ টার দিকে প্রথম ব্যাংক কমকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান এর লাশ উদ্ধার করে রাঙ্গাবালী কোস্টগার্ড, পরবর্তীতে বিভিন্ন সময় আগুনমুখা নদীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে স্থানীয় জনগণের সহায়তায় বাকি চারজনের লাশ উদ্ধার করা হয় বলে জানিয়েছেন রাঙ্গাবালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাশফাকুর রহমান।