পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বর্তমান সময়ে ভিন্ন নামে দেশে বাকশাল প্রতিষ্ঠিত হতে চলেছে। এটা চলতে পারে না। সুষ্ঠু ও মানবিক গণতন্ত্র ছাড়া মুক্তির কোনো পথ নেই বলে মন্তব্য করেছেন গণস্বাস্থ্যের প্রতিষ্ঠাতা এবং ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী।
গতকাল শুক্রবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে রাজনৈতিক দলের নিবন্ধনের কালো আইন বাতিল ও নির্বাচন কমিশনের অগণতান্ত্রিক কর্মকাÐের বিরুদ্ধে অবস্থান কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে তিনি এ দাবি করেন।
ডা. জাফরুল্লাাহ চৌধুরী বলেন, বর্তমান সময়ে একটি ভিন্ন নামে দেশে বাকশাল প্রতিষ্ঠিত হতে চলেছে। এটা চলতে পারে না। গণতন্ত্রের নামে ছেলেখেলা করে লাভ নেই। আজকের জনগণকে প্রকৃত মানবিক এবং সুষ্ঠু গণতন্ত্র দিতে হবে। সবাইকে কথা বলার অধিকার দিতে হবে। সুষ্ঠু ও মানবিক গণতন্ত্র ছাড়া আমাদের মুক্তির কোনো পথ নেই। রাজনীতি করার এবং বক্তব্য দেয়ার অধিকার আমার আছে। কিন্তু সেটা আমাকে করতে দেয়া হচ্ছে না। তিনি বলেন, দেশের অনেকেই বিশ্বাস করে, প্রচার করা হয়, আমাদের প্রধানমন্ত্রী গণতন্ত্রের ধাত্রী এবং তিনি গণতন্ত্রের বিকাশ ঘটাবেন। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত তার সকল কার্যকলাপ সম্পূর্ণ গণতন্ত্রবিরোধী। রাজনীতি করার এবং বক্তব্য দেয়ার অধিকার আমার আছে। কিন্তু সেটা আমাকে করতে দেয়া হচ্ছে না।
সরকারের সমালোচনা করে ডা. জাফরুল্লাহ বলেন, প্রধানমন্ত্রী (শেখ হাসিনা) যতগুলো কাজ করছেন তা ভুল প্রমাণিত হচ্ছে। যেমন নারী নির্যাতন ও ধর্ষণের বিরুদ্ধে ফাঁসির আইন করেছেন। এই ফাঁসি দিয়ে পৃথিবীর কোথাও কোনো পরিবর্তন হয়নি। আপনারা দেখেন আইন করার আগে এবং পরে। নারী নির্যাতন ও ধর্ষণ কমেনি বরং বেড়েছে। বাড়তে বাড়তে এখন বাড়ির শিশু, মাদরাসা এবং স্কুলেও হচ্ছে। এত বড় ভুল উনি কী করে করলেন? কারণ তিনি বন্দি আছেন, তিনি অন্তরীণ। গত এক বছরে তাকে কি কেউ পথে দেখেছেন? তাকে দেখে হাত নাড়তে পেরেছেন? কারণ তাকে বন্দি করে রাখা হয়েছে। অন্তরীণ করে রাখা হয়েছে। মানসিকভাবে তিনি অত্যন্ত চিন্তিত।
প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, আমাদের অন্ধ নুরুল হুদা সাহেব আর কতদিন ক্ষমতায় রাখবেন জানি না। এই ভদ্রলোক নির্বিবাদে কীভাবে এত মিথ্যা কথা বলেন জানি না। খোদা ওনাকে দোজখে নিয়েও হয়তো খুশি হবেন না। পরিবর্তনের জন্য জনগণেরও একটা দায়িত্ব আছে। বিরোধী দলগুলোর ব্যর্থতার কথা অস্বীকার করারও কোনো উপায় নেই। আমরা একত্রে বের করতে পারছি না। কেন রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন দেয়া হবে না। কেন আমার ভোট আমি দিতে পারি না।
বিচারকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হতে হলে জজ সাহেবদের বিবেকবান হতে হবে। জজ সাহেবরা এত ভীত যে এখনো লুকিয়ে থাকেন। ভার্চুয়াল কোর্ট করে বেড়ান। রাস্তায় আমরা বের হচ্ছি না, গাড়ি- ঘোড়া চলছে না? কার বুদ্ধিতে এসব করা হচ্ছে জানি না। তবে আমাদের সামনে সমূহ বিপদ। আমার শেষ আবেদন আমাদের সবাইকে রাস্তায় থাকতে হবে। সবাইকে গণতান্ত্রিক অধিকার ফেরত দিতে হবে। এসময় উপস্থিত ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা নঈম জাহাঙ্গীর, সৈয়দ হারুন অর রশিদ, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রেস উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম মিন্টু প্রমুখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।