Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

পাটুরিয়া-দৌলতদিয়ায় সহস্রাধিক যানবাহন ফেরি পারের অপেক্ষায়

ঘাটে এসে আটকে পড়া যাত্রী ও যানবাহন শ্রমিকদের দুর্ভোগ

আরিচা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২৩ অক্টোবর, ২০২০, ৪:১৮ পিএম

বৈরী আবহাওয়া, শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ি নৌ-রুটে ফেরি চলাচলে অচলাবস্থা, পূজা ও সাপ্তাহিক ছুটির কারণে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটে যানবাহনের চাপ কয়েকগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। বিপুল সংখ্যক যানবাহন পারাপার করতে হিমশিম খাচ্ছে কর্তৃপক্ষ। এতে উভয়ঘাটে সহস্রাধিক যানবাহন ফেরি পারের অপেক্ষায় রয়েছে। গতকাল শুক্রবার এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত পাটুরিয়া ও দৌলতদিয়া ঘাটে সহস্রাধিক পন্যবাহী ট্রাক ও বাস ফেরি পারের অপেক্ষায় ছিল। ফলে, ঘাটে এসে আটকা থেকে বৃষ্টির মধ্যে দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে যাত্রী ও যানবাহন শ্রমিকদের। বিশেষ করে ট্রাক শ্রমিকদের দুর্ভোগের সীমা নেই।

গতকাল শুক্রবার এলাকা সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, বৈরী আবহাওয়ায় কারনে বৃষ্টিতে ভিজে অনেকেই ফেরি পারের জন্য অপেক্ষা করছে। দীর্ঘ সময় বাসের বসে থেকে অনেকের ভিভিন্ন ধরণের সমস্যা হচ্ছে। বিশেষ করে নারী ও শিশু যাত্রীদের বেশি দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে। তাদের খাওয়া-দাওয়ার সমস্যা হচ্ছে। খাবার পানি আনতে গেলেও বৃষ্টিতে ভিজে দোকান থেকে সেটা কিনে আনতে হচ্ছে। কয়েকজন বাস যাত্রী বলেন, সেই সকালে ঘাটে এসে পৌঁছাছেন। অনেক সময় ধরে বাসের মধ্যে বসে ফেরি পারের জন্য অপেক্ষা করছেন। কখন যে ফেরি পার হতে পারবেন সেটাও বলতে পারছেন না। দুপুরের খাওয়া নিয়েও সমস্যা হচ্ছে। কয়েকজন ট্রাক শ্রমিক বলেন, ঘাটে এসে আটকা পড়ে বসে থাকতে হলে তাদের থাকা ও খাওয়ার মারাত্মক সমস্যা হয়। তাদের রাস্তার হিসাব করে মালিক খরচের জন্য দেয় তার চেয়ে অনেক বেশি টাকা খরচ হয়। এছাড়া, তাদের খাওয়া-গোসলের সমস্যা তো আছেই। কখন যে ফেরির নাগাল পাবে তারও ঠিক নেই। ঘাট এলাকা ঘুরে আরোও দেখা যায়, শুক্রবার সকালের দিকে ছোট গাড়ির চাপ বৃদ্ধি পায়। দুপুরের দিকে যানবাহনের চাপ আরোও বেশি বৃদ্ধি পায়। ফলে, পাটুরিয়া ও দৌলতদিয়া ঘাটে অপেক্ষমান যানবাহনের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়ে টার্মিনাল ছাপিয়ে মহাসড়কে লাইনে গড়ায়।

বিআইডব্লিউটিসির আরিচা অফিস সুত্রে জানা যায়, পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটে বহরের ১৯টি ফেরির মধ্যে ১৮টি দিয়ে বিপুল সংখ্যক যানবাহন পারাপার করা হচ্ছে। ফেরিগুলো পুরনো হওয়ায় মাঝে মাঝে যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে স্থানীয় ভাসমান কারখানা মধুমতিতে সাময়িক মেরামতে রাখা হচ্ছে। যাত্রীবাহী যানবাহনগুলো অগ্রাধিকার ভিত্তিতে পার করা হয়। ফলে মালবাহী ট্রাকগুলো অপেক্ষায় রাখতে হচ্ছে।

বিআইডব্লিউটিসির আরিচা অঞ্চলের ডিজিএম জিল্লুর রহমান জানান, গত দুই দিনের বৈরী আবহাওয়া ও শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ি নৌ-রুটের বাড়িতি যানবাহন, পূজা ও সাপ্তাহিক ছুটির কারনে যানবাহনের চাপ বৃদ্ধি পেয়েছে। ১৮টি ফেরি দিয়ে বিপুল সংখ্যক যানবাহনের চাপ মোকাবেলা করতে হিমশিম খেতে হচ্ছে।
বিআইডব্লিউটিসির উভয় ঘাটের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত পাটুরিয়া প্রান্তে ৬ শতাধিক যানবাহন ও দৌলতদিয়া প্রান্তে ৪ শতাধিক যানবাহন ফেরি পারের অপেক্ষায় ছিল। সব মিলিয়ে পাটুরিয়া ও দৌলতদিয়া ঘাটে সহস্রাধিক যানবাহন ফেরি পারের অপেক্ষায় ছিল।
এদিকে, পাটুরিয়া ঘাটের যানজট এড়াতে পাটুরিয়া ঘাট সংযোগ মোড় উথুলী থেকে মালবাহী ট্রাকগুলোকে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের আরিচা পর্যন্ত ৪ কিলোমিটার রাস্তায় লাইনে সারিবদ্ধভাবে আটকে রাখা হয়েছে। এ সময় ট্রাক শ্রমিকদের সাথে কথা বলে জানা যায়, তারা তমুল বৃষ্টির মধ্যে ঘাটে এখনো পৌঁছাতে পারেননি। তাই রাস্তায় গাড়ি লাইনে রেখে অপেক্ষা করতে হচ্ছে। এতে তাদের খাওয়াসহ নানা সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। স্থানীয় যাত্রীরা অভিযোগ করে বলেন, ট্রাকগুলোকে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে রাখায় তাদের যাতায়াতে মারাত্মকভাবে সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে। এতে তাদের বিভিন্ন রকম দুর্ভোগের শিকার হতে হচ্ছে। দৌলতদিয়া ঘাটের অবস্থাও অনুরুপ বলে জানা গেছে।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ফেরি চলাচল


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ