Inqilab Logo

রোববার ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সৈয়দপুরে ওজনে কম দেওয়ার অভিযোগে একজনের ডিলারশীপ বাতিলসহ জামানত বাজেয়াপ্ত

খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ১০ টাকা কেজি দরের চাল বিক্রি

সৈয়দপুর (নীলফামারী) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২৩ অক্টোবর, ২০২০, ৩:১৫ পিএম

নীলফামারীর সৈয়দপুরে সরকারের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ১০ টাকা দরের চাল বিক্রিতে সুবিধাভোগীদের ওজনে কম দেয়ার দায়ে এক ডিলারের ডিলারশীপ বাতিল করাসহ জামানত বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার (২২ অক্টোবর) সৈয়দপুর উপজেলা খাদ্যবান্ধব কমিটির সভায় ওই সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়েছে। ডিলারশীপ বাতিল ও জামানতের ২০ হাজার টাকা বাজেয়াপ্ত হওয়া ডিলার হচ্ছেন মো. সাঈদ চৌধুরী ওরফে বাবু চৌধুরী। তিনি সৈয়দপুর উপজেলা ৪ নম্বর বোতলাগাড়ী ইউনিয়নের এক ও দুই নম্বর ওয়ার্ডের ডিলার।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সারাদেশের মতো নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলায়ও গত ২০১৬ সালের অক্টোবর মাস থেকে সরকারের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ১০ টাকা কেজি দরের চাল বিক্রি কার্যক্রম শুরু হয়েছে। ডিলারের মাধ্যমে বছরের মার্চ-এপ্রিল এবং সেপ্টেম্বর - নভেম্বর এই পাঁচ মাসে সুবিধাভোগী কার্ডধারীদের মধ্যে চাল বিক্রি করা হয়। প্রত্যেক সুবিধাভোগী ভোক্তারা নির্দিষ্ট প্রতি মাসে ১০ টাকা কেজি দরে ৩০ কেজি করে চাল ক্রয় করেন। এ কর্মসূচির আওতায় সৈয়দপুর উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়নে সুবিধাভোগীরমোট সংখ্যা ১৫ হাজার ২১৪ জন। আর উপজেলার ৪ নম্বর বোতলাগাড়ী ইউনিয়নে সুবিধাভোগী রয়েছেন ৪ হাজার ২১৪ জন। এর মধ্যে ইউনিয়নের ১ এবং ২ নম্বর ওয়র্ডে সুবিধাভোগী রয়েছেন ৪৬৮ জন।

ওই দুইটি ওয়ার্ডের উল্লিখিত সংখ্যক সুবিধাভোগীর মাঝে সরকারের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ১০ টাকা কেজি দরের চাল বিক্রির জন্য নিয়োগকৃত ডিলার মো. আবু সাঈদ চৌধুরী ওরফে বাবু চৌধুরী। শুরু থেকে ওই ডিলারের বিরুদ্ধে সুবিধাভোগীদের প্রত্যেককে প্রতি মাসে দুই থেকে সাত কেজি পর্যন্ত চাল ওজনের কম দেয়ার অভিযোগ উঠে। সর্বশেষ গত ১২ অক্টোবরও ডিলার আবু সাঈদ চৌধুরী ওরফে বাবু চৌধুরী অক্টোবর মাসের চাল বিক্রিকালে সুবিধাভোগীর ওজনে কম দিতে থাকেন। এ অবস্থায় কয়েকজন সুবিধাভোগী ডিলার কর্র্তক চাল ওজনের কম দেয়ার বিষয়ে মোবাইল ফোনে সৈয়দপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রককে পৃথক পৃথক অভিযোগ করেন। এ সময় ইউএনও’র তাৎক্ষণিক নির্দেশে উপজেলা খাদ্য বিভাগের পরিদর্শক মো. নুরে রাহাদ রিমন ডিলার মো. সাঈদ চৌধুরীর চাল বিক্রির পয়েন্টে গিয়ে কয়েকজন সুবিধাভোগীকে দেওয়া চাল পরিমাপ করে অভিযোগের সত্যতা পান। এছাড়াও গত ১৪ অক্টোবর এক নম্বর ওয়ার্ডের ৬০ জন সুবিধাভোগী ডিলার কর্তৃক তাদের চাল ওজনে কম দেয়ার বিষয়ে সৈয়দপুর নির্বাহী অফিসার বরাবরে লিখিত অভিযোগ করেন। পরবর্তীতে খাদ্য বিভাগের পক্ষ থেকে ওই ডিলারের বিরুদ্ধে সুবিধাভোগীদের অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত করা হয়েছে। ওই তদন্তেও সুভিধাভোগীদের চাল ওজনের কম দেওয়ার সত্যতা করে সত্যতা মিলেছে। এ অবস্থায় গত ২২ অক্টোবর সৈয়দপুর উপজেলা খাদ্যবান্ধব কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সৈয়দপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) ও খাদ্যবান্ধব কমিটির সভাপতি মো. নাসিম আহমদ সভাপতিত্ব করেন। উক্ত সভায় সুবিধাভোগীদের চাল ওজনে কম দেওয়ার দায়ে ডিলার মো. সাঈদ চৌধুরী ওরফে বাবু চৌধুরীর ডিলারশিপ বাতিলকরাসহ তাঁর জামানতের ২০ হাজার টাকা বাজেয়াপ্ত করার সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়েছে।

সৈয়দপুর উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মো. তৌহিদুর রহমান খাদ্যবান্ধব কমিটির সভায় সুবিধাভোগীদের মাঝে চাল ওজনের দেয়ার দায়ে ডিলার মো. সাঈদ চৌধুরী ওরফে বাবু চৌধুরীর ডিলারশিপ ও জামানাত বাজেয়াপ্তের বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহনের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, খুব শীঘ্রই ওই ডিলারের ডিলারশিপ বাতিল ও তাঁর জামানত বাজেয়াপ্ত করার বিষয়টি চিঠি দিয়ে জানানো হবে।
এ বিষয়ে কথা বলার জন্য ডিলার মো. সাঈদ চৌধুরী ওরফে বাবু চৌধুরীর ০১৭১৯৫১৫৭৬৬ নম্বর মুঠোফোনে কল দিলেও তিনি রিসিভ করেননি। ফলে তাঁর মন্তব্য জানা সম্ভব হয়নি।



 

Show all comments
  • মোঃ নুরে রাহাদ রিমন ২৬ অক্টোবর, ২০২০, ১১:৫৩ পিএম says : 0
    মোট কার্ড সংখ্যা ১৫২৮৬, ইউএনও স্যারের নামঃ মোঃ নাসিম আহমেদ ও আরও ছোট কিছু ভুল আছে।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: অভিযোগ


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ