বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
সীমানা নির্ধারণ জটিলতা থাকায় দীর্ঘ ১৭ বছর পর আগামী ২৯ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার দশঘর ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন। গত ৪ অক্টোবর মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন, আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টি, সতন্ত্র প্রার্থীসহ চেয়ারম্যান পদে ৬জন, সংরক্ষিত মহিলা সদস্য পদে ১২জন এবং সাধারণ সদস্য পদে ৪৯জন। মোট ৬৭ প্রার্থীরা তাদের মনোনয়নপত্র উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা গোলাম সারোওয়ারের নিকট দাখিল করেছেন। এ ইউনিয়নে মোট ভোটার সংখ্যা ১৪, ১১৮ জন। পুরুষ ভোটার ৭২০৯ আর মহিলা ভোটার ৬৯০৯ জন।
নির্বূাচনের আর মাত্র ৭ দিন সময় বাকি আছে। আওয়ামীলীগ বিএনপি মরিয়া হয়ে নিজ নিজ প্রার্থীকে বিজয়ী করার জন্য ভোটারের দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন। কিন্তু উভয় দলের মূল ভাঁধা হচ্ছে বিদ্রহী প্রার্থী। আওয়ামীলীগ তথা নৌকা প্রতীকের মনোনীত প্রার্থী হাজি জবেদুর রহমানের বিরুদ্ধে বিদ্রোহী প্রার্থী হচ্ছেন ঘোড়া প্রতীকের প্রার্থী সমসু মিয়া লয়লুচ। আর বিএনপি তথা ধানের শীষের প্রার্থী মো: এমাদ উদ্দিন খানের বিরুদ্ধে প্রার্থী হয়েছেন বিএনপি নেতা ও সাবেক মেম্বার আবুল হোসেন। ধানের প্রার্থীর পক্ষে ইতি মধ্যে নিখোজ বিএনপি নেতা এম ইলিয়াস আলীর সহ ধর্মিনি তাহসিনা রুসদির লুনা ধানের শীষে ভোট চাইছেন। উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ফারুক আহমদের নেতৃত্বে একটি টিম দশঘর ইউনিয়নের প্রতিটি গ্রামে গণসংযোগ করে নৌকার প্রার্থীর পক্ষে ভোট চাইছেন। সব মিলিয়ে দিন যত ঘনিয়ে আসছে নির্বাচনী প্রচারনা প্রার্থীদের তত জোরালো হচ্ছে। শেষ পর্যন্ত আওয়ামীলী-আওয়ামীলীগ প্রতিদ্বন্দিতা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
সরেজমিনে ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে জানা যায়, দীর্ঘ ১৭ বছর ধরে আইনের ফাঁক ফোঁকরের সুযোগে নির্বাচন আটকিয়ে বিএনপির লোকজনই উন্নয়নের বরাদ্ধকৃত সব কিছু হরিরোট করেছেন। যা বিভিন্ন সময়ে পত্র পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীদের দাবি বর্তমান সরকার সারা দেশে উন্নয়ন কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছেন। কিন্তু এ ইউনিয়নে উন্নয়নের তেমন কোন ছোঁয়া লাগেনি। নৌকার প্রার্থী বিজয়ী হলে সহজেই উন্নয়ন করা সম্ভব। তাই তারা আস্থা এবং বিশ্বাস নিয়ে মানুষের কাছে ভোট চাইছেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিএনপির নেতাকর্মীরা বলছেন, আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীদের উপর মানুষ অতিষ্ট হয়ে ধানের শীষে ভোট দেবে।
পীরের বাজার, মাছুখালি এলাকার কয়েকজন ব্যবসায়ি সাংবাদিকদের জানান, আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী প্রার্থী লয়লুছ মিয়া থাকায় কিছুটা বেগপেতে হচ্ছে। তবে, যে সময় রয়েছে তা কাটিয়ে উঠতে পারবে আওয়ামীলীগ। আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা জানিয়েছেন, সাবেক সাংসদ ও সিলেট জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শফিকুর রহমান চৌধুরী ও বর্তমান বিশ্বনাথ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এসএম নুনু মিয়ার বাড়ি দশঘর ইউনিয়নে। তারা দুই জনের দুই বলয়ের কর্মী বাহিনী নিয়ে মাঠে নামলে আওয়ামীলীগ প্রার্থীর বিজয় সুনিশ্চিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এ ব্যাপারে শফিকুর রহমান চৌধুরীর সাথে আলাপ করলে তিনি জানান, আপনারা সাংবাদিকরা সরজমিনে গিয়ে রিপোর্ট করবেন।
দশঘর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি আবুল হোসেন বলেন, আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা নৌকার প্রার্থীকে বিজযী করতে মাঠে কাজ করছেন। আশা করি আমাদের বিজয় সুনিশ্চিত। সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস মিয়া বলেন, এই ইউনিয়নের মানুষ দীর্ঘদিন উন্নয়ন থেকে বঞ্চিত এবং আমাদের প্রতিনিধি পরিবর্তনের সুযোগ এসেছে। আমরা সকলে মিলে নৌকার বিজয় নিশ্চিত করব। মানুষের মধ্যে নৌকার পক্ষে খুব উৎসাহ উদ্দিপনা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। তবে, জাতীয় পার্টির মনোননীত প্রার্থীর তেমন কোন প্রচার প্রচারনা দেখা যাচ্ছেনা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।