বিক্ষোভের সংবাদ প্রচার করায় টিভি চ্যানেল বন্ধ করার নির্দেশ দিলো থাইল্যান্ডের আদালত।থাইল্যান্ডের আদালত জরুরি অবস্থা লঙ্ঘনের অভিযোগে দেশটির অনলাইন টিভি স্টেশন ভয়েস টিভি বন্ধের নির্দেশ দেয়। থাইল্যান্ডের ডিজিটাল মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র জানান, ভূয়া তথ্য প্রচার করায় ভয়েস টিভির বিরুদ্ধে কম্পিউটার ক্রাইম অ্যাক্টের আওতায়ও অভিযোগ আনা হয়েছে। -আরব নিউজ, ব্যাংকক পোস্ট

ভয়েস টিভি ছাড়াও আরো তিনটি গণমাধ্যমের বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে বলে জানিয়েছে আদালত। আদালত দ্য স্ট্যান্ডার্ড, দ্য রিপোটার্স, ভয়েস টিভি, প্রাচাতি ও ফ্রি ইয়ুথ মুভমেন্টের ফেসবুক পেজ বন্ধ করারও নির্দেশ দিয়েছে। এদিন শনিবার গ্রেপ্তারকৃত বিক্ষোভের দুই নেতাকে শর্তসাপেক্ষে জামিন দেয়া হয়েছে। থাই পুলিশ বলেছে, কেউ সরকারবিরোধী বিক্ষোভে সেলফি তুললে ২ বছরের কারাদন্ড ও ৪০ হাজার বাত জরিমানা করা হবে। সেই সঙ্গে অস্থিতিশীলতা ছড়ানোর অভিযোগে ৫৮টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম অ্যাকাউন্টকে চিহ্নিত করেছে থাই পুলিশ। মঙ্গলবার থাইল্যান্ডের স্পিকার আগামী সপ্তাহে পার্লামেন্টের জরুরি অধিবেশন আহ্বান করেছেন। ২০১৪ সালে এক সেনা অভ্যূত্থানে প্রধানমন্ত্রী ইংলাক সিনাওয়াত্রাকে ক্ষমতাচ্যুত করে ক্ষমতায় আসেন সাবেক সেনাপ্রধান ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী প্রায়ুথ চান ও-চা। বর্তমান রাজা মহা ভাজিরালংকন বছরের অর্ধেক সময় হেরেমের সঙ্গীদের নিয়ে জার্মানিতে দিন কাটান।

গত মধ্য-জুলাই থেকে চলমান বিক্ষোভে আন্দোলনকারীরা প্রধানমন্ত্রী প্রায়ুথ চান ও-চার পদত্যাগ, সাংবিধান পরিবর্তন ও রাজতন্ত্রের সংস্কারের দাবী জানিয়ে আসছেন। যার নেতৃত্ব দিচ্ছেন তরুণ শিক্ষার্থীরা। গত বৃহস্পতিবার থাই সরকার জরুরি অবস্থা আরোপ করলেও বিক্ষোভকারী তা অমান্য করেই রাজপথে প্রায়ুথের পদত্যাগের স্লোগান দিচ্ছেন এবং ট্যাবু ভেঙ্গে রাজতন্ত্রের বিরুদ্ধে কথা বলছেন। থাই একাডেমিক নেটওয়ার্ক ফর সিভিল রাইটের ১ হাজার ১১৮জন শিক্ষাবিদ প্রায়ুথের পদত্যাগের দাবীর সঙ্গে একাত্মতা জানিয়ে পিটিশনে স্বাক্ষর করেছেন।