Inqilab Logo

রোববার ০৩ নভেম্বর ২০২৪, ১৮ কার্তিক ১৪৩১, ৩০ রবিউস সানী ১৪৪৬ হিজরি

ছোট ফেনী নদীর ভাঙন অব্যাহত

সোনাগাজী ( ফেনী) সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২০ অক্টোবর, ২০২০, ১:৫৩ পিএম | আপডেট : ২:৪০ পিএম, ২০ অক্টোবর, ২০২০

প্রায় ৪ শত বছর আগে বর্তমান ভারতের ত্রিপুরা রাজ্য থেকে এই নদীর উৎপত্তি। যা কুমিল্লা জেলার চৌদ্দগ্রাম থেকে প্রবাহিত হয়ে ফেনী জেলার দাগুনভূইয়া, হয়ে সোনাগাজী উপজেলার পশ্চিম অংশ ও নোয়াখালী জেলার কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার কয়েকটি ইউনিয়নের উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়ে পুরাতন ডাকাতিয়া মিলিত হয়ে বঙ্গোবসাগরে পতিত হয়েছে। ওই নদীর পাড়ে। গত ৪ শত বছরে বহু জন বসতি নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। অন্যদিকে নদীর পাড়ে গড়ে উঠেছে নতুন নতুন জনপদ। ১৯৬৭- ১৯৬৮ সালে উপকূলীয় অঞ্চলকে সাগরের লোনা পানি থেকে রক্ষা, নদী ভাঙন রোধ ও অধিক ফসল উৎপাদনের লক্ষ্যে নদীর উপর কাজির হাট নামক স্থানে ২০ গেইট বিশিষ্ট একটি রেগুলেটর স্থাপন করা হয়। ২০০২ সালে ফেনী পানি উন্নয়ন বোর্ডে অ-ব্যাবস্থাপনার কারনে ওই রেগুলেটরটি নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যায়। যার কারনে পুন:নদী ভাঙন দেখা দেয়। শত শত ফসলী জমি, বাড়ী- ঘর, সরকারী, বেসরকারী স্থাপনা, গ্রামিন সব ধরনের অবকাঠোমা নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যায়। গত ৪ দলীয় জোট সরকারের শেষ সময়ে নদী ভাঙন রোধে মুছাপর নামক স্থানে ২৩ ভোল্ডের একটি রেগুলেটরের নির্মান কাজ শুরু হলে ১/১১ এর কারনে ও বর্তমান সরকারের কিছু প্রভাবশালী নেতার উদাসীনতা ও প্রকল্পের মেয়াদ বাড়িয়ে অতিরিক্ত ১০০ শত কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে মুছাপুর রেগুলেটরের কাজ দায় সারা ভাবে সমাপ্ত করা হয় । কিন্তু তবুও নদী ভাঙন বন্ধ হয়নি। দাগুন ভূইয়া থেকে মুছার প্রযন্ত নদীতে ছোট বড় প্রায় ২০ টি বাঁক রয়েছে। ওই বাঁক গুলো সোজা করা না হলে ভাঙন রোধ হবে না। এ ব্যাপারে সোনাগাজী উপজেলা চেয়ারম্যান জহির উদ্দিন মাহমুদ লিফটন জানান, ভাঙন রোধে প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা নেওয়ার জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ড ফেনীকে অনুরোধ করেছি।
এ ব্যাপারে ফেনী উন্নয়ন বোর্ড এ কর্মরত মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন জানান, বাঁক গুলো সোজা করনের লক্ষ্যে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির রির্পোট আসছে ডিসেম্বর মাসের মধ্যে শেষ হবে।
রির্পোট পেলেই প্রয়োজনীয় বরাদ্দ পাওয়ার পর বাঁক গুলো সোজা করনের কাজ শুরু করতে পারবো।



 

Show all comments
  • saiful ২০ অক্টোবর, ২০২০, ২:০৩ পিএম says : 0
    কিছু শার্থপর রাক্ষুশের জন্যে নদীটা মরতে বশেছে প্রায়। সেই শাথে নদী পারের হাজার হাজার একর ফসলি জমি যেখানে দুই ফসল হত তা এখন এক ফশল ও হয়না। আল্লাহ এদের হিদায়েত দিন।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: নদী ভাঙন
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ