পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
রায়হান হত্যা ঘটনার প্রধান হোতা পলাতক এস আই আকবরকে ধরিয়ে দিতে পারলে ১০ লাখ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসকারী এক সিলেটি প্রবাসী। এদিকে, গতকাল রায়হান হত্যার ঘটনায় আদালতে প্রত্যক্ষদর্শীর সাক্ষ্য দিয়েছে ফাঁড়িতে কর্তব্যরত ৩ কনেস্টবল। এছাড়া হত্যা ঘটনার নায়ক পলাতক আকবরকে ধরার ৭২ ঘণ্টা আল্টিমেটামের সময়সীমা ক্রমশ শেষের পথে। এর মধ্যে আকবরকে ধরতে ব্যর্থ হলে কোন পরিস্থিতি সৃষ্টি হবে সে নিয়ে অজানা আশঙ্কা বিরাজ করছে জনমনে। আজ মঙ্গলবার সিলেট মহানগর ব্যবসায়ী ঐক্য কল্যাণ পরিষদের ডাকে নগরীর বৃহৎ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হবে। আকবরকে ধরতে পারলেই ১০ লাখ টাকা পুরস্কার: রায়হান হত্যাকান্ডে প্রধান অভিযুক্ত এস আই আকবর হোসেন ভ‚ঁইয়াকে ধরিয়ে দিলে বা গ্রেফতার করতে পারলে ১০ লাখ টাকা পুরস্কারের ঘোষণা দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী ব্যবসায়ী সামাদ খাঁন। তার গ্রামের বাড়ি সিলেটের গোলাপগঞ্জ আমনিয়া এলাকায়।
সামাদ খাঁন তার ঘোষণায় বলেন, বন্দরবাজার ফাঁড়িতে পুলিশের বর্বর নির্যাতনের শিকার হয়ে নির্মমভাবে মৃত্যুরবরণ করেছে রায়হান আহমদ। তার নিহতের ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত এস আই আকবরকে ৭২ ঘণ্টার ভেতরে যে ধরিয়ে দিতে পারবে তাকে ১০ লাখ টাকা পুরস্কার দেয়া হবে। সিলেটবাসীর পক্ষ থেকে সামাদ খাঁন এ ঘোষণা করেন।
আদালতে ঘটনার সাক্ষ্য দিলেন পুলিশের ৩ কনেস্টবল : পুলিশী নির্যাতনে রায়হান নিহতের ঘটনায় আদালতে প্রত্যক্ষদর্শী হিসেবে জবানবন্দি দিয়েছেন ৩ কনেস্টবল। তারা হচ্ছেন- দেলোয়ার, সাইদুর ও শামীম। গতকাল সোমবার দুপুর ৩টায় অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে বিচারক মো. জিহাদুুর রহমানের আদালতে সাক্ষীর জবানবন্দি প্রদান করেন তারা। রায়হানের উপর নির্যাতনের সময় বন্দর বাজার পুলিশ ফাঁড়িতে তারা সেন্ট্রির দায়িত্ব পালনে ছিলেন।
৭২ ঘন্টার আল্টিমেটামের সময় কমছে, আজ ব্যবসায়ীদের বৃহৎ মানববন্ধন : গত রোববার বেলা ১২টায় রায়হান হত্যা ঘটনায় পর এক সংবাদ সম্মেলনে করে ৬ দফা দাবি জানিয়ে তুলে ধরা হয়েছিল। এর মধ্যে অন্যতম ছিল ৭২ ঘণ্টার মধ্যে রায়হান হত্যার প্রধান হোতা এস আই আকবর গ্রেফতার। তবে এখনো আটক হয়নি সে, পাওয়া যাচ্ছে না হদিসও। আকবরকে গ্রেফতারে ব্যর্থ হলে অবরোধ হরতালসহ কঠোর কর্মসূচি পালন করা হবে সিলেটে। এতে করে পরিস্থিতি কোন দিকে মোড় নিয়ে তা নিয়ে অজানা আশঙ্কা বিরাজ করছে। একই সাথে সিলেট মেট্রো পুলিশ সে পরিস্থিতি মোকাবিলা করবে তাও এখন সন্দেহের দোলাচালে। মেট্রো পুলিশের উপর এমনিই সন্দেহের তীর সিলেটবাসীর।
এদিকে, আজ সকাল ১০টায় নগরীতে পালন হবে বৃহৎ মানববন্ধন কর্মসূচি। মহানগর ব্যবসায়ী ঐক্য কল্যাণ পরিষদের ডাকে এ মানববন্ধনে সর্বস্তরের ব্যবসায়ীদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা হয়েছে। সিলেটের ইতিহাসে এ মানববন্ধন হবে বৃহৎ এমন আশাবাদ ব্যক্ত করছেন সংগঠনের সভাপতি আব্দুর রহমান রিপন। মানববন্ধন উপলক্ষে প্রতিটি মার্কেটের তরফ থেকে হত্যাকারীদের গ্রেফতার ও বিচার সম্বলিত ব্যানার তৈরি করা হয়েছে। মাইকিং করে নগরজুড়ে প্রচারণা চালানো হচ্ছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।