বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
সিলেটের আলোচিত ও চাঞ্চল্যকর রায়হান আহমদ হত্যাকান্ডে প্রধান অভিযুক্ত পুলিশ কর্মকর্তা আকবর হোসেন ভূঁইয়াকে ধরিয়ে দিলে বা গ্রেফতার করতে পারলে ১০ লক্ষ টাকা পুরস্কার প্রদান করা হবে। এই ঘোষণা দিয়েছেন সিলেটের গোলাপগঞ্জের সন্তান যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী সামাদ খাঁন।
সামাদ খাঁন তার ঘোষণায় বলেন, বন্দরবাজার ফাঁড়িতে পুলিশের বর্বর নির্যাতনের শিকার হয়ে নির্মমভাবে মৃত্যুরবরণ করেছে রায়হান আহমদ। তার নিহতের ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত এস.আই আকবরকে ৭২ ঘণ্টার ভেতরে যে ধরিয়ে দিতে পারবেন অথবা প্রশাসনের যে সাহসী সৈনিক আকবরকে গ্রেফতার করতে পারবেন তাকে ১০ লক্ষ টাকা পুরস্কার দেয়া হবে।
সিলেটবাসীর পক্ষ থেকে সামাদ খাঁন এই পুরস্কার ঘোষণা করেন। এ বিষয়ে তাঁর সঙ্গে ফেইসবুক ম্যাসেঞ্জার অথবা এই মোবাইল নাম্বার +১ (৮৬২) ৬০০-১৫৮৮-এ যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে।
সামাদ খাঁন সিলেটের গোলাপগঞ্জ উপজেলার কৃতি সন্তান এবং ‘ঐধষধষ এুৎড়করহম’র স্বত্বাধিকারী। এ সংক্রান্ত বিষয়ে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগের
উল্লেখ্য, গত ১১ অক্টোবর (শনিবার দিবাগত রাতে) বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়িতে পুলিশের নির্যাতনের শিকার হন রায়হান আহমদ (৩৪)। পরে রোববার সকালে সিলেট ওসমানী হাসপাতালে তিনি মারা যান। রায়হান সিলেট নগরীর আখালিয়ার নেহারিপাড়ার মৃত রফিকুল ইসলামের ছেলে। তিনি নগরীর রিকাবিবাজার স্টেডিয়াম মার্কেটে এক চিকিৎসকের চেম্বারে কাজ করতেন।
এই ঘটনায় সোমবার (১২ অক্টোবর) রাত আড়াইটার সময় অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে সিলেট কোতোয়ালি থানায় মামলা করেন রায়হানের স্ত্রী।
রায়হান নিহতের ঘটনায় ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই আকবর হোসেন ভূইয়া, কনস্টেবল হারুনুর রশিদ, তৌহিদ মিয়া ও টিটুচন্দ্র দাসকে সাময়িক বরখাস্ত এবং এএসআই আশেক এলাহী, এএসআই কুতুব আলী ও কনস্টেবল সজিব হোসেনকে প্রত্যাহার করা হয়।
গত ১৩ অক্টোবর থেকে প্রধান অভিযুক্ত এস.আই আকবর হোসেন ভূইয়া পলাতক রয়েছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।