পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সিলেটে বৃহত্তর আন্দোলনের হুঁশিয়ারী দিয়েছেন রায়হানের পরিবার। আগামী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে রায়হান হত্যায় জড়িতদের গ্রেফতার না করলে হরতাল-সড়ক অবরোধসহ বিভিন্ন কর্মসূচি দিয়ে মাঠে নামবেন তারা। গতকাল (রোববার) সকালে নিহত রায়হান আহমদের পরিবার ও বৃহত্তর আখালিয়া এলাকাবাসীর উদ্যোগে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এমন কথাই বলেন তার মা সালমা বেগম। এছাড়া ৬ দফা দাবিও জানানো হয় সংবাদ সম্মেলনে।
দুপুর ১২টায় নির্ধারিত সংবাদ সম্মেলন ছিল নিহত রায়হান পরিবারের। নগরীর আখালিয়াস্থ নেহারী পাড়ার বাসায় এ সংবাদ সম্মলেন অশ্রুসিক্ত রায়হানের মা সালমা বেগমের পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন রায়হানের মামাতো ভাই শওকত। সেখানে ৬ দফা সুনির্দিষ্ট দাবিও পেশ করেন তারা। এর মধ্যে রায়হান হত্যাকান্ডে বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি, রায়হান হত্যায় জড়িত পুলিশের উপ পরিদর্শক (এসআই) আকবর ভ‚ঁইয়াসহ দোষীদের দ্রুত গ্রেফতার, পলাতক এসআই আকবর ভূঁইয়াকে গ্রেফতারে আইজিপির নির্দেশ, পুলিশ কমিশনারের পক্ষ থেকে পূর্ণাঙ্গ বক্তব্য, নিহতের পরিবারকে উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ প্রদানে প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদন, ৭২ ঘণ্টার মধ্যে জড়িতদের গ্রেফতার না করলে হরতাল-সড়ক অবরোধসহ বৃহত্তর আন্দোলন।
এদিকে মৃত্যুর ঘটনায় ৮ দিনেও কোনো আসামি গ্রেফতার না হওয়ায় ক্ষোভে ফুঁসছেন পরিবারের সদস্য এবং স্থানীয়রা। গতকাল সংবাদ সম্মেলনে তারই আলামত প্রত্যক্ষ করেন উপস্থিত সাংবাদিকসহ অন্যরা। সংবাদ সম্মেলনে রায়হানের মা সালমা বেগম কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, ‘পুত্র হত্যার বিচারপ্রার্থী এক অসহায় মায়ের আহবানে সাড়া দিয়ে আজকের এ সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত হওয়ায় আপনাদের সবার প্রতি জানাচ্ছি কৃতজ্ঞতা। আপনারা নিশ্চয়ই অবগত আছেন যে, আমার ছেলে রারহান আহমদ (৩৩)কে গত ১১ অক্টোবর রাতে বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়িতে ডেকে নিয়ে বর্বর নির্যাতন চালিয়ে হত্যা করা হয়েছে। নারকীয় এ হত্যাকান্ডের ঘটনাটি আপনারা গণমাধ্যম কর্মীরাই সবার আগে জনসমক্ষে তুলে ধরেন। যা পুরো সিলেটসহ সমগ্র বাংলাদেশ, এমনকি বহির্বিশ্বেও বিবেকবান মানুষের অন্তরে নাড়া দিয়েছে। ফলে, দেশে-বিদেশে সর্বস্তরের মানুষ রায়হান হত্যকারী খুনী পুলিশ সদস্যদের গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে আন্দোলনে নেমে এসেছেন। আমাদের এলাকা বৃহত্তর আখালিয়াবাসী গত ১২ অক্টোবর থেকে লাগাতার আন্দোলন করে আসছেন। ইতোমধ্যে এলাকাবাসীর উদ্যোগে প্রতিবাদ সভা, বিক্ষোভ মিছিল, মানব বন্ধনসহ নানা কর্মসূচি পালিত হয়েছে। রায়হান হত্যকারী বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এস.আই আকবরসহ জড়িত সকল পুলিশ সদস্যের গ্রেফতারের দাবিতে ইতোমধ্যে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও জেলা প্রশাসক বরাবরে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে। কিন্তু, দুঃখজনক হলেও সত্য রায়হান হত্যকান্ডের প্রধান অভিযুক্ত বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ সাব ইন্সপেক্টর আকবর পুলিশী হেফাজত থেকে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছে। সন্দেহভাজন হত্যাকারী আরো ৮ পুলিশ সদস্য এখনো পুলিশী হেফাজতে থাকলেও তাদেরকে গ্রেফতার করা হচ্ছে না। ফলে, রায়হান হত্যা মামলার ভবিষ্যত নিয়ে আমাদের মনে সন্দেহের সৃষ্টি হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাবেক কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ, স্থানীয় কাউন্সিলর মখলিছুর রহমান কামরান, ৪ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর রেজাউল হাসান কয়েস লোদি, ১০ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর তারেক উদ্দিন তাজ, ৮ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর ইলিয়াসুর রহমান, কাউন্সিলর তৌফিক বক্স লিপন, নারী কাউন্সিলর রেবেকা বেগম, সাবেক কমিশনার জগদীশ দাশ ও রায়হানের চাচা হাবিবুল্লাহসহ এলাকার গণ্যমান্য মুরব্বিয়ানরা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।