পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
এনআই অ্যাক্টের (চেক ডিজঅনার) মামলার আপিলের জন্য হাইকোর্টে যেতে হবে না। যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজের দেয়া রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করা যাবে দায়রা জজ আদালতেই। বৈষম্য নিরসনকল্পে এ আদেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। গতকাল রোববার বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ এবং বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামানের ডিভিশন বেঞ্চ পৃথক তিনটি রিটের শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।
আদেশের পর আপিলকারীর কৌঁসুলি ব্যারিস্টার হুমায়ুন কবির পল্লব বলেন, হাইকোর্টের এ রায় নেগোশিয়েবল ইনস্ট্রুমেন্টস আইনের অধীন ১৩৮ ধারার চেকের মামলার বিচার, আপিল এবং রিভিশনের ক্ষেত্রে দীর্ঘদিন যাবত চলে আসা বৈষম্যমূলক বিধানের অবসান ঘটল। সেই সঙ্গে সাধারণ বিচারপ্রার্থীদের খরচ এবং হয়রানি অনেকাংশে কমবে বলে আশা করছি। এ কারণে রায়টি যুগান্তকারী।
রায়ের নির্দেশনা মতে ১৩৮ ধারার চেকের মামলার বিচার শুধুমাত্র যুগ্ম দায়রা জজ আদালত করতে পারবে। দায়রা জজ অথবা অতিরিক্ত দায়রা জজ চেকের মামলার বিচার করতে পারবেন না। ফলশ্রæতিতে চেকের মামলায় রায়ের সাজার বিরুদ্ধে হাইকোর্ট বিভাগে আপিল করা যাবে না। আপিল শুধুমাত্র দায়রা জজ আদালতে করা যাবে। ফলে বিচারপ্রার্থীদের মধ্যে চলমান বৈষম্য দূর হবে।
তিনি বলেন, নেগোসিয়েবল ইনস্ট্রুমেন্টের ধারা ১৩৮ ধারার চেক ডিজঅনারের মামলা ইতিপূর্বে যুগ্ম দায়রা জজ এবং অতিরিক্ত দয়রা জজ আদালতে শুনানি হতো। দায়রা জজ আদালত নির্ধারণ করতেন মামলাটি কোন আদালতে শুনানির জন্য পাঠানো হবে। কোনো মামলা যদি যুগ্ম দায়রা জজ আদালত শুনানি করে রায় দিতেন, তাহলে সাজাপ্রাপ্ত আসামি দায়রা জজ আদালতে আপিল করার সুযোগ পেতেন।
কিন্তু একই অপরাধের জন্য একই শাস্তি হলেও মামলাটি যদি অতিরিক্ত দায়রা জজ অথবা দায়রা জজ আদালতে শুনানি হয়ে রায় হতো, তাহলে সাজাপ্রাপ্ত ব্যক্তিকে আপিল করার জন্য হাইকোর্ট বিভাগে আসতে হতো। এই বিধানটি বৈষম্যমূলক। যা বাংলাদেশ সংবিধানের অনুচ্ছেদ ২৭ এবং ৩১ এর সাথে সাংঘর্ষিক।
রায়ের নির্দেশনা মতে, ১৩৮ ধারার চেকের মামলার বিচার কেবলমাত্র যুগ্ম দায়রা জজ আদালত করতে পারবে। দায়রা জজ অথবা অতিরিক্ত দায়রা জজ চেকের মামলার বিচার করতে পারবেন না। আদালত তার আদেশে উল্লেখিত নির্দেশনা সকল জেলা ও দায়রা জজ আদালত অবহিত করার জন্য বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল এবং হাইকোর্ট বিভাগের রেজিস্ট্রারকে নির্দেশ দিয়েছেন।
দেশের সকল জেলা ও দায়রা জজ উক্ত নির্দেশনা অবহিত হওয়ার পরবর্তী ১৫ দিনের মধ্যে অতিরিক্ত দায়রা জজ আদালত অথবা দায়রা জজ আদালতে চলমান ১৩৮ ধারার সকল মামলা বিচারের জন্য সংশ্লিষ্ট দায়রা জজ আদালতে প্রেরণ করতে হবে। চলমান মামলাগুলো বর্তমানে যে পর্যায়ে রয়েছে ওই পর্যায় থেকেই পরবর্তী শুনানি চলমান থাকবে। ফলশ্রুতিতে চেকের মামলায় রায়ের সাজার বিরুদ্ধে হাইকোর্ট বিভাগে আপিল করা যাবে না। আপিল শুধুমাত্র দায়রা জজ আদালতে করা যাবে।
প্রসঙ্গত: চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার গোমস্তাপুর থানার এএএম জিয়াউর রহমানের বিরুদ্ধে ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড এনআই অ্যাক্টে মামলা করে। জিয়াউর রহমান পরে চাঁপাইনবাবগঞ্জের যুগ্ম দায়রা জজ আদালতে চলমান ১৩৮ ধারার অধীন ৩টি চেকের মামলার কার্যক্রম চ্যালেঞ্জ করে তিনটি ভিন্ন ভিন্ন রিট করেন। ২০১৮ সালে হাইকোর্ট বিভাগ তিনটি মামলায় পৃথক রুল জারি করেন। রুলের চূড়ান্ত শুনানি শেষে হাইকোর্ট উপরোক্ত আদেশ দেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।