বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলার কলসকাঠি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের পর থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। গত শনিবার সন্ধ্যায় কলসকাঠি বাজারে সংঘর্ষের পর বিএনপির নেতা-কর্মীরা গাঁ ঢাকা দিয়েছে। আওয়ামী লীগ কার্যালয় ও বঙ্গবন্ধুর ছবি ভাঙচুরের অভিযোগ এনে বিএনপির ৬০ নেতা-কর্মীর নামে মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে বলে জানা গেছে।
আগামীকাল কলসকাঠি ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ফয়সাল ওয়াহিদ মুন্না ও বিএনপির প্রার্থী উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি শওকত হোসেন হাওলাদার প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। ভোটের দু’দিন আগে হামলার অভিযোগ এনে বিএনপি প্রার্থীকে ভোটের লড়াই থেকে দূরে সরিয়ে রাখা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
বিএনপির চেয়ারম্যান প্রার্থী শওকত হোসেন হাওলাদার গতকাল সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করেন, কলসকাঠি বাজারে তার প্রধান নির্বাচনী কার্যালয়ের সামনে তিনি একা বসে আছেন। তার কর্মী-সমর্থকরা কার্যালয়ে আসলে পুলিশ সরিয়ে দিচ্ছে। তারপরে গ্রেফতারের ভয়। তিনি অভিযোগ করেন, উপজেলার অপর ইউনিয়নের আওয়ামী লীগ দলীয় চেয়ারম্যানরা কলসকাঠিতে অবস্থান করছেন। তাদের নেতৃত্বে কলসকাঠি ইউনিয়নে মোটর সাইকেল মহড়া দিয়ে আতঙ্ক ছড়ানো হচ্ছে। বিভিন্ন স্থানে ধানের শীষের কর্মী সমর্থকদের মারধর করার খবর পাচ্ছেন তিনি। ভয়ে তার কর্মী সমর্থকরা আত্মগোপন করেছেন।
তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ফয়সাল ওয়াহিদ মুন্না বলেন, গত শনিবার বিকালে বিএনপির প্রার্থী লোকজন নিয়ে এলাকায় ত্রাস সৃষ্টি করেছে। বর্তমানে পরিস্থিতি প্রশাসনের নিয়ন্ত্রণে। আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীরা শান্তিপূর্ণভাবে প্রচার-প্রচারণা চালাচ্ছে।
বাকেরগঞ্জ থানার ওসি মো. আবুল কালাম বলেন, আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে একটি অভিযোগ থানায় দেয়া হয়েছিল। অভিযোগে ত্রুটি বিচ্যুতি থাকায় সেটি সংশোধন করে আনার জন্য বলা হয়েছে। এরপরে সেটি অভিযোগ হিসাবে গ্রহণ করে আইনি পদক্ষেপ নেয়া হবে। এদিকে গতকাল দুপুরে বরিশাল নগরীর বিএনপি কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে বাকেরগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য আবুল হোসেন খান অভিযোগ করেন, গত শনিবার বিকালে আওয়ামী লীগের হামলায় বিএনপি প্রার্থীর ছেলেসহ ১০ কর্মী-সমর্থক আহত হয়েছেন। তারা বিএনপি প্রার্থীর কার্যালয় ও কয়েকজন সমর্থকের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান তছনছ করেছে। ঘটনা ভিন্নখাতে নিতে আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীরা নিজেদের দলীয় কার্যালয় ভাঙচুর করে বিএনপি নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।