Inqilab Logo

শক্রবার ০৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ কার্তিক ১৪৩১, ০৬ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

কৃষি আইনের প্রতিবাদ করায় ‘পাকিস্তানি’ উপাধি, বিজেপি নেতার পদত্যাগ!

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৮ অক্টোবর, ২০২০, ৬:৩০ পিএম

মোদি সরকারের কৃষিবিল নিয়ে ভারতজুড়ে বিক্ষোভ এখনও চলছে। রাস্তায় নেমে প্রতিবাদে সামিল হয়েছেন কৃষকরা। আর এই বিক্ষোভের আঁচ সবচেয়ে বেশি পাঞ্জাব ও হরিয়ানায়। এই পরিস্থিতিতে বিজেপির অস্বস্তি কয়েকগুণ বাড়িয়ে দলই ছেড়ে দিলেন পাঞ্জাব বিজেপির সাধারণ সম্পাদক মালবিন্দর সিং কাং। কৃষিবিলের প্রতিবাদ হিসেবেই দল ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি।

তার অভিযোগ, ‘আমি দেশের কৃষকদের সমস্যার কথাই দলের সামনে তুলে ধরেছিলাম। কিন্তু বিল পাশের সময়ে দলের কোর কমিটির সদস্য হিসাবে আমার কোনও কথাই গ্রাহ্য করা হয়নি দলের তরফে। উল্টো দলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক আমাকে পাকিস্তানি তকমা দেন। আসলে কৃষকদের পক্ষে কথা বললে বিজেপি নেতারা এই রকম ভাষাতেই কথা বলেন।’ এখানেই না থেমে নরেন্দ্র মোদিকে আক্রমণ শানিয়ে মালবিন্দর বলেন, ‘বিজেপি নেতাদের স্বভাবই হল, নরেন্দ্র মোদি যেটা করবেন-যা বলবেন, সেটাকেই সব সময়ে ঠিক বলা। প্রতিবাদ করলেই তাকে পাকিস্তানি বলে দেয়া। পাঞ্জাবের কৃষক, ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী এবং শ্রমিক সংগঠনগুলি গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতেই কৃষি আইনের প্রতিবাদ করছে। আমিও তাদের লড়াইয়ে পাশে আছি।’ দলের রাজ্য সভাপতির কাছেই নিজের পদত্যাগপত্র পাঠিয়ে দিয়েছেন মালবিন্দর।

উল্লেখ্য, কৃষি আইনের প্রতিবাদেই প্রথমে নরেন্দ্র মোদির মন্ত্রিসভা ছেড়েছিলেন পাঞ্জাবের শিরোমণি অকালি দলের নেত্রী হরসিমরত কৌর বাদল। কিছুদিনের মধ্যেই এনডিএ ছেড়ে বেরিয়ে যায় অকালি দল। এবার সেই পাঞ্জাবেই দল ছাড়লেন দলের প্রভাবশালী নেতা। ফলে কৃষিবিল নিয়ে ক্রমেই চাপ বাড়ছে বিজেপি শীর্ষ নেতৃত্বের।

এদিকে, পশ্চিমবঙ্গেও রাজ্য সরকারের কৃষকনীতিকে হাতিয়ার করে কেন্দ্রের কৃষিবিলের পক্ষে জনমত গড়ে তুলতে চাইছে বিজেপি। ইতিমধ্যেই জেলায় জেলায় প্রচারেও নেমেছে গেরুয়া শিবির। রাজ্য বিজেপির যুক্তি, কৃষকমান্ডি বেসরকারিকরণের সিদ্ধান্ত অনেক আগে তৃণমূল সরকারই নিয়েছিল। অথচ, তারাই এখন কেন্দ্রের কৃষি বিলের বিরোধিতা করছে। গত দশ বছরে এ রাজ্যে কত কৃষক আত্মহত্যা করেছেন, তার পরিসংখ্যান নিয়েও জেলাস্তরের বিজেপি নেতাদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকারের কৃষকসম্মান নিধি প্রকল্প কেন বাংলার কৃষকদের কাছে পৌঁছতে দেয়া হল না, তা নিয়ে নতুন আন্দোলন শুরু করার সিদ্ধান্তও নিয়েছে বিজেপি। কিন্তু গোটা দেশজুড়ে যেভাবে কৃষিবিল নিয়ে অসন্তোষ দানা বেঁধেছে, তাতে এ রাজ্যেও কৃষিবিলের সমর্থনের প্রচার বিশেষ কাজে আসছে না বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। সূত্র: টিওআই।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ