পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাপসাতালের চিকিৎসক যে নবজাতককে মৃত ঘোষণা করেছিলেন, সেই নবজাতক হাত-পা নাড়ছে। বর্তমানে ওই নবজাতকটি ঢামেক হাসপাতালের নবজাতক ইউনিটে আইসিইউতে চিকিৎসাধীন রয়েছে। সেখানে মুখে অক্সিজেন লাগানো অবস্থায় হাত-পা নাড়ছে সে। গতকাল এমন তথ্য জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল একেএম নাসির উদ্দিন সাংবাদিকদের বলেন, হাসপাতালে মৃত ঘোষণার পর কবরস্থানে নেয়া হয় নবজাতকে। সেখানে নবজাতকের জীবিত হয়ে ওঠার ঘটনাটি দুঃখজনক। ঘটনাটি মিরাকল! মেডিক্যাল সায়েন্সে এমন ঘটনা হতেই পারে, অনেক জায়গায়ই হয়েছে। তবে আমরা দেখবো কারও কোনো অবহেলা ছিল কিনা। তদন্ত শেষে কারও গাফিলতি পাওয়া গেলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানান তিনি।
তিনি বলেন, আমি গতকাল সকালে চার সদস্যের তদন্ত কমিটির সঙ্গে বসেছিলাম। তাদের কাছেও জানার চেষ্টা করেছি কী কারণে এমনটি হয়েছে। তিনি বলেন, শিশুটি জন্মের পর কোনো কান্নাকাটি, নড়াচড়া ছিল না। তার হার্টবিটও পাচ্ছিল না। আমাদের চিকিৎসকরা অনেক চেষ্টা করছিল, কিন্তু অনেক সময় পরেও কোনো রেসপন্স পাচ্ছিল না। তারপরও চিকিৎসকরা অক্সিজেন দিয়ে রেখে দেয় শিশুটিকে। পরে শিশুটিকে মৃত ঘোষণা করে ডেড সার্টিফিকেট দেয়া হয়। এরপরই শিশুটির বাবা কবরস্থানে নিয়ে যায়।
তিনি আরো বলেন, শিশুটি এখন এনআইসিইউতে ভর্তি রয়েছে। এক কেজি ওজনের কমই শিশুটি জন্ম হয়েছিল। আগের চাইতে কিছুটা উন্নতি হচ্ছে।
এর আগে গত ১৩ অক্টোবর ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ১১০ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি হন গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার মালেঙ্গা গ্রামের সন্তান সম্ভাবনা গৃহবধূ শাহিনুর। গত শুক্রবার ভোরের দিকে স্বাভাবিকভাবে একটি কন্যা সন্তানের জন্ম দেন তিনি। গৃহবধূ শাহিনুরের স্বামীর নাম ইয়াসিন মোল্লা জানান, জন্মের পরপরই ওই নবজাতককে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। পরে ওই নবজাতককে একটি প্যাকেটে ভরে তার বাবা ইয়াসিন মোল্লার কাছে হস্তান্তর করে চিকিৎসক বলেন, নবজাতকটি মৃতই জন্ম নিয়েছে। পরে ওই প্যাকেটে থাকা নবজাতকটিকে নিয়ে ইয়াসিন আজিমপুর কবরস্থানে যান। সেখানে অর্থনৈতিক কারণে তাকে দাফন করতে না পারায় একপর্যায়ে ইয়াসিন নবজাতকটিকে নিয়ে বসিলা কবরস্থানে যান। সেখানের লোকজন তাকে দাফনের জন্য প্যাকেট খুললে নবজাতকটি নড়ে ওঠে কান্না করে। এ সময় চমকে যান ইয়াসিন। পরে তিনি দ্রুত নবজাতককে ঢামেক হাসপাতালে নিয়ে যান। বর্তমানে নবজাতকটি ঢামেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। গতকাল এই নবজাতকের নাম রাখা হয়েছে মরিয়ম।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।