Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

‘বিদায় হও, বিদায় হও’, ‘স্বৈরাচারের পতন হোক’ স্লোগানে উত্তপ্ত থাইল্যান্ড

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৭ অক্টোবর, ২০২০, ১০:৪১ এএম

থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককে জরুরি অবস্থা ভেঙে রাজপথে বিক্ষোভ করছেন হাজার হাজার মানুষ। এর আগে বিক্ষোভ থেকে গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিদের মুক্তির দাবিতে রাস্তায় নেমে আসে বিক্ষোভকারীরা। বুধবার তিন নেতাসহ অন্তত ২০ বিক্ষোভকারীকে গ্রেফতার করেছে থাই পুলিশ। প্রবল বৃষ্টির মধ্যে রাজধানী ব্যাংককে জড়ো হয়ে তাঁরা ‘বিদায় হও, বিদায় হও’, ‘স্বৈরাচারের পতন হোক’ স্লোগান দিচ্ছে। তরুণদের এ বিক্ষোভ ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ জলকামান ব্যবহার করে। কেউ কেউ পুলিশকে লক্ষ্য করে পানির বোতল ছুড়ে মারেন। প্রধানমন্ত্রী প্রাউত চান-ওচার হুঁশিয়ারি উপেক্ষা করে দ্বিতীয় দিনের মতো এ বিক্ষোভ হলো। খবর আল জাজিরার।

এর আগে বৃহস্পতিবার ব্যাংককের র‌্যাচাপ্রাসং চত্বরে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ করেন হাজার হাজার মানুষ। তাঁদের দাবি দেশটিতে রাজনৈতিক সংস্কার ও গণতন্ত্র। ওই স্থানেই শুক্রবার বিপুলসংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়। ফলে সংক্ষিপ্ত নোটিশে বিক্ষোভের স্থান এক মাইল দূরে সরিয়ে নেওয়া হয়।
পুলিশ দ্রুতই বিক্ষোভের নতুন স্থানে হাজির হয়ে যায়। তারা আশপাশের রাস্তা ও মেট্রো স্টেশনগুলো বন্ধ করে দেয়। এর মধ্যেই ঘটনাস্থলে হাজারো বিক্ষোভকারী জড়ো হয়ে যান। তাঁদের একজন ২২ বছর বয়সী পিন। হয়রানির ভয়ে পুরো নাম বলতে রাজি হননি বিশ্ববিদ্যালয়ের এই ছাত্রী। তিনি বলেন, ‘আমার ভবিষ্যতের জন্যই এ লড়াই চালাতে হবে।’
স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের বরাত দিয়ে বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, শুক্রবারের সন্ধ্যায় ব্যাংককের কেন্দ্রস্থলে সড়কে নেমে বিক্ষোভ করেন দুই হাজারের বেশি মানুষ। সড়ক অবরোধ করে অবস্থান নেন দাঙ্গা পুলিশের শত শত সদস্য। এরপরও তরুণ বিক্ষোভকারীরা মিছিল নিয়ে সামনে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। এ এ সময় তাঁরা উচ্চস্বরে স্লোগান দেন, ‘আমাদের বন্ধুদের মুক্ত করো’। চলতি সপ্তাহেই সরকারবিরোধী বিক্ষোভের সময় ৪০ জনের বেশি আন্দোলনকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়।
থাই সরকার বৃহস্পতিবারই পাঁচজনের বেশি এক জায়গায় জড়ো হওয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে। প্রায় তিন মাস ধরে বিক্ষোভের মুখে এ সিদ্ধান্ত নেয় তারা। বিক্ষোভকারীদের প্রধান দাবি দুটি- থাই রাজা মহা ভাজিরালংকর্নের ক্ষমতা খর্ব করা এবং প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে প্রাউতকে অপসারণ করা।
২০১৪ সালের অভ্যুত্থানের পর দেশের সেনাপ্রধান হিসেবে প্রথম ক্ষমতা গ্রহণ করেন প্রাউত। সমালোচকদের ভাষ্য, তিনি বেসামরিক প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ক্ষমতায় টিকে থাকতে গত বছরের সাধারণ নির্বাচনে কারচুপি করেন। তবে প্রাউতের দাবি, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হয়েছে।
বিক্ষোভকারীরা দেশের জন্য একটি নতুন সংবিধানও চাইছেন। বর্তমান সংবিধান লেখা হয়েছিল ওই সামরিক শাসন চলাকালে।

দশকের পর দশক সামরিক বাহিনীর শাসনে বা তাদের প্রভাবের অধীনে থেকেছে থাইল্যান্ড। বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, দেশটির রাজতন্ত্র সব সময়ই রাজনীতির ওপর সেনাবাহিনীর প্রভাব বিস্তারে সহায়তা করেছে। এ কারণে রাজতন্ত্র সংস্কার করে রাজার ক্ষমতা খর্ব না করলে এগিয়ে যেতে পারবে না থাইল্যান্ড। সূত্র : বিবিসি



 

Show all comments
  • মোঃ দুলাল মিয়া ১৭ অক্টোবর, ২০২০, ১১:১৭ এএম says : 0
    থাইল্যান্ডের ছেয়ে বাংলাদেশের লোক কি দুর্বল ।মুখে বলে আমরা এইটা আমরা সেইটা কিন্তু কাজের বেলায় ঠন ঠন ।তাই যদি না হতো ভোট চুরি করে ক্ষমতায় কি করে থাকে।কভে থাইল্যান্ডের মতে হবে।????????????????????????
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ