নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
দেশের বিভিন্ন ক্রীড়া সংগঠকদের নতুন বার্তা দিল জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ (এনএসসি)। আর তা হচ্ছে- ভবিষ্যতে একই সংগঠক দুই বা তার অধীক ক্রীড়া সংস্থায় গুরুত্বপূর্ণ পদে থাকতে পারবেন না। ফলে একাধিক পদের মজা শেষ হচ্ছে অচিরেই! অনেক সংগঠক একই সঙ্গে বিভাগ ও জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক পদে বহাল তবিয়তে আছেন দীর্ঘদিন ধরে। এছাড়া বেশ কিছু জাতীয় ক্রীড়া ফেডারেশনেও দেখা যায় একজন আছেন একাধিক গুরুত্বপূর্ণ পদে। এই বৃত্ত থেকে বেরিয়ে আসতে চাইছে এনএসসি। ফলে সংগঠকদের একাধিক ক্রীড়া সংস্থা বা ফেডারেশনের নির্বাহী কমিটিতে থাকতে নিরুৎসাহিত করতে চাইছেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী এবং এনএসসির চেয়ারম্যান মো. জাহিদ আহসান রাসেল। তিনি চাইছেন না একই ব্যাক্তি একাধিক ক্রীড়া সংস্থা বা ফেডারেশনের গুরুত্বপূর্ণ পদে থাকেন। যে কারণে খুব শিঘ্রই এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করবে এনএসসি। সেই প্রজ্ঞাপন জেলা ও বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থা এবং ফেডারেশনগুলোতে পাঠিয়ে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা।
জাতীয় ক্রীড়া ফেডারেশনগুলোর দিকে নজর দিলে দেখা যায় বেশ কিছু ফেডারেশনে সাধারণ সম্পাদক পদে একই ব্যাক্তি দু’জায়গায় রয়েছেন। এছাড়া কয়েকটি ফেডারেশনের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে রয়েছেন একই ক্রীড়া সংগঠক। উদাহরণ হিসেবে বলা যায় বর্ষীয়ান ক্রীড়া সংগঠক তোফাজ্জল হোসেনের নাম। তিনি একই সঙ্গে আছেন বাংলাদেশ অ্যাথলেটিক ফেডারেশন, উশু এবং সাইক্লিং ফেডারেশনের সহ-সভাপতি পদে।
দুইয়ের অধিক ফেডারেশন বা অ্যাসোসিয়েশনের নির্বাহী কমিটিতে আছেন ওয়ালটন গ্রুপের কর্মকর্তা এফএম ইকবাল বিন আনোয়ার ডন। এমন আরও অনেকেই আছেন ২/৩ টি ফেডারেশন বা অ্যাসোসিয়েশনের কমিটিতে।
এ প্রসঙ্গে যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল বলেন, ‘এখন থেকে জেলা ও বিভাগে একই ব্যক্তি গুরুত্বপূর্ণ দু’টি পদে থাকতে পারবেন না। এছাড়া জাতীয় ক্রীড়া ফেডারেশন ও অ্যাসোসিয়েশনেও একই ব্যক্তি গুরুত্বপূর্ণ দু’টি পদে (সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক) এবং গুরুত্বহীন দুইয়ের অধিক পদে থাকতে পারবেন না। এ বিষয়ে আমরা তাদেরকে নিরুৎসাহিত করছি।’
এনএসসি’র ক্রীড়াপঞ্জি ঘেটে জানা গেছে, দুই জেলা ও বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদ পদে রয়েছেন চারজন নয়, দু’জন ক্রীড়া সংগঠক। জামালপুর জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক পদে আছেন আবদুল্লাহ আল ফুয়াদ রেদুয়ান, যিনি ময়মনসিংহ বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদকও। আর রংপুর জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আনোয়ারুল ইসলাম একই সঙ্গে রংপুর বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বও পালন করছেন! ফলে যোগ্যতা থাকা সত্বেও অন্য ক্রীড়া সংগঠকরা নিজেদের সাংগঠনিক দক্ষতা প্রমাণের সুযোগ পাচ্ছেন না। যে কারণে ‘একই ব্যক্তি বিভাগীয় ও জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালনে নিরুৎসাহিতকরণ’ বিষয়ে এনএসসি সচিব মাসুদ করিম স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপন (নং-জাক্রীপ/১১৯/জেন/৬৪৬/১) জারি হতে যাচ্ছে খুব শিঘ্রই।
এনএসসির এক কর্মকর্তা জানান, দেশের ক্রীড়া কর্মকা-কে গতিশীল করার স্বার্থে একই ব্যক্তি এক সঙ্গে বিভাগীয় ও জেলা সংস্থার সাধারণ সম্পাদক হিসেবে মনোনীত/নির্বাচিত হওয়া থেকে নিরুৎসাহিত করার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, জাতীয় ক্রীড়া ফেডারেশন ও অ্যাসোসিয়েশনেও একজন ক্রীড়া সংগঠক দুই জায়গায় গুরুত্বপূর্ণ পদে থাকতে পারবেন না।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।