Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ফের উত্তরপ্রদেশে দলিত তরুণীকে ধর্ষণ করে হত্যা

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৬ অক্টোবর, ২০২০, ৬:১৪ পিএম

কিছুদিন আগেই উত্তরপ্রদেশ রাজ্যের হাথরসে এক দলিত তরুণীকে গণধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় ভারতজুড়ে বিক্ষোভ শুরু হয়েছিল। সেই মামলার তদন্তের মধ্যেই সেখানে ফের আরেক দলিত তরুণীকে ধর্ষণ করে হত্যা করা হলো। হাথরসে উনিশের তরুণীর ঘটনার সঙ্গে মিল রয়েছে এই ঘটনারও। ফলে যোগীরাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে নতুন করে বিতর্ক শুরু হয়েছে।

বুধবার রাতে বাড়ির কাছেই একটি চাষের খেত থেকে আঠারো বছর বয়সী ওই যুবতীর লাশ উদ্ধার হয়। তার হাত দড়িতে বাঁধা ছিল। অটোপসি রিপোর্টে পুলিশ নিশ্চিত, খুনের আগে ধর্ষণ করা হয়েছে দলিত পরিবারের মেয়েটিকে। ঘটনাটি ঘটেছে লখনউ থেকে ৪০ কিলোমিটার দূরে, উত্তরপ্রদেশের বারাবঙ্কি জেলার সাতরিখ থানা এলাকার টিপরি গ্রামে।

মেয়েটির বাবা অভিযোগপত্রে জানান, ‘বুধবার বিকালে মেয়ে জমিতে গিয়েছিল ফসল কাটতে। অন্ধকার নামলেও মেয়ে ঘরে না-ফেরায় সন্দেহ হয়। ওকে খুঁজতে জমিতে গিয়ে দেখি মেয়ে সংজ্ঞাহীন অবস্থায় পড়ে রয়েছে। দুটো হাত দড়িতে শক্ত করে বাঁধা ছিল। পরনের পোশাক ছিল অবিন্যস্ত। ছেঁড়া। জমি থেকে উদ্ধার করে, স্থানীয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে গেলে ওই তরুণীকে মৃত ঘোষণা করা হয়। পুলিশকেও ঘটনার খবর দেয়া হয়।’ পোস্টমর্টেম রিপোর্টের উল্লেখ করে পুলিশ জানিয়েছে, দলতি তরুণীকে ধর্ষণের প্রমাণ মিলেছে। ধর্ষণের পর তাকে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছে।

মৃত তরুণীর বাবা সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘আমার টাকা-পয়সা, ক্ষতিপূরণ লাগবে না। এই টাকা, ক্ষতিপূরণ আমার মেয়েকে আমার কাছে ফিরিয়ে দিতে পারবে না। আমি একমাত্র ন্যায়বিচার চাই। দোষীদের শাস্তি না হওয়া পর্যন্ত আমার শান্তি নেই।’ পুলিশি জিগ্যাসাবাদে ওই ব্যক্তি জানান, গ্রামে কারও সঙ্গে তার অশান্তি বা শত্রুতা ছিল না। জমিজমা সম্পত্তি নিয়ে কারও সঙ্গে বিবাদ হয়নি। সন্দেহভাজন কারও নামও তিনি পুলিশকে বলতে পারেননি।

বারাবঙ্কির পুলিশ সুপার অরবিন্দ চতুর্বেদী জানান, এফআইআরে দলিত তরুণীকে ধর্ষণ-খুনের অভিযোগ আনা হয়েছ। তিনি জানান, এই মামলার নিষ্পত্তিকে পুলিশের একাধিক টিম গঠন করা হয়েছে। ঘটনাস্থলে তদন্তকারী পুলিশ অফিসারদের পাশাপাশি ডগ স্কোয়াডও গিয়েছিল। ফরেন্সিক টিম গিয়ে ঘটনাস্থল থেকে কিছু নমুনাও সংগ্রহ করেছে। মেয়েটির পরিবার সংবাদমাধ্যমকে জানায়, বুধবার রাতে অর্ধনগ্ন অবস্থায় মেয়েকে তারা উদ্ধার করেছিলেন। সংজ্ঞা ছিল না। পরনের পোশাকের অবস্থা দেখেই সন্দেহ হয়েছিল, মেয়েকে যৌন নিগ্রহ করা হয়েছে। পুলিশের ময়নাতদন্তের রিপোর্টেও ধর্ষণের কথা বলা হয়েছে। এফআইআরে প্রথমে খুনের ধারা দেওয়া হলেও পরে অটোপসির রিপোর্টের ভিত্তিতে ধর্ষণের ধারা যোগ করা হয়। পুলিশ সন্দেহভাজন ২ জনকে গ্রেফতারও করেছে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে গ্রামে উত্তেজনা তৈরি হলে, পুলিশ পিকেট বসানো হয়।

এদিকে, হাথরস মামলায় সিবিআইয়ে টিম বৃহস্পতিবার চার অভিযুক্ত সন্দীপ, রবি, রামু ও লবকুশের পরিবারের লোকজনকে জেরা করেছে। তার আগের দিন ওই তরুণীর পরিবারের সদস্যদের ৬ ঘণ্টা ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকর্তারা। হাথরসের কৃষি দফতরে সিবিআইয়ের জন্য অস্থায়ী অফিস তৈরি হয়েছে। সূত্র: টিওআই।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ