বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
দেশে ধর্ষণের নতুন আইনে সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড পাশের পর টাঙ্গাইলের একটি গণধর্ষণ মামলায় পাঁচজনের মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। এক মাদ্রাসাছাত্রীকে অপহরণের পর দলবেঁধে ধর্ষণের দায়ে এই শাস্তি ঘোষণা করা হয়। যদিও এই রায় হয়েছে ২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন এর ৯(৩) ধারা অনুযায়ী। তবুও এটিকে একটি দৃষ্টান্তমূলক রায় হিসেবে উল্লেখ করে স্ট্যাটাস দিয়েছেন নেটিজেনরা। দেশে ধর্ষণ-বিরোধী জোরদার আন্দোলনের মধ্যে এই রায় ঘোষণা করায় সামাজিক মাধ্যমে আদালতকে স্বাগত জানিয়েছেন অনেকেই। তারা এখন এই রায়ের দ্রুত কার্যকরের দাবি জানিয়েছেন।
টাঙ্গাইলের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক খালেদা ইয়াসমিন বৃহস্পতিবার দুপুরে এ আদেশ দেন। এ ছাড়া তাদের প্রত্যেককে এক লাখ টাকা করে জরিমানা করেছেন আদালত।
ফেসবুকে বেলি রহমান লিখেছেন, ‘‘এই রায়ও কি উচ্চ আদালতে যাওয়ার সুযোগ আছে? যদি না থাকে তবেই মঙ্গল। অনতি বিলম্বে ফাঁসি কার্যকর হলে অপরাধী মানুষের মনে ভীতির সঞ্চার হবে। মানুষ অপরাধ করতে ভয় পাবে। আইনের প্রতি আস্থা বাড়বে সাধারণ নিরপরাধ জনগণের।’’
সাইফুল সাইফ লিখেছেন, ‘‘এটা অবশ্যই সমাজে ধর্ষণ নামের এই মহামারী কিছুটা হলেও কমাবে। তবে প্রকৃত ধর্ষণকারীদেরকে শনাক্ত করতে অবশ্যই ভিকটিমের এবং ধর্ষণকারীর ডিএনএ টেস্ট করা দরকার।’’
মইনুদ্দিন খান লিখেছেন, ‘‘দলমত নির্বিশেষে আইনের শাসন কায়েম হোক এবং দলমতের উর্দ্ধে উঠে আইনশৃংখলা বাহিনী তাদের উপর অর্পিত দায়িত্বপালন করতে পারলে সোনার বাংলা হতে বেশী সময় লাগবেনা৷’’
মোঃ আলমগীর রহমান লিখেছেন, ‘‘জনসম্মুখে মৃত্যুদন্ড কার্যকর করা হোক।দেশের সব টিভি চ্যানেলে সরাসরি সেই মৃত্যুদন্ড দেখানো হোক। মানুষের কলিজায় ভয় সৃষ্টি হবে তবে ,,,ধর্ষনের কথা মাথায় আনতে ভয় পাবে।’’
নাজমুল হাসান লিখেছেন, ‘‘ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডের কারনে, প্রতি বছর অন্তত ৫০০/৬০০ ফাঁসির আদেশ হবে!যার ভয়াবহ প্রভাব পরবে সমাজে!ধর্ষণ প্রতিরোধে ফাঁসি রায় কত টুকু কাজে আসবে তা বলা কঠিন।তার প্রধান কারন হচ্ছে নারী পুরুষের অবাধ বিচরণে ধর্ষণের মত জঘন্য অপরাধ বাড়ে সমাজে।এবং প্রলোভন দেখিয়ে, বিয়ের লোভ দেখিয়ে শারিরীক সম্পর্কে যখন ধর্ষণ হিসেবে মামলা করা হয় তখন ধর্ষণের লাগাম টেনে ধরবেন কি করে?’’
কাজী মুরাদ লিখেছেন, ‘‘২০১২ সালের মামলায় ২০২০ সালে মাত্র নিম্ম আদালত রায় দিল। এরপর উচ্চ আদালতে আপিল চলবে আরো ১০-১৫ বছর। তারপর এর আপিল রিভিও তার উপর সুনানি । এভাবে চলতে চলতে আসামীরা ও বাদী সাভাবিক ভাবে মৃত্যুবরণ করবে।’’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।