Inqilab Logo

বুধবার, ০১ মে ২০২৪, ১৮ বৈশাখ ১৪৩১, ২১ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

পলাতক এসআই আকবরকে ধরতে ইমিগ্রেশনে পিবিআইয়ের চিঠি

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৫ অক্টোবর, ২০২০, ২:৪১ পিএম

সিলেট কোতোয়ালি থানার বন্দরবাজার ফাঁড়ির ইনর্চাজ (সাময়িক বরখাস্ত) এসআই আকবর হোসেন ভূঁইয়াকে গ্রেফতার করছে অভিযান চালাচ্ছে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। তবে তিনি যাতে দেশ ত্যাগ না করতে পারেন সেজন্য ইমিগ্রেশনে চিঠি দিয়েছে পিবিআই।

বৃহস্পতিবার (১৫ অক্টোবর) ধানমন্ডিতে অবস্থিত পিবিআইয়ের প্রধান কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে এমন তথ্য জানান সংস্থাটির প্রধান ডিআইজি বনজ কুমার মজুমদার।

তিনি বলেন, ‘সিলেটের ঘটনার ডকেট ((সাক্ষ্য-প্রমাণ ও তথ্যের নথি)) আমরা গত পরশুদিন রাতে পেয়েছি। ঘটনাস্থলে সিলেটের পিবিআই টিম তিন থেকে চার ঘণ্টা ছিল। আমরা আমাদের তদন্ত শুরু করে দিয়েছি। তদন্তের প্রাথমিক পর্যায়ে আমাদের মনে হয়েছে, সাময়িক বরখাস্ত হওয়া এসআই আকবরকে আমাদের দরকার।

তিনি বলেন, এ কারণে সমগ্র ইমিগ্রেশনে আমরা জানিয়ে দিয়েছি, আকবর যেন কোনোমতেই দেশ ছেড়ে পালিয়ে না যেতে পারে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকেও সীমান্তের বিভিন্ন ইমিগ্রেশন সেন্টারে জানিয়ে দেয়া হয়েছে, আকবর যেন দেশ ছেড়ে পালিয়ে যেতে না পারে। তাকে ধরার জন্য আমরা টিম রেডি করেছি। তাকে আমাদের খুবই দরকার।

বিপিআইয়ের ওই কর্মকর্তা বলেন, আমাদের আইজিপি স্যার সবসময় বলেন, করোনার মধ্যে তোমরা যে সুনাম কামিয়েছ, আকাম করে এ সুনাম নষ্ট করো না। আকবর যেহেতু এই অপকর্ম করে বাহিনীর সুনাম নষ্ট করেছে এবং সে আমাদের কথা চিন্তা করে নাই, সুতরাং তার বিষয়ে কোনো চিন্তা করার সুযোগ নেই।

১০ হাজার টাকার কারণেই কি এমন ঘটনা ঘটেছে’-এমন প্রশ্নের তিনি বলেন, আমরা বিষয়গুলো তদন্ত করে দেখছি। একদিনেই সবকিছু বলা যাবে না। তবে আমরা একজন ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে কবর থেকে তার মরদেহ আবার উঠাব এবং তদন্ত করব।

এদিকে সিলেট নগরের বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়িতে নির্যাতনে নিহত রায়হান উদ্দিনের লাশ পুনরায় ময়নাতদন্তের জন্য কবর থেকে উত্তোলন করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৫ অক্টোবর) সকাল ৯টার দিকে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) একটি দল জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মিসবাহ উদ্দিন ও সজিব আহমদের নেতৃত্বে আখালিয়া এলাকার নবাবী মসজিদের পঞ্চায়েত গোরস্থান থেকে লাশটি তোলার কাজ শুরু করেন। দুই ঘণ্টা পর লাশটি উত্তোলন করে পুনরায় ময়নাতদন্তের জন্য সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগের মর্গে নিয়ে যাওয়া হয়।

উল্লেখ্য, উল্লেখ্য, গত রবিবার (১১ অক্টোবর) সকাল ৭টা ৫০ মিনিটে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান নগরীর নেহারীপাড়ার মৃত রফিকুল ইসলামের ছেলে রায়হান উদ্দিন। ৬টা ৪০ মিনিটের সময় গুরুতর আহতাবস্থায় তাকে হাসপাতালে ভর্তি করেছিলেন বন্দরবাজার ফাঁড়ির এএসআই আশেকে এলাহী।

মারা যাওয়ার পর রায়হানের শরীরে বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়। তার হাতের নখও উপড়ানো ছিল। এ ঘটনার পর পুলিশের বিরুদ্ধে হেফাজতে নির্যাতন করে রায়হানকে মেরে ফেলার অভিযোগ ওঠে। রায়হানের মৃত্যুর জন্য দায়িত্বহীনতার দায়ে বন্দরবাজার ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই আকবর হোসেন ভূইয়াসহ চার পুলিশ সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত ও তিনজনকে প্রত্যাহার করা হয়।

ময়না তদন্ত শেষে রবিবার বাদ এশা নগরীর আখালিয়া জামে মসজিদে জানাজা হয় রায়হান উদ্দিনের। পরে আখালিয়া জামে মসজিদ সংলগ্ন কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: পিবিআইয়ের চিঠি
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ