বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
ফরিদপুর নদী গবেষণা ইন্সটিটিউটের ফটোগ্রাফার মো. আবুল এহসান মিঞার বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার ও নানা অভিযোগ পাওয়া গেছে। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এবং অর্থ মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত থাকা সত্বেও আবুল এহসান মিঞাকে নদী গবেষণা ইন্সটিটিউটের উপপরিচালকের অতিরিক্ত দায়িত্ব প্রদান করা হয়। তবে পরবর্তীতে নগই-র ১৫ তম সভায় জারিকৃত আদেশ বাতিল করা হয়। ৯ম ও ১০ম গ্রেডে বেতনস্কেল পাওয়ার প্রয়োজনীয় শিক্ষাগত যোগ্যতা আবুল এহসান মিঞার নেই। তিনি ৩য় শ্রেণিতে স্মাতক ডিগ্রি অর্জন করেছেন এবং ফটোগ্রাফিতে তার কোনো ডিপ্লোমা নেই।
জানা যায়, ইতোপূর্বে বর্তমান পরিচালক পিন্টু কানুনগোয়ের সাথে দূর্ব্যবহার করেন আবুল এহসান। এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ করেন পিন্টু কানুনগোয়ের। আবুল এহসানের বিরুদ্ধে পত্রিকায় অভিযোগের প্রেক্ষিতে পানিসম্পদ মন্ত্রণালয় তদন্ত কর্মকর্তা নিয়োগ করেন। এর প্রেক্ষিতে পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের তৎকালীন উপ-সচিব জাকির হোসেন তদন্ত রির্পোট দাখিল করেন। তদন্তে আবুল এহসানের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় নগই-র মহাপরিচালকে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়ার অনুরোধ করেন। আবুল এহসান উপ-পরিচালক থাকাকালীন ৪৫টি দাফতরিক ফাইল অসম্পূর্ণ অবস্থায় ফেলে রাখেন। মন্ত্রাণালয়ের নির্দেশের প্রেক্ষিতে কেন নথিগুলো আনা হয়েছিল ও কেন দীর্ঘদিন রক্ষিত ছিলো সে বিষয়ে তার নিকট ৭ দিনের মধ্যে ব্যাখ্যা চাওয়া হয়।
নগই-র প্রবিধানমালা ১৯৯৮ অনুযায়ী, দায়িত্বে অবহেলা ও অসদচাণের অভিযোগে আবুল এহসান মিয়ার বিরুদ্ধে একটি বিভাগীয় মামলা তদন্ত করার জন্য তদন্ত কর্মকর্তা নিয়োগ করা হয়। মামলা তদন্তনাধীন থাকা অবস্থায় রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ ও অব্যাহতির আদেশ আদায় করে নেন। আবুল এহসান মিয়া ফটোগ্রাফারের পদোন্নতির জটিলতা সৃষ্টির সম্ভাবনার উক্ত প্রজ্ঞাপনকে চ্যালেঞ্জ করে মহামান্য হাইকোর্ট বিভাগে রিট পিটিশন দায়ের করেন। রিট পিটিশনের রায় ও আদেশ নগই-র বিপক্ষে যায়। যা এখন বিচারাধীন আছে।
পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপসচিব নাসিমা আক্তারের প্রজ্ঞাপনে মতামত দেয়া হয়, আবুল এহসান মিঞা ফটোগ্রাফারকে ১৯৯৩ সালের পিপি অনুসরণ না করে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। পরবর্তীতে রাজস্বখাতে হস্তান্তরের সময় চাকরি প্রবিধানমালা ১৯৯৮-এ ফটোগ্রাফার পদটি অর্ন্তভূক্ত করা হয়নি। শর্তানুযায়ী আবুল এহসান মিয়া শিক্ষাগত অর্জন করেননি। এ কারণে চিত্রগ্রাহক কর্মকর্তার পদ হতে উপ-পরিচালক পদে পদোন্নতি প্রদানের তার কোনো সুযোগ নেই। আবুল এহসানের বিরুদ্ধে নানা অনিয়মের অভিযোগ থাকা সত্বেও প্রভাব ও ভয়ভীতি খাটিয়ে আবার ভারপ্রাপ্ত উপ-পরিচালকের দায়িত্ব পাওয়ার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। এই বিষয়ে ফটোগ্রাফার আবুল এহসান মিঞা জানান, আমার বিরুদ্ধে একটি কুচক্রী মহল মিথ্যা প্রচার চালাচ্ছেন। এ অভিযোগ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।