পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বাংলাদেশের বিদেশি ঋণের চাপ ক্রমেই বাড়ছে। এক দশকের ব্যবধানে এ ধরনের ঋণের পরিমাণ দ্বিগুণেরও বেশি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫৭ বিলিয়ন ডলারে। গত মঙ্গলবার বিশ্বব্যাংকের প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে। ওয়াশিংটনে সংস্থার সদর দফতর থেকে প্রকাশিত ‘আন্তর্জাতিক ঋণ পরিসংখ্যান ২০২১’ শীর্ষক প্রতিবেদনে বাংলাদেশসহ স্বল্প ও মধ্য আয়ের ১২০টি দেশের বিদেশি ঋণ পরিস্থিতি তুলে ধরা হয়েছে। বিশ্বব্যাংকের এ প্রতিবেদনে ২০১৯ সাল পর্যন্ত তথ্য বিবেচনায় নেয়া হয়েছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, হালনাগাদ তথ্য বিবেচনায় বাংলাদেশের বিদেশি ঋণের প্রকৃত পরিমাণ প্রতিবেদনে প্রকাশিত ঋণের তুলনায় বেশি হওয়ার কথা। কারণ মহামারি করোনায় অর্থনৈতিক ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে বিদেশি উৎস থেকে বেশি পরিমাণে ঋণ নেয়া হচ্ছে। চলতি অর্থবছরে ১৭ হাজার কোটি টাকার বাজেট সহায়তা চাওয়া হয়েছে। এ অর্থ বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে (এডিপি) নেয়া ঋণের অতিরিক্ত। ইতিমধ্যে ৫ বিলিয়ন ডলারের মতো বাজেট সহায়তা পাওয়ার কথা পরিকল্পনা কমিশনের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিদেশি ঋণের পরিমাণ বৃদ্ধি বাংলাদেশের দুর্বলতা নির্দেশ করে না। কারণ গত ১০ বছরে দেশের অর্থনীতির আকার বড় হয়েছে। এতে ঋণ পরিশোধের সক্ষমতাও বেড়েছে। ঋণ পরিশোধে বাংলাদেশের রেকর্ডও এখন পর্যন্ত ভালো।
বেসরকারি গবেষণা সংস্থা পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) নির্বাহী পরিচালক ড. আহসান এইচ মনসুর বলেন, বিদেশি ঋণের পরিমাণকে সমস্যা হিসেবে দেখার কোনো কারণ নেই। রফতানি আয় বেড়েছে। প্রবাসী আয় বেড়েছে। গত ১০ বছরে কয়েকগুণ। এ যাবৎ কোনো বিদেশি ঋণদান প্রতিষ্ঠানের কাছে বাংলাদেশ খেলাপি হয়নি। এছাড়া সমমানের অর্থনীতির অনেক দেশের তুলনায় বাংলাদেশের ঋণের পরিমাণ কম। মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) তুলনায় বিদেশি ঋণের অনুপাতও বেশি নয়।
তিনি বলেন, তবে করোনার কারণে এ বছর ঋণ পরিশোধে হয়তো কিছুটা বেগ পেতে হবে। বিদেশি ঋণের পরিমাণও বাড়ছে। তবে ঋণ পরিশোধে শেষ পর্যন্ত বড় কোনো সমস্যা হবে না বলে মনে করেন ড. আহসান এইচ মনসুর।
বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ১০ বছর আগে ২০০৯ সালে বাংলাদেশের বিদেশি ঋণের পরিমাণ ছিল ২৫ দশমিক ৩ বিলিয়ন ডলার। ২০১৯ সাল শেষে এ পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৫৭ বিলিয়ন ডলার। এ ঋণের মধ্যে ৪১ বিলিয়ন ডলার ব্যয় হয়েছে সরকারি খাতে। বাকি অর্থ এসেছে বেসরকারি উদ্যোক্তা পর্যায়ে। মোট ঋণে দীর্ঘমেয়াদে পরিশোধযোগ্য ঋণের পরিমাণ ৪৫ দশমিক ৯৩ বিলিয়ন ডলার। ২০১৮ সালে এর পরিমাণ ছিল ৪১ দশমিক ৫৬ বিলিয়ন ডলার। তবে স্বল্পমেয়াদি ঋণের পরিমাণ বেড়েছে তুলনামূলক কম। এ ধরনের ঋণের পরিমাণ ৭ দশমিক ৮ বিলিয়ন ডলার থেকে ৯ দশমিক ৭৩ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত হয়েছে।
দীর্ঘমেয়াদি ঋণে সুদ পরিশোধ প্রসঙ্গে প্রতিবেদনে বলা হয়, এ ধরনের ঋণ পরিশোধ বেড়েছে ৩১ দশমিক ৮ শতাংশ। এর পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৬৩ কোটি ৯০ লাখ ডলার। এর মধ্যে সরকারি খাত পরিশোধ করেছে ৪৮ কোটি ৭০ লাখ ডলার।
বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদনে অন্যান্য দেশের বিদেশি ঋণ প্রসঙ্গে বলা হয়, ২০১৯ সাল শেষে স্বল্প এবং মধ্যম আয়ের ১২০টি দেশের ঋণের পরিমাণ ৮ দশমিক ১ ট্রিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে গেছে। এ ঋণ ২০টি দেশের মোট দেশজ আয়ের (জিএনআই) ২৬ শতাংশ।
বিশ্বব্যাংকের আন্তর্জাতিক ঋণ প্রতিবেদন সিস্টেমে (ডিআরএস) দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে এ প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে। এ প্রতিবেদন আন্তর্জাতিক ঋণ পরিস্থিতি সম্পর্কে ধারণা নেয়া, প্রতিষ্ঠানিক স্বচ্ছতা ও দেশগুলোর সরকার পর্যায়ে নীতি প্রণয়নে সহায়ক হবে। এবারই প্রথম এ ধরনের ব্যাপক ভিত্তিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে বিশ্বব্যাংক।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।