Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

এলাকাবাসীর চরম দুর্ভোগ

অটোরাইস মিলের ছাঁই ও বর্জ্য

মুশফিকুর রহমান সৈকত, নীলফামারী থেকে : | প্রকাশের সময় : ১৩ অক্টোবর, ২০২০, ১২:০১ এএম

নীলফামারী শহরের পুরাতন গরুহাটী এলাকায় আজিজুল হক অটোরাইস মিলের ছাঁই ও বর্জ্যরে কারণে ওই এলাকার বাসিন্দাদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। এলাকাবাসী দ্রুত মিলটি অন্যত্র স্থানান্তরের দাবি জানান। 

জানা যায়, ২০১০ সালে আজিজুল হক অটোরাইস মিলটি চালু হওয়ার পর থেকে নীলফামারী পৌর এলাকার ১ ও ২নং ওয়ার্ডের বাসিন্দারা মিলের ছাঁই ও বর্জ্যরে কারণে অতিষ্ট হয়ে পড়েছে। এ রাইসমিলটি শহরের বড় বাজার সংলগ্ন। রাইসমিলের কালো ধূয়া ও ছাঁই এলাকার প্রায় প্রতিটি বাড়িতে প্রবেশ করে বসবাসের পরিবেশ বিনষ্ট করছে।
এলাকার বাসিন্দা আব্দুল মান্নান, মুকুল, মাহাতাবুল ইসলাম, সবুজ, আরমান হোসেনসহ অনেকে জানান, মিলের ছাঁই ও বর্জ্যরে কারণে প্রায়ই শ্বাসকষ্টে ভ‚গতে হয়। উড়ন্ত ছাঁই চোখে পড়ে সমস্যা সৃষ্টি হয়। এ রাইসমিলের পাশ দিয়ে একটি ছোট নদী রয়েছে। এতে বর্জ্য ফেলার কারণে দিনদিন নদীটি ভরাট হয়ে যাচ্ছে। অপরদিকে বর্জ্য ফেলার সময় দুর্গন্ধে বাড়িতে থাকতে পারেন না বলেও জানান ভুক্তভোগীরা। উড়ন্ত ছাঁই ও বর্জ্যের কারণে এলাকার ৩টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে লেখাপড়ার পরিবেশ বিনষ্ট হচ্ছে। রাইসমিলের পাশ দিয়ে ৩টি সংযোগ সড়ক রয়েছে। এসব সড়ক দিয়ে চলাচল করার সময় জনসাধরারণকে প্রতিনিয়ত চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
এ রাইসমিলটি স্থানান্তরিত করার জন্য ২০১৪ সালে এলাকার প্রায় ৫ শত মানুষ স্বাক্ষরকৃত লিখিত অভিযোগ বগুড়ার পরিবেশ অধিদফতর ও নীলফামারী জেলা প্রশাসনে প্রদান করেন। এরপরও পরিবেশ অধিদফতর থেকে কোনো ব্যবস্থা না নেয়ায় এলাকাবাসী পুনরায় ২০১৮ সালের ১ম দিকে সংস্কৃতি মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর এমপির সুপারিশ নিয়ে আরও একটি অভিযোগ স্থানীয় প্রশাসনসহ রংপুর পরিবেশ অধিদফতরে দাখিল করেন। এর প্রেক্ষিতে রংপুর পরিবেশ অধিদফতরের সিনিয়র টেকনেশিয়ান ফারুক হোসেন গত ২০১৮ সালের ১৯ মে তদন্তে এসে এলাকাবাসীর সাথে কথা বলেন ও শিক্ষা প্রতিষ্টানগুলোতে গিয়ে পরিবেশ পর্যবেক্ষণ করেন। এ সময় শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসী তাদের সমস্যা ও দুর্ভোগের কথা পরিবেশ অধিদফতরের কর্মকর্তাকে অবগত করেন। এরপরেও অদ্যাবদি মিলটি স্থানান্তর করা হয়নি।
রাইসমিলের মালিক আজিজুল হক বলেন, যে সময় তিনি অটোরাইস মিলটি স্থাপন করেছিলেন সে সময় এই এলাকায় ঘনবসতি ছিল না।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: অটোরাইস-মিল

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ